পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (একাদশ সম্ভার).djvu/১৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

छब्रिद्धेशैन · চক্ষের পলকে ধরিয়া ফেলিতে পারিত। কিন্তু সেদিকে তাহার দৃষ্টিই ছিল না। কহিল, না ঠাকুরপো, তোমার পায়ে পড়ি, আমাকে নিয়ে চল। - উপেজ বাস্ত হইয়া দুই হাত মাথায় ঠেকাইয়া কহিল, ছি, ছি, আমন কথা মুখে জানবেন না বৌঠান। আপনি বয়সে ছোট হলেও আমার পূজনীয়া । বেশ ত, মালীমা ফিরে জাম্বন, চলুন আজই আপনাকে নিয়ে ঘাই । ২৬ প্রায় অপরাবেলায় কিরণময়ী জ্যোতিষবাবুদের বাটাতে আসিয়া উপস্থিত হইল। পরণে মোটা থানের কাপড়, গায়ে অলঙ্কারের চিহ্নমাত্র নাই, স্বদীর্ঘ রুক্ষ কেশরাশি বিপৰ্যন্তভাবে মাথায় জড়ানে, দুই-একটা চুর্ণকুন্তল কপালে ঝুলিয়া পড়িয়াছে; চোখে তাহার শাস্ত উদাস দৃষ্টি। যেন বৈধব্যের অলৌকিক ঐশ্বৰ্য্য তাহার সর্বাঙ্গ বিরিয়া মূৰ্ত্তিমতী হইয়াছে। সে মুখের পানে চাহিলেই চক্ষু আপনিই যেন তাহার পদপ্রান্তে নামিয়া আসে। - সরোজিনী বাহিরের বারান্দায় একটা চেকিতে বসিয়া বই পড়িতেছিল, চোখ তুলিয়া অকস্মাৎ এই আশ্চৰ্য্য রূপ দেখিয়া একেবারে বিহ্বল হইয়া গেল। সে কিরণময়ীকে কখনো চোখে দেখে নাই, তাহার নাম এবং সৌন্দর্ঘ্যের খ্যাতি স্বরবালার মুখে শুনিয়াছিল মাত্র। কিন্তু, লে সৌন্দর্ষ্য যে এই প্রকার, তাহা কল্পনাও করে নাই । - উপেন্দ্র তাহার পরিচয় দিল, আমাদের বৌঠাকরুণ—সরোজিনী ! সরোজিনী কাছে আসিয়া নমস্কার করিল। . কিরণময়ী তাহার হাত ধরিয়া সহাস্তে কহিল, তোমার নাম আমি সকলের কাছে শুনেছি ভাই, তাই আজ একবার চোখে দেখতে এলুম। . প্রত্যুত্তরে সরোজিনী কি বলিবে, তাহ তখনও খুজিয়া পাইল না। অপরিচিত নর-নারীর সহিত মিশিতে, জালাপ করিতে সে শিশুকাল হইতেই শিক্ষিত্ন এবং অভ্যস্ত, কিন্তু এই আশ্চৰ্য্য বিধবা নারীর সম্মুখে সে নিৰ্ব্বাক হইয়া রহিল ! উপেন্দ্রর দিকে একবার ফিরিয়া চাহিয়া কিরণময়ী কছিল, কিন্তু জাজ ত আর বেলা নেই। বেশীক্ষণ থাকবার সময় হবে না-চল ঠাকুরপো, একবার ছোটবোঁয়ের ঘরে গিয়ে বলি গে ; বলিয়া সে সরোজিনীর করতলে একটু চাপ দিয়া ইঙ্গিত कद्वेिल । - কিন্তু, ৰে বোকের বশে কিরণময়ী আজ এই অসময়ে স্বরবালার সহিত সাক্ষাৎ Sw}