পাতা:শিশু-ভারতী - অষ্টম খণ্ড.djvu/২৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

--------------ا লইতে আজ্ঞা করিলেন । বালিকা তৎক্ষণাৎ ভূমিতে জাকু পাতিয়া করঘোড়ে অবিচলিত গম্ভীরস্বরে ভক্তিভাবে পুরোহিতের সহিত বারবার ভগবানের নাম উচ্চারণ কfরল । তখন পুরোহিত হুন্ড ব্ল্যাণ্ডকে সম্বোধন করিয়া বলিলেন, “বৎস, তুমি চিন্তা করিও না । এই বালিকার মধ্যে কুলক্ষণ বা অশুভ-চিহ্ন দেখিতে পাই না । কিন্তু আমাদের অজ্ঞাত, গুপ্ত ও বিস্ময়াবহ কিছু আছে, আমরা এখনও তাহা জানিতে পারি নাই । তুমি এই সরলা পবি4হদয়া বালিকাকে ঈশ্বরসনক্ষে বিবাহ কবিয়াছ ; উহাকে চিরকাল আদর যম কল্পিও, শিক্ষণ দিও ; লুণী হইবে ।” 5t奪 নল দম্পতিকে আশীব্বাদ করিয়া তাঁহাদের নিকট বিদায় লইয়া পুরোহিত শয়ন করিতে গেলেন । * পুরোহিতের বাকা শ্রবণ কলিয়া ও বালিকার অপাখিপ সৌন্দর্য্য দেখিয়া ছন্ডেপ্রাণ্ডেপ সকল সন্দেহ ও ভয় দুর হইল । সুখে ও আনন্দে বিবাহবাত্রি কাটিয়া গেল । পরদিন প্রভাতে ছল্ড ব্র্যাণ্ডেব প্রফুল্ল মুখ দেখিযা সকলের হৃদয়ে যে এক আশঙ্কা উপস্থিত হইয়াছিল, তাহা বিদূরিত হইল, এবং উ-ডিনের অপু* পরিবর্তন দেখিয়া সকলে বিমুগ্ধ হইল। তাহার সেই অনিন্দ স্থ-দর মুখমণ্ডল প্রেমে কোমল ও প্রতিভায় প্রদীপ্ত হইয়া এক নুতন সৌন্দর্ঘ্যে বিভাসিত হইয়াছে ; তাহার নিৰ্ম্মল পবিত্র আত্মা নয়নে প্রতিলিম্বিত হইতেছে । তাহার বালিক1মুক্তি সলম্বে গম্ভীর ভাবে প্রস্ফুটত। পুরোহিতের নিকট গিয়া বালিকা জাতু পাতিয়া বিনীতস্বরে পূস্বকৃত ব্যবহারের জন্য ক্ষমা চাহিল, এবং তাছার আত্মার উন্নতির জন্য ভগবানের নিকট র্তাহাকে প্রার্থনা করিতে বারবার অগুরোধ করিল। বৃদ্ধ ও বুদ্ধাকে আলিঙ্গন করিয়া অশ্রুরুদ্ধকণ্ঠে বার বার বলিতে লাগিল, “তোমরা কত যত্নে কত অাদরে সস্তানের স্বায় আমাকে প্রতিপালন করিয়াছ, তাহা এতদিনে বুঝিলাম। সেই মেহের কিছু প্রতিস্থান --- Ghچrپstة وعstzةf - Ֆe Ն, օ ~ -- مـمـمـمـج--ساج۔ করি নাই, বরং বিরক্ত করিয়াছি, কত ক্লেশ দিয়াছি। হায় ! এখন কিরূপে তোমাজের ছাড়িয়া যাইব ? সমস্ত দিন উনডিন আগ্রহ ও উৎসাহের সহিত তাহার মাতাকে গৃহকৰ্ম্মে যথাসাধ্য সাহায্য করিল। সহসা সন্ধ্যাকালে উনডিনের আর এক নূতন পরিবর্তন হইল । তাহার নয়ন আশ্র পূর্ণ ও উজ্জল হাস্যময় মুখকমল বিষাদের ছায়াপাতে মলিন হইল, এবং বালিকা নীরবে বারংবার দীর্ঘনিশ্বাস ত্যাগ করিতে লাগিল । অবশেষে ছলন্ডর্যাণ্ডকে ডাকিয়া কুটীরের অল্প একটদুরে লইয়া গিয়া বলিল, “দেখ, জল একেবারে সবিয়া গিয়াছে, নদী কেমন শান্তভাবে বহিয়া যাইতেছে । তুমি এখন অক্লেশে এই স্থান হইতে যাত্রা করিতে পারিবে ।” ছুক্ষবাও সবিস্ময়ে চাহিয়া দেখিল যে, এক রাত্রেই সহসা জল অনেকটা সরিয়া গিয়াছে, এবং জলপ্লাবমেল চিতলমাত্রও নাই । যুবক আনন্দে ও প্রেমপুর্ণনয়নে বালিকার প্রতি চাহিয়া সস্নেহে বলিল, “উনডিন! এখন ত আর এক যাইব না । তুমিও যাইলে ।” কিন্তু উনডিন দীর্ঘনিশ্বাস ফেলিয়া মৃদুকম্পিত স্বরে বলিল, “স্বামিন, তাহা তুমি এখনই স্থির কfরবে । নদীর মধ্যে ঐ ছোট নির্জন দ্বীপের উপর চল। সেপানে তোমাকে সমুদায় বলিব ! আমার কথা শুনিয়া যদি তুমি আমাকে ত্যাগ করিতে চাও, ঐ শীতল নদীবক্ষে আশ্রয় লইব ।” এই বলিয়া উনডিন হুলন্ডব্র্যাগুকে লইয়া ধীরে ধীরে সেই স্থানে গিয়া দ্বীপের শু্যামল ঘাসের উপর বসিল, এবং তাহাকে বলিল, “তুমি আমার সম্মুখে বস, আমি তোমার কাছ হইতে আমার অদৃষ্ট জানিয়া লইব । আমি যাহা বলিব, তাহা মনোযোগের সহিত শ্রবণ কর।” ক্ষণকাল নীরব থাকিয়া উনুডিন, গম্ভীরস্বরে ধীরে ধীরে বলিতে লাগিল,-“তুমি হয় ত জান যে, জগতে অনেক প্রকার প্রাণী আছে—যাহারা সচরাচর মন্ত্রন্থের দৃষ্টির অগোচর। তাহারা পঞ্চভূতে স্বল্প, এবং পঞ্চভূতে লয় পায়। তাহাদের আকুতি মঙ্গুষ্যের ন্যায়। কিন্তু ইহাঙ্কের সর্বদা কেহ দেখিতে পায় না । অগ্নির উজ্জল শিখায় এইরূপ