পাতা:লিঙ্গপুরাণ (পঞ্চানন তর্করত্ন).pdf/৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ই ই শ্বেতবর্ণ, বহির ষ্ঠায় রক্তবর্ণ চক্ষুস্বয়, চতুৰ্দ্দিকে উত্তম পঙ্কযুক্ত, মন এবং বায়ুর স্তায় বেগশালী হইয়া আমি উঙ্গে আগমন করিলাম। বিশ্বময় নারায়ণ,—নীলাঞ্জন সদৃগু, দশ যোজন বিস্তৃত শত যোজন আয়ত, মেরুপৰ্ব্বতের স্তায় শরীরধারী গেীর তীক্ষাগ্র-দংষ্ট্রাবিশিষ্ট প্রলয়কালীন আদিত্যতুল্য কাস্থির, নাশিক বিশিষ্ট মহাশন্ধকারী হ্রস্বপদ বিচিত্রাঙ্গ জয়শীল দৃঢ় অনুপম কৃষ্ণবর্ণ বারাহরূপ ধারণ করিয়া পাতালে গমন ‘করিলেন, এবং সহস্রবন্ধ ব্যাপিয়া ত্বরাযুক্ত হইয়া বিষ্ণুও অধোগমন করিলেন। ৩৩—৪৩। শুকররূপী ভগবান এই লিঙ্গের মুল অল্প পরিমাণেও দেখিতে পাইলেন না । আমিও তাবৎ উদ্ধে গমন করিলে পর সর্বপ্রযত্বে সত্বর তাহার অন্ত জানিতে ইচ্ছুক হইয় তাহার অন্ত না দেখিতে পাইয়া শ্রাত্ত হইলাম ; এবং অহঙ্কারবশতঃ অধোগমন করিলাম। দেবগণের উৎপত্তি বীজস্বরূপ সেই মহাকায় ভগবান বিষ্ণু সেই প্রকার শ্রাস্তু ও ভয়কম্পিতলোচনে সত্বর উত্থিত হইলেন। সেই মহামন বিষ্ণু আমার সহিত মিলিত হইয়৷ প্ৰণিপাতপূর্বক মায়াকর্তৃক মুগ্ধ ও সংবিগ্ন-মানসে শস্তুর অগ্ৰে দণ্ডায়মান রছিলেন। পশ্চাতে, পার্শ্বদেশে ও অগ্রভাগে পরমেশ্বরকে প্রণিপাত করিয়া আমার সহিত ইহা কি এইরূপ চিন্তা করিতে লাগিলেন। হে মুরশ্রেষ্ঠগণ! সেইকালে সেই স্থানে ওঁ ও এই শব্দ স্বরূপ, সুব্যক্ত প্লুত স্বর উৎপন্ন হইয়াছিল। কি মহৎ শব্দ উৎপন্ন হইল ? এইরূপী চিন্তা করিয়া সেই মহাপুরুষ, আমার সহিত লিঙ্গের দক্ষিণ, উত্তর ও মধ্যভাগে অকার উকার ও মকার দর্শন করিলেন; তাহার অন্তে নাদ । সেই বর্ণক্ৰয়েই ওঙ্কার । অকারের বর্ণ সূৰ্য্যমণ্ডলের দ্যায়, উকার অনল তুল্য ; আর মকর চন্দ্রলগুল সদৃশ। তাহার উপরিভাগে সেই সময়ে শুদ্ধস্ফটিকবং প্রভুকে দর্শন করিলেন। ৪৪–৫৩। তিনি তু স্নাতীত, অমৃত অর্থাৎ নাশগুপ্ত নিষ্কল অর্থাৎ ভাগগুহ, যাহা হইতে তরণোপায় নির্গত হইয়াছে ; তাহ তুহুৰ্থতে সুখদু:খাদিরূপ ভিন্ন পদার্থ নির্গত হইয়াছে ; ধিনি অদ্বিতীয়; যিনি ভেদখৃষ্ট ও অপরিচ্ছিন্ন; যিনি বাহ ও অভ্যন্তর স্বরূপ;নি বহিজগতে ও অত্যস্তর জগতে বর্তমান; যিনি আদি, মধ্য ও অন্তরহিত, ধিনি আম্বেরও কারণ অকার উকার মকররূপ বাহার তিলমাত্র, বাহার অৰ্দ্ধেক অৰ্দ্ধেকমাত্র অর্থাৎ তিন বেদ ডাহীর