পাতা:শিশু-ভারতী - চতুর্থ খণ্ড.djvu/২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রচারুশিল্প - ۰ م م م - سه ماهه - ]E[ এইবার গহনার গঠনের কথা তোমাদের বলিব । গগনার প্রতি মানুষের আবহমান কাল হইতেই অনুরাগের কথা তোমাদের পূৰ্ব্বেই বলিয়াছি। গহন মানুষের এত প্রিয় যে, কখনো কখনো ফুলের রচিত গহনা পরিতেও মানুষে ছাড়ে না । ত্রিপুরা, মণিপুর প্রভৃতি অঞ্চলে এখনো নানা প্রকারের ফুলের রচা গহনা পরার রেওয়াজ আছে । প্রাচীম সংস্কৃত গ্র.স্থ এইরূপ পুষ্পা ভরণের বর্ণনা ষথেষ্ট পাওয়া যায়। সোনারূপার গহনাগুলির গঠন বেশীর ভাগ পুষ্পপত্র চাইতেই লওয়া । ভারতবর্ষের প্রাচীন গহনা মাত্রেই পদ্মফুলের পক্সা দেখিতে পাওয়া যায়। . প্রাচীনকালে ভারতবরের লোকেরা পৃথিবীর আকার পদ্মের মতন স্থির করিয়াছিল এবং হিনালয় গু হতে সিংগুল ও আফগামিন হইতে কম্বোজ পৰ্য্যন্তই তখনকার দিনের নিদ্ধারিত ভূগোল। এই পদ্মের নক্সান্ধ শঙ্গে আমরা দেখি কীৰ্ত্তিমুপ, পপ, মকর, হংসমিথুন প্রভৃতি কতকগুলি অতি প্রিয় নক্সাও ভারতের প্রাচীন গহনায় স্থান পাইয়াছিল। . ক্রমশ: মোগল আমলে ডালিমফুল, আঙ্গুর, কল্কা, গোলাপের মক্স দেখা দিয়াছিল। চীন দেশের যেমন ড্রাগনের আর্দ্ধ-সপাকৃতি অৰ্দ্ধ-মকরভাবের ছবি সকল নক্সার কাজে তাহারা ব্যবহার করে, প্রাচীন ভারতীয় গহনায়ও ঐরূপ চিহ্নসকল স্থান পাইয়াছিল। নানারূপ মুদ্রাচিহ্ন দ্বার। নানা বিষয় মানুষ বা ৰক্ত করিয়া থাকে । সেই রূপ নক্সার মধ্যে নানান মাঙ্গলিক মুদ্রার ও প্রচলন তখন ছিল । যেমন ( ১ ) সপ্তনদী—যথা –গঙ্গা, যমুনা, নৰ্ম্মদ, কাবেরী, চন্দ্রভাগ, বিতস্তা, সরস্বতী, (২) হিমালয় ও অরণ্যানী, (৩) সূর্য, (৪) পুর্ণকুন্ত, (৫ ) মঙ্গলঘট, (৬) পুষ্প, ( ৭ ) সাপের ফণা, (৮) স্বস্তিক, (৯) শঙ্খ, ( ১• ) তুলাদণ্ড, ( ১১ ) ছত্র, ( ১২ ) অস্ত্র, --- - (১৩) কর্ণফুল, (১৪) ধান্তাধার বা কুনকে— ! এই চোঁদটি প্রধান মাঙ্গলিক চিহ্নস্বরূপ · পুজার বাসন প্রভৃতিতে, দেবতাদের গহনা প্রভূতির নক্সায় ব্যবহার হইতে দেখা যায়। গতমার কাজ সাধারণতঃ তিন প্রকারের হইয়া থাকে। প্রথম, যে সকল গগন। “গড়াই” হয় কেবল "জড়োয়ার” অর্থাৎ মণিমাণিক্যখচিত করিবার জন্য ভৈয়ারী কর। হয়। দ্বিতীয় প্রকার হইল—যাহা কেবল স্বণ* , বা রৌপ্য নিৰ্ম্মিত । এই সকল গহনার গায়ে উৎকীর্ণ কারয় অর্থাৎ চিতাহ (অর্থাৎ চিৎ করিয় উল্ট দিক দিয়। কিয়া ঠুকিয়া উচু করিয়া নক্সা গুলিকে উঠাইয় দেওয়া ) এইরূপ করিয়া নিৰ্ম্মিত গহন। মাদ্রাজ অঞ্চলেই বেশী ব্যবহৃত হয়। বেণীবন্ধ ও নীবিবন্ধের গহনার উপর এই রূপ চেন্তিাহ’ কাজ হইয়া পাকে। " তাহা ভিন্ন অন্ত প্রণালী যাহা অাছে, তাহার প্রেচলন কটক, মুর্শিদাবাদ প্রভূতি অঞ্চলেই প্রসিদ্ধ। ইহাকে তারের কাজ বলে। রূপার । বা সোনার সূক্ষ্ম তার পাকাইয়া পাকাইয়া । নানা প্রকারের গঠন রচনার দ্বারা গহন। গড়ার কাজকেই "ফিলিগিরি” বা তারের কাজ বলে । উড়িষ্যা দেশে ছোট ছোট ছেলেরাই প্রধানতঃ এই কাজ করিয়া থাকে । সূক্ষ্ম কাজে ছোট ছেলেদের চোখ ও হাত । সহজে চলে বেশী। এই তারের কাজ চান- । দেশেও বহু প্রাচীন কাল হইতেই চলিয়া মাসিতেছে । ভারতবর্ষ হইতে বৌদ্ধধৰ্ম্ম চীনদেশে প্রচারের সঙ্গে সঙ্গে এদেশের অনেক শিল্পকলাও যে সেখানে গিয়াছিল, ' তাহ। জানা যায় এবং তারের কাজও যে ঠিক সেরূপে সে দেশে যায় নাই, তাহাও ঠিক বলা শক্ত । জড়োয়ার কাজের চুড়ান্ত কারুনৈপুণ্য ভারতবর্ষের রাজস্যদের পৃষ্ঠপোষকতায় হইয়াছিল এবং প্রাচীনকালে ভারতের উপর বিদেশী রাজাদের আক্রমণের উহাই প্রধান XՀ3Հ --- 一一固