পাতা:শিশু-ভারতী - অষ্টম খণ্ড.djvu/২৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হজরত ইব্রাহিম फक्रन कब्रिद" ऊाश श्रन उाशद्रा नि"फग्नई फूल কৱিবে । শিশুরা পুতুল লইয়া খেলা করে , পুতুলের বিয়ে দেয়, তাহাদিগকে মাতাপিত পুত্রকঙ্কা ইত্যাদিরূপে কল্পনা করে ; কিন্তু জ্ঞানোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে তাহারা উহার অসারত উপলব্ধি কবিয়া উহা পরিত্যাগ করে। কৈ তাহাবা ত বলে না আমরা চির জীবন পুতুল লইয়াই পেলিব ? জাতির শৈশবকালে তাহারা অনেক ভূল করিযা থাকে কিন্তু এখন ঐগুলি পরিত্যাগ না করিলে মহাভূল করা হইবে । আমি আমার স্মৃষ্টিকৰ্ত্তা আল্লাকে চিনিয়াছি । তিনি নিরাকার, সৰ্ব্বশক্তিমান, অব্যয় অক্ষয়, অনাদি অনন্ত । তিনি চন্দ্র স্বধ্য, গ্রহ, নক্ষত্র, বৃক্ষলতা, নদ, নদী, স্থাবর-জঙ্গম, সকলেরই সৃষ্টিকৰ্ত্তা । তোমরা তাহাকে ছাডিয়৷ নিজহাতে গড়া মাটর পুতুলকে কেন উপাস্ত জ্ঞানে পূজা কর! তোমর। আবার কেহ কেহ মহারাজ নমরুদকেও ঈশ্ববজ্ঞানে ভক্তি কর । মাচুর্য হইতে বিশ্ব জগতের সমস্ত পদার্থই আন্নার স্বষ্টি । মাহা সুখ দুঃখ জন্ম মুতু্যর অধীন। স্বতরাং তাহাকে ঈশ্বর মনে কব মহাপাতক । আল্লাহ জন্ম মৃত্যুর অতীত। বে:গ শোক, জরা, মৃত্যু, স্বগ স্বাচ্ছন্য সমস্তই তিনি দান করেন । তিনিই সকলেব জীবিকার সংস্থান করিয়া দেন—অতএব বাবা তোমরা আল্লার উপাসনা কর।” - পুত্রের এই ষ্টতা দেখিয়া পিতা রাগে অগ্নিশৰ্ম্মা হইয়া বলিলেন—“ইব্রাহিম, তুমি ১৭ বৎসরের বালক মাত্র। তুমি এখনই পিতার বিরুদ্ধাচরণ করিতে শিখিলে ! মহারাজ নমরুদ শুনিলে তোমাকে জলস্ত আগুণে পোড়াইয়া মারিবে ।"

  • বাবা! আমার আল্লাই আমার রক্ষক। আমার আল্লাহ যথেচ্ছাচারী নহেন । তিনি ন্যায় বিচারক , দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালনই তাহার কাৰ্য্য ; মহারাজ নমরুদ যে ঈশ্বরত্বের দাবী করিতেছেন, এবং অপরকেও সেই ভ্রান্ত পথে চালাইতে ছেন-ইহাই তাহার পক্ষে মহা অপরাধের কার্যা, তদুপরি যদি তিনি আমাকে অন্যায় ভাবে শান্তি দিতে ইচ্ছা করেন তাহা হইলে নিশ্চয়ই আমার আল্লাই আমাকে রক্ষা করিবেন।” আজব আরও অধিকতর রাগাম্বিত হইয়া পুত্রকে বলিলেন "আরে

মুখ পুত্র! দূর হ আমার সম্মুখ হইতে ! এই জন্যই শিশুকালে মহারাজ নমরুদের কবল হইতে তোকে এত সংগোপনে রক্ষা করিয়াছিলাম ! তখনই তোর জীবনলীলা সাঙ্গ হইলে মঙ্গল হইত ” “दादा, उ८वहे cनभून मत्रलमग्न श्रांझांश् ८कभन করিয়া আমাকে নমরুদের হাত হক্টতে বাচাইয়াছেন । তিনি সৰ্ব্বশক্তিমান ! নমরদের কি সাধ্য যে আমাকে মারিয়া ফেলে ?” এই বলিতে বলিতে পুতুলগুলি লইয়া বালক বাজারে রওনা হইলেন। সন্ধ্যার সময় বাড়ীতে ফিরিয়া পিতাকে বলিলেন-“বাবা ! আমি তোমার পুতুলগুলি বিক্রয় করিতে পারি নাই । বাজারে গিয়া উহাদিগকে একস্থানে রাখিয়া কার্য্যোপলক্ষে একটু দূরে গিয়াছিলাম, ফিরিয়া দেখি তাহার বাস্তাব ধারে, জলাশয়ের পাবে হস্তপদভগ্নাবস্থায় পড়িয়া আছে । বোধ হয় দৌড়িয়া পলাইতে চাহিয়াছিল, পডিয়া গিয়া হাত পা ভাঙ্গিয়া • গিয়াছে।” আজব সমস্তই বুঝিতে পারিলেন । রাগে তাহার শরীর কম্পিত হইতে লাগিল । তিনি রুক্ষ্ম স্বরে বলিলেন—“তুই এখনই বাড়ী হইতে वि श् יין পিতা কর্তৃক বিতাড়িত হইয়া ইব্রাহিম ইতস্তত: ভ্রমণ করিতে লাগিলেন এবং মুক্তি পূজার অসারতা সকলকে বুঝাইতে লাগিলেন। একদিন পর্কোপলক্ষে সকলে বাজারে গিয়াছে। ইব্রাহিম একাকী গৃহে রহিয়াছেন । এই অবসরে তিনি রাজবাড়ীর প্রধান দেবালয়ে প্রবেশ করিয়া কোন মুষ্ঠির হাত, কোন মুর্তির পা, কোন মূর্তির মাথা ভাঙ্গিয়া, সৰ্ব্বাপেক্ষা বৃহৎ মুক্তিটির গলায় একটি কুঠার ঝুলাইয়া রাগিলেন । বাজার হইতে প্রত্যাবর্তন করিয়া মুর্তিগুলিব অবস্থা দেখিয়া সকলে হাহাকার করিতে লাগিল । রাজবাড়ীতে ক্ৰন্দনের রোল উঠিল । দেবতার নিকট গললীকৃতৰাসে কেহ বলিতে লাগিল—“হে আমার দেবতা ! যে তোমাদের হাত পা ভাঙ্গিয়াছে, এই মুহূৰ্ত্তে যদি তাহার হাত পা ভাঙ্গিয়া সে পঙ্গু হয় তবে তোমাদের নিকট আমি একশত বলিদান করিব"-কেহ বলিতে লাগিল—যদি এই মুহূর্বেই সেই পাষণ্ডের ՖօՀՓ F. 9-38