মাত্রারপে অবস্থিত। মাধব, এই 1লঙ্গপুরাণ প্রকার জ্ঞাত হইয়৷ এই বেদ শন্ধ হইতে বিশ্বময় পরমেশ্বরকে চিন্তা করিলেন, সেই সময়ে ‘বেদনাম । ঋষি উৎপন্ন হইলেন। ভগবান বিষ্ণু, বেদনামা পরমেশ্বর শিবকে জ্ঞাত হইলেন। বেদ কহিলেন, মনের সহিত বাক্যও র্যাহাকে লাভ না করিয়া নিবৰ্ত্ত হয়, সেই রুদ্র চিস্তানীত ; কেবল তিনি একাক্ষর অর্থাৎ প্রণবদ্বারা বাচ্য হন। তিনি সত্যস্বরূপ আনন্দময়, তিনি পরম সত্য পরাখপর পরম : ব্রহ্মস্বরূপ । আকারাখ্য ভগবান ব্রহ্মা কেবল একাক্ষর অকার দ্বারা বাচ্য হন, আর উকারাখ্য পরম কারণ হরি তিনিও একাক্ষর দ্বারা বাচ্য ; ভগবান নীললোহিত সেই একাক্ষর বাচ্য, মকার দ্বারা অকারাখ্য পুরুষ। স্বষ্টিকৰ্ত্ত, উকারাখ্য পুরুষ জগতের মোহক ; মকারাখ্য পুরুষ সেই পুরুষদ্বয়ের নিত্য অনুগ্রহকারী হইয়া থাকেন । ৫৪-৬২ । মকারাখ্য বিভু বীজী, লোকে অকারকে বীজ কহে, উকারাখ্য প্রকৃতি-পুরুষের ঈশ্বর হরি যোনিস্বরূপ। নাদবাচ্য মহেশ্বর যোনিবীজী এবং বীজস্বরূপ সেই বীজ স্বেচ্ছক্রমে নিজ আত্মাকে ভিন্ন ভিন্ন করিয়া অবস্থিত আছেন জগৎপ্ৰভু রুদ্রের লিঙ্গ পুঁইতে ব্ৰহ্মাণ্ডের কারণ অকারখ্য বীজ উৎপন্ন হইয়াছিল ; সেই বীজ চতুর্দিকে উকার যোনিতে নিক্ষিপ্ত হইয়া বৰ্দ্ধিত হইয়াছিল, আদি ও অক্ষর অর্থাৎ নিত্য এই সুবর্ণময় অণ্ডপ্রভব পদার্থ সকল চতুর্দিকে ব্যাপ্ত হইয়া উৎপন্ন হইল এবং অনেক বংসর ব্যাপিয়া সেই দিব্য অণ্ড জলমধ্যে ব্যবস্থিত ছিল। তাহার পর সহস্র বৎসরান্তে জলমগ্ন আজাদ্ভূত সেই অণ্ডকে সাক্ষাৎ আদ্যাখ্য ঈশ্বর দ্বিধা করিয়াছিলেন । সেই অণ্ডের সুবর্ণময় মঙ্গলজনক যে কপাল উৰ্দ্ধে সংস্থিত ছিল ; সেই কপাল হইতে স্বর্গ এবং অপর কপাল হইতে পঞ্চগক্ষণা পৃথিবী উৎপন্ন হইল। তাহা হইতে অণ্ডোস্তব অকারাখা চতুর্মুখ উৎপন্ন হইলেন । তিনিই সৰ্ব্বলোকের স্রষ্ট৷ সেই প্রভুই ত্রিবিধ। যজুৰ্ব্বেদের উপনিষদ্ভাগ এইরূপ ওস্কারপ্রতিপাদ্য ব্রহ্ম নির্দেশ কুরিয়া দিলে ঋগ্বেদ এবং সামবেদ যজুৰ্ব্বেদের কথা শ্রবণে সাদরে তাহার অনুমোদন করিয়া বলিলেন হে হরে! হে ব্রহ্মস্ ! এই কথাই বটে। বেদবাক্য হইতে দেবেশকে জানিতে পারিয়া বৈদিক মন্ত্র দ্বারা আমরা, মহোদয়. মহেশ্বরের - স্তব করিলাম । নিরঞ্জন সেই মহাপুক্স, আমাদিগের উভয়ের স্বৰে সন্তুষ্ট হইয়া দিব্যশস্বমর রূপ ধারণ করত ছাগু করিতে করিতে সেই লিঙ্গে অবস্থান করিলেন। সেই পুরুষের