পাতা:শিশু-ভারতী - অষ্টম খণ্ড.djvu/১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

•िथिes-चछाञ्चप्ट5ो চেয়ে বড় জ্ঞানী তো দূরের কথা, নিজেকে তিনি পণ্ডিতই মনে করিতেন না। অনেক ভেবে শেষে তিনি ঠিক করলেন যে ডেলক্ষীর কথাই ঠিক, কারণ কেহই বিশেষ কিছু জানে না, অথচ সবাই নিজেকে মস্ত বড় পণ্ডিত ভাবে। তাই সক্রেটিস বল্লেন যে আমি কিছুই জানিনে, অন্ততঃ এ কথাটাতে আমি জানি, অথচ আর কেউ সে কথাও জানে না। এই সন্দেহ বা প্রশ্নই তাই সক্রেটিসের দর্শনের গোড়ার কথা-সমস্ত দর্শনেরই গোড়ার কথা জিজ্ঞাসা। যে সমস্ত বিশ্বাস আমাদের কাছে ধ্রুব সত্য বলে মনে হয়, তাদের ধ্রুব ভাববার কারণ কি ? সত্যই কি আমরা তাদের সভ্য বলেই জানি, যদি তাদের আমরা সত্য বলেই জানি, তবে অন্যাস্য বিশ্বাসের সঙ্গে তাদের মিল বা সঙ্গতি কতটুকু ? নিজেকে জান—নিজের সমস্ত বিশ্বাসের ভিত্তি খুজে বেড়াও—এই হ’ল দর্শনের কাজ। আগেকার সব দার্শনিকেরা পৃথিবী কি দিয়ে তৈরী তাই জানবার জন্য ব্যস্ত ছিলেন—সক্রেটিসের লক্ষ্য হ’ল মানুষের মনকে জানা। কথাটা শুনতে ভারী সোজা, কিন্তু তার মতন শক্ত কাজ বোধ হয় দ্বিতীয় কিছু নেই। ধর, তোমার মতে তোমাদের ক্লাশের কৃষ্ণচন্দ্রের মতন দুষ্ট ছেলে আর দ্বিতীয় নেই, অথচ সে কৃষ্ণচন্দ্রের তো বন্ধুর অভাব নেই, এবং তার বন্ধুরা তাকে ভাল জানে, ভালবাসে বলেই তো তার বন্ধু। তোমার কাছে যে খারাপ, আর একজনের চোখে সেই ভাল। এ নিয়ে একটা মজার গল্প আছে। ডিমের খোস। ভাঙ্গ বার সময় মোটা দিক ভাঙ্গা ভাল—না সরু দিক ভাঙ্গা ভাল ? তোমরা হয়তো হাসছ, ভাবছ যে এটিও একট প্রশ্ন ? অথচ তাই নিয়ে দুটো দেশে যুদ্ধ বেঁধে গেল-একদল বল্ল যে মোটা দিক ভাঙ্গলে পুথিবী রসাতলে যাবে, অন্য দল বল্ল যে সক্রেটিস সরু দিক ভাঙ্গলে আর পুথিবীতে ধৰ্ম্ম থাকবে না। সে যুদ্ধের কাহিনী তোমরা গালিভারের ভ্রমণ-বৃত্তান্তের মধ্যে পাবে। -b'--