পাতা:লিঙ্গপুরাণ (পঞ্চানন তর্করত্ন).pdf/৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পূৰ্ব্বভাগ । শোষণ কুরিয়া তাপ দিয়া থাকেন। ঐ পার্থিবাপ্লিমিশ্রিত দিব্য সূৰ্য্যাগ্নিই শুচি বলিয়। কথিত হয়। ঐ স্বৰ্য্য গোলাকার কুন্তু সদৃশ, উনিই চতুৰ্দ্দিকে সহস্র কিরণে নদী, সমুদ্র, কৃপ, মেঘ, দীর্ঘিক্কা, ও কৃত্রিম সরিতের জল, অধিক কি স্থাবর কি জঙ্গম সমস্ত জলই শোষণ করেন। সেই সূর্য্যের সহস্ররশ্মির কিয়দংশ শীতপ্রদ, কিয়দংশ উষ্ণতাম্রাব, ও কিয়দংশ বৃষ্টিবৰ্ষণ করিয়া থাকে। তাহার মধ্যে বিচিত্রমূৰ্ত্তি চারশত কিরণ বৃষ্টি বর্ষণ করে, তাহদের কতকগুলির নাম ভজন, কতকগুলির নাম মাল্য, কতকগুলির নাম কেতন, ও কতকগুলির নাম পতন এবং সকলের নাম অমৃত । আর তিনশত, তাহদের মধ্যে কতকগুলির নাম রেশী, কতকগুলির নাম মেঘ, কতকগুলির নাম বাংস্ত, কতকগুলির নাম হলাদিনী, ঐ তিনশত রশ্মির সমগ্রের নাম চন্দ্রভা, ইহার শীতজনক । এবং অবশিষ্ট তিনশত রশ্মি উষ্ণতা জন্মাইয়া থাকেন। তাহাদিগের মধ্যে কতকগুলির নাম পীতাভ,কতকগুলির নাম শুক্ল, কতকগুলির ককুভ ও অবশিষ্ট গুলির নাম বিশ্বভূত। ইহাদিগের সকলের নাম শুরু । সেই স্থধ্যরূপী দেবদেবী সেই সকল রশ্মির দ্বারা মনুষ্য পিতৃলোক ও দেবতাগণকে পোষণ করিতেছেন। মনুষ্যগণকে ওষধির ধারা স্বধা অর্থাং শ্রাদ্ধাদিতে পিতৃভোজ্য দ্বারা পিতৃলোককে পরিতৃপ্ত করিতেছেন। আর দেবগণের অমৃতের দ্বারা তৃপ্তি করিতেছেন। ঐ স্থৰ্য্য বসন্ত ও গ্রীষ্মকালে তিন শত রশ্মিতে তাপ প্রদান করেন এবং বর্ষা ও শরৎকালে চারশত রশ্মিতে বৃষ্টি বর্ষণ করেন ; ও ইেমন্ত ও শীতকালে তিনশত রশ্মি দ্বারা হিমবর্ষণ করেন। ইন্দ্র, ধাত, ভগ, পূষা, মিত্র বরুণ, অৰ্য্যম, অংশু, বিবস্থান ত্বষ্ট পর্জন্ত, বিষ্ণু, ইছারা মাথাদি মাসানুসারে প্রতিমাসে এক একজন স্থৰ্যরূপী হইয় কাৰ্য্য করেন। তাহার ক্রম যথা—মাঘ মাসে বরুণ, ফাঙ্কন মাসে সূৰ্য্য, চৈত্র মাসে অংশু, বৈশাখ মাসে ধতি, জ্যৈষ্ঠ মাসে ইন্দ্র, আষাঢ় মাসে আর্য্যম, শ্রাবণ মাসে বিবস্থান, ভাদ্র মাসে ভগ, আশ্বিন মাসে পর্জন্ত, কাৰ্ত্তিক মাসে তুষ্ট, অগ্রহায়ণ মাসে মিত্র ও পৌষ মাসে বিষ্ণু তাপ প্রদান করেন। বরুণ যখন তাপ প্রদান করেন, তখন র্তাহার পঞ্চ সহস্র রশ্মি হয়, পুষা ষ্ট সহস্র রাখতে তাপ প্রদান করেন এবং অংশু সপ্তসহস্র রশ্মিতে, ধাত অষ্ট সহস্র রশ্মিতে, ইশ্র নৰ সহস্ৰ বুখিতে, বিবস্বনি দশ সহস্ৰে, ভঙ্গ একাদশ সহস্ত্রে, মিত্র সপ্ত সহজে, তুষ্ট। অষ্ট সহস্ৰে, অধ্যম দ্বশ সহস্রে পর্জষ্ঠ নব সহস্ত্রে ও বিষ্ণু ধৰ্টু সহস্ৰ

