পাতা:শিশু-ভারতী - অষ্টম খণ্ড.djvu/৩৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

-- জৈ ক্টো লোট অভই ধরণী:পর, তেলী গোদ ন আইইো । লাল কছৈইো নন্দ বব কো, তেরো স্বৎ কচৈষ্টো ॥ কান লায় কছু কছৎ যশোদা, দাউ ছি" নাহি শুলৈছো। চন্দাতুতে অতি সুন্দর তোহি" নবল দুলহনিষা বিযৈহেঁ। তেরী সো মেরী শুন মৈয়া, অবহি বিয়াহন জৈছো । স্বরদাস সব সখা বলাতী নূতন মঙ্গল গৈহেঁ ॥ মা আমার, আমি চাদ লষ্টয়া খেলা করিব। ন৷ দিলে আমি দুধ পাইব না, মাথার বেণী বাধিয়া দিতে দিব না। আমি এখনই প্ৰবণতে লুটাইব, তেবে কোলে যাইব না, আমি নন্দ বাবার পুত্র হইব, তোর পুত্র হইব না। যশোদা কানের কাছে মুখ আনিয়া চুপি চুপি বলিতেছেন, তোমাকে একটি কথা বলি, তাহা বলদেবকে বলিব না, চাদ অপেক্ষা স্বন্দরী বধু আনিয়া তোমাব বিবাহ দিব । ( এই কথা শুনিয়া শিশু আনন্দে বলিল,—তোমার দিবা, মা, চল এখনই বিবাচ্চ করিতে যাইৰ । স্ববদাস বলিতেছেন, সকল সখা ও ববযাত্রীর মিলিয। নুতন মঙ্গল গীত গাঁহিব। শিশু আর একটু বড় হইয়াছে, প্রতিবাসী ব্ৰজগোপীদের ঘরে গিয়া শিকা হইতে ননী চবি করিয়া খাইতে শিখিয়াছে, গোপীরা যশোদার কাছে অভিযোগ করিতেছে, শিশু কৃষ্ণ অভিমান কবিয জয়ী হইতেছে ;– মৈয়া মেরী, ম্যা নহি মাখন খায়ো । ভোর ভয়ো গইয়ন কে পাছে, মধুবন মোহি পঠায়ে । চার পহব বংশীবট শুটকিয়ো, সাঝ পরে ঘর আয়ো ॥ ম্যা বালক, ৰছিয়ন কো ছোটো, ছিকো কিস বিধূ পায়ো ? ॥ গোয়াল বাল সব ব্যাব পরে হ্যা, বর্বস মুখ লপটায়ো ॥ শিশু-ভগৱতী -- ভু জননী মন কী অতি ভোরী, ইনকে কহে পতিয়ায়ো । জিয় তেবে কছু ভেদ উপজ হ্যা, জীন পবাযো জাযে ॥ ইয়হ লে অপনী লকুট কমরিয়া, বহুতষ্ঠী নাচ নচায়ো ॥ সুরদাস তব বিইলি যশোদা লে উব কণ্ঠ লগাযো। মা আমার, আমি মাখন খাই নাই। ভেবেবেলাই ত তুমি আমাকে গরু লইযা মধুবনে পাঠাইযাছিলে। সমস্ত দিন বংশীবটে দাবিযা সন্ধাব সময়ে ঘরে আসিলাম। আমি ত বালক, আমার হাত ছোট, শিকাতে হাত গেল কেমন করিযা ? গোয়ালেল বালকেবা শত্রুত কবিধা আযাব মুখে মাখন মাগাইয়া দিযাছে। মা জননী, তোব মন সাদা ( বা কপটতাহীন ), ইহাদের কথ।য বিশ্বাস কলিলি। আমি পরের ছেলে ৰলিয়া তোপ মনে কিছু ভেদজ্ঞান হুইযাছে । ( যখন এত কথাতে ও যশোদা নবম ছইলেন না, তখন শিশুব শেষ যুক্তি কান্না ও অভিমান । এই নে তেব কৌপিন ও কম্বল, আমাব চাইনা, তুই অনেক নাচ নাচালি। স্থলদাস তখন হাসিয়া ফেলিলেন, ও যশোদা কুষ্ণকে কোলে তুলিযা কণ্ঠে ধাবণ করিলেন। স্থলদাসেব সমসাময়িক ভক্ত কবি না ভাজী "ভক্তমাল’ নামক পুস্তকে ভক্তদের জীবনীর মধ্যে স্থবদাসেব জীবনী লিখিয়াছেন, কিন্তু সে লেখা এত সংক্ষিপ্ত যে, থাকা না থাকা সমান। তাহাতে এইমাত্র আছে যে স্বরদাস দরিদ্র পিতামাতার সন্তান, ভক্ত ও কবি ছিলেন- ‘ভক্তমালেব' টীকাকার লিখিয়াছেন তিনি ব্রাহ্মণ। ইহা ছাড়া এত বড় কবি সম্বন্ধে লিখিবার মত আর কিছু পান নাই। স্বরদাসের মৃত্যুব পব তাছাব কবিতাৰলির প্রথম সংগ্ৰহ-কৰ্ত্তা ছিলেন, ঐ বেরমের একমাত্র পুত্র নবাব আবদুল রহিম খান খান । এই আবদুল রহিম স্বয়ং তুর্কী ফার্স ও হিন্দী ভাষায় একজন উচ্চশ্রেণীর কবি ছিলেন। রহীমের সং সই ( সপ্তশর্তী দোহা সংগ্রহ ) এখনও হিন্দী-সাহিত্য আকাশে উজ্জল জ্যোতিষ্করূপে বিরাজমান। "של צסי