পাতা:লিঙ্গপুরাণ (পঞ্চানন তর্করত্ন).pdf/১৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পূৰ্ব্বভাগ । সেই তপোধন ঋষিগণ সেই ময়মাহাত্মা শ্রবণ করিয়া মন্ত্রের বিনিয়োগ করিয়া সকল অনুষ্ঠান করিলেন। সেই ময়মাহাষ্মো সেই সময় পূৰ্ব্বের স্তায় পূৰ্ব্বকল্পসমূদ্ভূক্ত সদেবাহুর মনুষ্যলোক,*বর্ণ বর্ণবিভাগ, শোভন সৰ্ব্বধৰ্ম্ম শ্রবণ করিলেন । প্রভাবে সমস্ত লোক বেদ, মহৰি শাশ্বতধৰ্ম্ম, দেবগণ অধিক কি সমস্ত জগং অবস্থান করিতেছে। অতএব এখন অল্পাক্ষর, মহাৰ্থ, বেদের সারস্বরূপ, মুক্তিপ্রদ, আজ্ঞাসিদ্ধ, সন্দেহশ্ৰষ্ঠ, শিবরূপ, নানাসিদ্ধিযুক্ত, দিব্য, লোকচিত্তাকুরঞ্জক, সুনিশ্চিতাৰ্থ পারমেশ্বর এবং গষ্ঠীর এই বাক্য বলিতেছি, তুমি এই সমুদয় অবহিত হইয়া শ্রবণ কর। ১৭—৩০ । এই মন্ত্র পঞ্চ-মুখোচ্চার্য, অশেষ অর্থের সাধক, সৰ্ব্ববিদ্যার বীজ, আদ্য, মন্ত্র, সুশোভন এবং বটবীজতুল্য অতিমৃক্ষ ও মহার্থ ওঁ এই একাক্ষরমন্ত্ৰে সৰ্ব্বগত শিব ও মৃদ্ধ ষড়ক্ষরমম্বে পঞ্চাক্ষরশরীর শিব স্বভাবতঃ বাচ্যবাচকভেদে সাক্ষাং অবস্থান করিতেছেন। প্রমেয়ত্বনিবন্ধন শিব বাচ্য, মন্ত্র তাহার বাচক ; এই অনাদি বাচ্য-বাচকভােব শিবও মন্ত্রে অবস্থান করিতেছেন । বেদে বা শিবগমে যে যে স্থানে ষড়ক্ষর মন্ত্র স্থিতি করে, মুখ্য পঞ্চাক্ষরমন্ত্রও লোকে সেই সেই স্থানে সৰ্ব্বদা অবস্থান করিতেছে। যাহার হৃদয়ে এই প্রকারে এই পরমেশ্বর মন্ত্র সংস্থিত, তাহার বহুমন্ত্র ও বহুবিস্তৃত শাস্ত্রে প্রয়োজন কি ? তাহার অধ্যয়ন, শ্রবণ ও সকল কৰ্ম্মের অনুষ্ঠান করা হইয়াছে। যে বিদ্বান যথাবিধানে সম্যক অধ্যয়ন করিয়া এই মন্ত্র জপ করে, তাহার সেই জপই শিবজ্ঞান ও পরম পদ এবং ব্রহ্মবিদ্যা, অতএব পণ্ডিত নিত্য ইহ জপ করিবে। প্রণবযুক্ত এই পঞ্চাক্ষর মন্ত্র আমার হৃদয় ইহা অতিশয় গোপনীয় অক্ষর সৰ্ব্বোত্তম মোক্ষজ্ঞান। আমি এই মন্ত্রের প্রতি অক্ষরের ঋষি, ছন্দ, দেবতা, বীজ, শক্তি, স্বর, বর্ণ, ও স্থান বলিতেছি। হে হুমুধি ! এই মন্ত্রের বামদেব ঋষি, পংক্তি ছন্দ, আমি শিবই দেবতা, পঞ্চভূতাত্মক নকারাদি বীজ সৰ্ব্বব্যাপী অব্যয় প্ৰণৰ আঞ্জা এবং হে সৰ্ব্বদেবনমস্বতে দেবেশ্বরি! তুমিই ইহার শক্তি। প্ৰণবের কিঞ্চিং তোমাসম্বন্ধী ও কিঞ্চিৎ আমাসম্বন্ধী। হে দেবি । মক্সের শক্তিশ্বরূপ অংশ তোমাসম্বন্ধী এবং भ९नरुको अंथरद चकांद्र छेकाग्न ७ भकॉन्न क्लय অবস্থিত। স্বীয় প্রণব ত্রিমাত্র খুক্ত। কারের স্বর উদাজ, খৰি ব্ৰহ্মা, বর্ণ শুভ্ৰ, গায়ত্রীছন, পরমাত্মা দেবতা। প্রথম