পাতা:শিশু-ভারতী - তৃতীয় খণ্ড.djvu/১৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

--- এ-কথা আমরা আবার আলোচনা করবাল সুযোগ পাব। মুখ থেকে মলদ্বার পর্য্যন্ত আভ্যন্তরিক প্রণালীকে পাক প্রণালী বলা হয়। তোমরা জানযে, খাদ্যদেহের পাক প্রণালীর ভিতর দিয়ে সঞ্চারণ করতে করতে, প্রণালীর বিভিন্ন অংশের নানা আন্তরিক রলের প্রতিক্রিয়ার পর তারপক্কষ্ট অংশ রক্ত পৰাহেমিশিয়ে দেয়। রক্ত প্রবাহের কাজ দুটি,—খাদ্ধাংশ ও অক্সিজেন দেহের সব্বত্র সরবরাহ কথা এবং দেহের ক্ষয়প্রাপ্ত অংশগুলি ও ভূষিত পদার্থ বহন করে নিয়ে বিভিন্ন উপায়ে দেহ হতে বার করে দেওয়া। আমাদের নড়াচড়া, শ্বাস প্রশ্বাস নেওয়া বা অন্ত নানা প্রকার শারীরিক ক্রিয়ার জন্ত পৈশিক ও অন্ত নানা কোষের নিরস্তুর ক্ষয় হচ্চে, অপরদিকে সেই ক্ষৰুপুংণের কাজও তেমনি নিরস্তুর চলছে। বায়াম পেশীর ক্ষুধা বৃদ্ধি করে, অর্থাৎ বায়মে পেশীর ক্ষয় অতান্ত বেশী হয়, কাজেই পেশী রক্ত প্রবাহ থেকে অধিকতর খাদ্য সংগ্রহ করে” পুৰ্ব্বেকাৰ চেয়ে অধিকতর পুষ্ট ও দৃঢ়তর হয় ; পেশী পুষ্টিলাভ করলে এবং এই শক্তির প্রয়োজনের জন্তকোষবৃদ্ধি হলেহ আমরা পূর্কের চেয়ে বলবান হয়ে উঠি । ব্যায়ান অরন্ত করবার প্রথম কয়দিশ সৰ্ব্বাঙ্গে বেদন হয়, কিন্তু প্রায়ই তিন চারিদিন পরে সেইবেদন আর থাকে না, অলপ্ত অধিকতর বাঁধার কোন নুতন ব্যাঘাম যদি অভ্যাল না করা হয়। বেদনার কারণ এই যে, অনভ্যস্ত অভ্যাস ও বাধাব অনুপযুক্ত হওয়াব জন্তপেশীরকোষগুলিভেঙে গিয়ে এক প্রকাব বিষাক্ত পদার্থ স্থাই করে। যতক্ষণ সেই বিপাক্ত পদার্থ রক্তস্রোতে মিশে স্থানান্তরিত না হয় এবং অধিকতর স্বস্থ সবল কোষ তৈরী না হয়, ততক্ষণ বেদন যায় না। দেহের দে অংশের বায়াম কলা হয় সেই অংশে রক্তপ্রবাহ অত্যন্ত দ্রুত হয়ে ওঠে। কারণ, তখন এই রক্ত শিশু-ভগঙ্কতী প্রবাহকে বা কাজ করতে হয়, তার মধ্যে প্রধান সেই অংশেব পেশীর ক্ষুধা মেটাবার জন্ত খাদ্য সরবরাহ করা, ও ক্ষয়িত পদার্থ সরিয়ে নিয়ে যাওয়া। বায়ামের সময়ে পেশীতে ভাঙাগড়ার কাজ একই সময়ে চলতে থাকে। অঙ্গসঞ্চালন ও বাধার কারণে কোষগুলি ভাঙতে থাকে। একটু লক্ষ্য করলেই দেখতে পাৰে যে, তুমি দেহের যে অংশের বায়াম করছ,সাধারণসমঘের চেয়েও সে অংশটা শীত হয়েছে। তার কারণ আর কিছু নয, ঐ অংশটার প্রযোজনের জন্ত সেখানে প্রচুর রক্ত প্রবাহিত ইচ্চে। বায়াম চর্চার দ্বিতীয় মুখ্য প্রয়োজন বিশ্রাম। বিশ্রামের সময় রক্তেৰ খাদাংশ নতন নূতন এবং সবল কোষ তৈরী করে ও বিষাক্ত পদার্থ স্থানান্তরিত হয় । বিশ্রাম ননি। উপায়ে হয়, তার মধ্যে নিদ্রা প্রধান। এখন আমলা দেখতে পাচ্ছি, ৰানাম একটা উপায়ু ব্যতীত আর কিছু নয়। খাদ্য এবং বিশ্রামের একটিরও অভাব হলে বায়াম লাভের না। কয়ে ক্ষতিকর হয় । দৌড়ানোৰ কথায় আমরা এ বিষঘট আবে পরিষ্কার বরে পোঝাতে পারব। দৌড়ানো একটা অত্যন্ত প্রাকৃতিক এবং প্রকৃষ্ট ল্যায়াম। দুরদৌড়ানোতে পেশীর ক্ষয় অত্যন্ত বেশী হয়ে থাকে। ভোমরা ব্যবসাদার দৌড়ৰাজের দেহ দেখলে নিশ্চয় ভাব যে,দৌড়ানো প্রকৃষ্ট ব্যায়াম হওয়া সত্ত্বেও তাদের দেহ স্থপুষ্ট নয় কেন ? তার কারণ এই যে, দুরদৌড়ানোতে দহের যে পেশী ক্ষয় হয়, সেটুকু পুর্ণ করবার জন্ত অত্যন্ত দীর্ঘ ৰিশ্ৰাম ও পুষ্টিকর খাদ্য দরকার। দৌড়বীজেব প্রায়ই পেশীগুলিকে সম্পূর্ণ বিশ্রাম দেবার পূৰ্ব্বেই আবার দৌড় অভ্যাস করে, এবং গতি(speed) অব্যাহত রাখবার জন্ত পেশীনিৰ্ম্মাণকারী প্রধান খাদ্যের অনেকগুলি ব্যবহার করে না। বিবিধ প্রকারেব ব্যায়ামের কথায় আমরা এগুলি বিশদ ভাবে আলোচনা করবার চেষ্টা করব। సెd