পাতা:লিঙ্গপুরাণ (পঞ্চানন তর্করত্ন).pdf/১৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

**ら মোক্ষ হয় এবং আমার পরিগ্রহবশতঃ এই স্থানে মোক্ষ হয়। কিন্তু প্রয়াগ হইতেও এই অবিমুক্ত ক্ষেত্র শুম্ভ । সত্য ধৰ্ম্মের মধ্যে উপনিষৎ, শম মোক্ষের উপনিষৎ । কিন্তু মহর্ষিগণও তীর্থক্ষেত্রের উপনিষং, এই বাক্ষাণসীকে জ্ঞাত নহেন। জন্তু ভোজন, নিদ্র, ক্রীড়া ও বিবিধ কাধ করিতে কবিতে ও বিমুক্ত ক্ষেত্রে প্রাণত্যাগ করিলে নিশ্চয় মোক্ষ প্রাপ্ত হয়। কণীপুরীষ্যতীত সর্গে সহস্র ইলতুও কি? নয়, বরং মানৰ পাপসহস্ৰ করিয়ু কাশীপিশাচতু প্রাপ্ত হয় সেও উত্তম। ২৮–৪৯। অতএব মহাতপা জৈগীষব্য যে স্থানে অসাধারণ সিদ্ধিলাভ করিয়াছেন, মানব মুক্তির জন্ত সেই অবিমুক্ত ক্ষেত্রের সেবা করিবে ; সেই ক্ষেত্রে নিত্য আমাকে ধ্যান করিলে যোগাগ্নি দীপ্ত হয় এবং দেবগণেরও দুর্লভ পবম কৈবল্য প্রাপ্ত হয় । সৰ্ব্বসিদ্ধান্তজ্ঞ অব্যক্ত লিঙ্গ মুণিগণ এই স্থানেই দুর্লভ মুক্তিলাভ করেন, অন্ত কুত্রাপি তাহার লাভ হয় না। আমি সেই মুনিগণকে অনুত্তম যোগৈশ্বৰ্য্য বলি ও আপনার সাযুজ্য এবং তাহাদিগের ঈপ্সিত স্থান দান করি। কুবের আমাতে সকল ক্রিয়। অপর্ণ করিয়া এই ক্ষেত্রের সেবা করায় গণেশত্ব প্রাপ্ত হইয়াছে এবং আমার ভক্ত সম্বর্তনামে যে ঋষি হইবেন, তিনিও এই স্থানে আমার আরাধনা করিয়া সৰ্ব্বোত্তম সিদ্ধি প্রাপ্ত হইবেন। পরাশরপুত্র যোগনিরত মহাতপা ঋষি, বেঙ্গসংস্থাপক ●守 হইবেন, হে পদ্মনয়নে ! তিনি এইক্ষেত্রে পরম প্রীতি লাভ করবেন। দেবর্ষিগণের সহিত ব্রহ্ম, বিষ্ণু, দিবাকর, দেবরাজ ইশ্র অন্ত মহাত্মা দেবগণ সৰ্ব্বলৈই এই স্থানে আমার উপাসনা করিতেছেন। প্রচ্ছন্নরূপী অন্ত মহাত্মা যোগিগণ অনন্তচিত্তে এই স্থানে আমার উপাসনা করিতেছেন । ধৰ্ম্মচিন্তারহিত বিষয়াসক্তচিত্ত মানৰও এই স্থানে প্রাণত্যাগ করিলে আর সংসারে জন্মগ্রহণ করে না। যাহারা সমত্বহীন ধীর সাত্ত্বিক প্রকৃত্তি জিডেক্রিয় রতপরায়ণ ও আরঙ্গত্যাগী তাহারা সকলে আমার স্বরূপত্ব প্রাপ্ত হয় । সঙ্গত্যাণী ধ, মানবগণ দেবদেবকে প্রাপ্ত হইলে আমার প্রসাদে মোক্ষ লাভ করে । যোগিগণ সহস্ৰ সহস্ৰ জন্মান্তরে খাহা প্রাপ্ত হন সি, হে সুত্ৰতে ! এই ক্ষেত্রে জামার প্রসাদে সেই মোক্ষ প্রাপ্ত হয়। পূৰ্ব্বে ব্ৰহ্ম এই স্থানে কৈলাসম্ভবন স্থাপিত করিয়াছিলেন । এই সেই দিবা