সংখ্যক রশ্মিতে প্রদান করিয়া থাকেন। হুর্ঘ্য বসন্ত । কালে কপিল বর্ণ হয়েন, এবং গ্রীষ্ম কালে হুর্ঘ্যের সুবর্ণের স্তায় বর্ণ, বর্ষাকালে শ্বেত বর্ণ, শরৎকালে হেমস্তুে তাম্রবর্ণ ও শীতকালে স্থৰ্য্য তাম্রবর্ণ হীেন ; ইহাই স্তুৰ্য্যের বর্ণ কথিত আছে । ঐ স্থৰ্যwওষধিতে বলদাৰু করেন এবং স্বধা দ্বারা পিতৃলোকের অমৃতের দ্বারা দেবগণেরও বল দিয়া থাকেন। আদিত্যের ঐ সকল লোকের প্রয়োজনসাধক জলশীতোষ্ণপ্রিঙ্গ রশ্মি, সহস্র এইরূপ বিভিন্ন হুইয়া থাকে। এই শুক্লবৰ্ণ স্থৰ্যমগুলই নক্ষত্র গ্রহ চন্দ্র ইহুদিগের প্রতিষ্ঠা। চন্দ্রগ্রহ, নক্ষত্র ইহারা সকলে সূৰ্য্য হইতে উৎপন্ন হইয়াছেন। নক্ষত্ৰাধিপতি চন্দ্র ভগবান শিবের বামনেত্র আর স্বয়ং ভাস্কর ভগবানের দক্ষিণনেত্র। ঐ ভাস্কর ভগবান শূলীরই নয়ন বলিয়া ইহলোকে সকলের প্রদান করিয়া থাকেন। ১৪–৪৫ ৷ উনষষ্টিতম অধ্যায় সমাপ্ত। ষষ্টিতম অধ্যায় মৃত কহিলেন ;–এই স্থৰ্য্য চলদির অন্ত মঙ্গলাদি পাঁচটী গ্রহ ঈশ্বর এবং কামচারী। ঐ স্থৰ্য্যই অগ্নি বলিয়া কথিত হন । চন্দ্রই জল বলিয়া প্রসিদ্ধ আছেন। আর শেষ গ্রহের যাহা সম্যকৃরূপে বলিতেছি, শ্রবণরণ। পণ্ডিতেরা স্বরসেনাপতি কাৰ্ত্তিকেয়কেই । মঙ্গলগ্ৰহ বলিয়। বর্ণন করেন এবং দেব নারীয়ণকেই বুধ বলিয় থাকেন। আর সৰ্ব্বলোক-প্ৰভু স্বয়ং ধমই মন্দগামী মহাগ্রহ শনৈশ্চর, আর প্রজাপতিসুতদ্বয়ই দেবামুরগুরু ছাতিমান মহাগ্রহ শুক্র ও বৃহস্পতি বলিয়া কথিত হন। এই অখিল ত্রিলোকের যে আদিত্যই মূল, তাহাতে কোনও সন্দেহ নাই। ঐ আদিত্য হইতেই এই দেবাসুরমানুষসঙ্কুল জগৎ উৎপন্ন হইয়াছে। রুদ্র, ইন্দ্র, উপেন্দ্র, চন্দ্র, শ্রেষ্ঠব্রাহ্মণ, অগ্নিসকল, দেবতাগণ ও লিখিত কুতিমামৃগণের স্বাহ স্থতি সাৰ্ব্বলৌকিক তেজ, সেই সকল সৰ্ব্বলোকেশ্বর প্রজাপতি মূর্ধ্যরূপী মহাদেবেরই স্বরূপ। এজগতে । স্বৰ্য্যই ত্রিলোকেশ্বরও তিনিই পরমদেবতা এবং মূল কারণ। র্তাহ হইতে সকল উৎপন্ন হয় এবং তঁহাতেই সকল লীন হইয়া থাকে। পূৰ্ব্বে ঐ স্থৰ্য্য হইতেই ভাব ও অভাব নিহত হয়। ঐ রৰিকে কেহ জানিতে পারেন এবং উনিই দীপ্তিমান ও উনিই সুপ্রভ বলিয়া প্রসিদ্ধ। ঐ আদিত্য হইতেই সকল ধ্রুপ, মুহূৰ্ত্ত, দিবস, নিশা, পক্ষ, মাস, সম্বৎসর, ঋতু, যুগ ।