দ্বিতীয় ও চতুর্থ অক্ষর উদাত্ত ; পঞ্চম পঞ্চাক্ষরমন্ত্র $8? স্বরিত, তৃতীয় নিষধ বলিয়। উক্ত হইয়াছে।. মকরের বর্ণ পীতস্থান পূৰ্ব্বমুখ ইন্দ্রদেবতা, গান্ধীছন্দ, গৌতমঋষি, মকার কৃষ্ণবর্ণ, দক্ষিণমুখে অবস্থিত, অনুষ্টুপ্রচ্ছন্দ, অত্ৰি ঋষি, রুদ্র দেবতা, শিকার ধূম্ৰবণ, ইহার স্থান পশ্চিমমুখে। ৩১–৫০ । বিশ্বামিত্র খধি,ত্রিইপুচ্ছদ, বিষ্ণু দেবতা। বা কার হেমবৰ্ণ, তাহার স্থান উত্তরমুখ, ব্রহ্মা দেবতা বৃহতীচ্ছন্দ, অঙ্গির ঋষি, র কারের বর্ণ লোহিতমস্তক মুখ স্থান, বিরাট্চ্ছন, ভরদ্বাজ ঋষি, কাৰ্ত্তিকেয় দেবতা। এখন এই মন্থের সর্বসিদ্ধিকর শুভদায়ক ও সৰ্ব্বপাপহর স্বাস কহিতেছি। উহ উৎপত্তি-স্যাস, স্থিতি-ন্যাস ও সংহার-স্যাগ, এইরূপে ত্রিবিধ। ব্রহ্মচারী গৃহস্থ ও ঘতি যথাক্রমে ঐ ন্যাস করিবে। ব্রহ্মচারীর উৎপত্তিষ্ঠাস, গৃহস্থের স্থিতি-ন্তাস, ও যুতির সংহার-স্তাস উক্ত হইয়াছে। অন্ত প্রকার করিলে সিদ্ধি হইবে ন। হে বরাননে ! অঙ্গস্তাস, করস্তাস ও দেহন্তাসও উৎপত্তি, স্থিতি ও সংহারভেদে তিন প্রকার, ইহা তোমাকে বলিতেছি। অক্ষর-বিধিক্রমে প্রথমে করন্যাস, অনন্তর দেহন্তাস, তৎপরে অঙ্গস্থাস করিবে। হে প্রিয়ে! মস্তক হইতে পাদপৰ্য্যন্ত যে স্তাস, তাহা উৎপত্তিস্তাস ; পাদ হইতে মস্তক পর্যন্ত সংহারন্যাস এবং হৃদয়, আস্ত, ও গলাসের নাম ধুতিষ্ঠাস। এই তিন প্রকার ছাস ব্রহ্মচারী, গৃহী ওঁ,তির বিহিত। অন্তর মন্থকের সহিত সমস্ত মন্ত্রীদ্বার স্পর্শ করিবে, ইহাই দেহস্তাস ; ইহা সকলেরই সমান। দক্ষিণাঙ্গুষ্ঠ হইতে বামাঙ্গুষ্ঠ পর্যন্ত যে স্তাস, তাহ উৎপত্তি দ্যাস ; ইহার বিপরীত সংহার-স্যাস ; হস্তদ্বয়ের অক্ষুণ্ঠ হইতে কনিষ্ঠ পর্যন্ত খে স্থাস ; হে দেবি ! গৃহস্থসন্মত অত্যন্ত ভোগপ্রদ সেই স্তাসই স্থিতিষ্ঠাস। প্রথমে করন্যাস করিয়া অনন্তর দেহন্তাস ও তৎপশ্চাং অঙ্গস্তাস কল্পিবে ইহা সাধারণ বিধি। ওঁকার-সম্পূট করিয়া সকল অঙ্গে, উভয় করে, দশ অগ্রাঙ্গুলিতে ক্রমে স্কাস করিবে। পাদপ্রক্ষালনপুৰ্ব্বক আচমন করিয়া শুচি ও সমাহিতচিত্তে পূৰ্ব্ব বা উত্তরমুখে হাস-কৰ্ম্ম আরম্ভ করিবে। হে সুমুখি! প্রথমে ঋষি, ছন্দ, দেবতা, বীজ, শক্তি, পরমাত্মা ও গুরুর পূরণ করবে, মন্ত্রপাঠপূৰ্ব্বক হস্তস্বয় মার্জন করিয়া তলদ্বয়ে প্রণবস্তাস করিবে। সকল অঙ্গুলির আদ্যন্তু পর্ক্সে এবং পাঁচটা মধ্যমপর্কে সবিস্তু বীজ ব্রহ্মচৰ্য্যাদি তিন আশ্রমভেল ক্ৰমে উৎপ্যাদি ডিল প্রকার ভাল করবে। উভয় ফুখর পাতল হইতে মস্তকপৰ্যন্ত দেহ প্রশৰদম্পূট লম্বর