গোপ্রেক্ষক ক্ষেত্র দর্শন কর। মলৰ গোপ্রেক্ষক ক্ষেত্রে গমনপূর্বক আমাকে লিঙ্গপুরাণ মুক্ত হয়। এই কপিলাহ্রদ ব্ৰক্ষা কর্তৃক গোছ । দ্বারা নিৰ্ম্মিত হইয়াছে। এই তীৰ্থ” অতিশয় পুণ্যপ্রদ, এইস্থানে আমি বৃষধ্বজনামে অভিহিত হইয়া সৰ্ব্বদা সমিধান করিয়াছি, ইহা দৰ্শন করিতেছ। ৫০-৭০ হে দেবি! ভদ্রতোয়নামক । হ্রদ দর্শন কর, ব্রহ্ম এই হ্রদ নিৰ্ম্মাণ করিয়াছেন । সকল দেবগণ এই স্থানে আমাকে “হে ঈশ! শাস্তু ইউন’ বলিয়া প্রসন্ন করিয়াছেন । এই স্থানে ব্রহ্ম। " আমাকে আনয়নপূর্বক স্থাপন করিয়াছেন। ব্ৰহ্মার নিকট সংগ্ৰহ করিয়া বিষ্ণু পুনৰ্ব্বার স্থাপন করিয়াছেন। অনন্তর সংবিগ্নচিত্ত ব্ৰহ্মা কর্তৃক বিষ্ণু অভিহিত হইয়াছেন যে, আমি এই লিঙ্গ আনয়ন করিয়াছি, তুমি কিজষ্ঠ স্থাপন করিলে ? তখন বিষ্ণু কুপিতানন. ব্ৰহ্মাকে কহিলেন, রুদ্রদেবে আমার অতি মহতী ভক্তি, আমি এই লিঙ্গ-সংস্থাপন করিলাম ; কিন্তু ঐ লিঙ্গ তোমার নামেই খ্যাত হইবে । সেই জন্ত আমি এই স্থানে হিরণ্যগৰ্ভ নামে অবস্থান করিতেছি। এই দেবেশকে দর্শন করিয়া নর আমার লোকে গমন করে । অনন্তর ব্ৰহ্মা পুনৰ্ব্বার পরমভক্তিসহকারে যথাবিধানে আমার এই শুভ লিঙ্গ স্থাপন করিয়াছেন। আমি এইস্থানে স্বলীনেশ্বর নামে স্বয়ং আগত হইয়াছি। মানব । এইস্থানে প্রাণত্যাগ করিলে আর কুত্রাপি জন্মগ্রহণ করে না । যোগীদিগের যে অসাধারণ গতি, তাহার সেই গতি হয়। আমি এইদেশে দেবকণ্টক, দর্পিত বলবান দৈত্যকে ব্যাস্ত্ররূপে নিহত করিয়াছি ; অতএব নিত্য বাঞ্জেশ্বর নামে আখ্যাত হইয়া এইস্থানে অবস্থান করিতেছি। এই ব্যাঞ্জেশ্বর শিবকে দর্শন করিয়া মানব কখন দুৰ্গতি প্রাপ্ত হয় না। ব্ৰহ্মা উৎপল ও বিদল নামক যে দৈত্যন্ধয়কে বধ করিয়াছিলেন, তুমিই এই স্থানে সেই দর্পিত দৈত্যদ্বয়কে অবজ্ঞার সহিত কদুকদ্বারা রণে নিহত করিয়াছিলে। সেই কলুকে আমি লিঙ্গরূপে অবস্থিত, প্রথমে গণনায়কগণের সহিত এই স্থানে আগমনপূর্বক অবস্থান করিয়াছি। অতএব এই আমার প্রথম স্থান, ইহা অতি পুণ্যদর্শন ! দেবগণ ইহার চতুর্দিকে লিঙ্গসমূহ স্থাপন করিয়াছেন। এতে মানব নিরত হইয়৷ এই স্থান দর্শন করিলে অন্তদেহে আমার প্রমথ হয় । তোমার পিতা হিমালয় এই স্থানকে আমার প্রিয় ও হিতকর বলিয়া জ্ঞাত হইয়া স্বয়ং লিঙ্গ প্রতিষ্ঠা করিয়াছেন । ঐ লিঙ্গ শৈলেশ্বর নামে খ্যাত হইছে, তুমি উহা জারপূর্বক দর্শন