পাতা:শিশু-ভারতী - তৃতীয় খণ্ড.djvu/৩০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

={७४ আমাদের অপর একটা ইন্দ্রিয় কানের সঙ্গে চোখের এই ক্ষমতার তুলনা করিলে বোধ হয় তোমরা ব্যপারটা আরও ভাল করিয়া বুঝিতে পরিবে। আলো—যাহা আমরা চোখ দিয়া দেখি এবং শব্দ-যাহ আমরা কানে শুনি, উভয়ই তরঙ্গ ধৰ্ম্মী । শব্দেল বেলা এই তরঙ্গ যে বস্তুকে আশ্রয় করিয়া নিজেকে প্রকাশ করে তাহা আবহ জড় পদার্থ—যেমন বাতাস । আলোর তরঙ্গ যে বস্তুর আলোড়নে তৈয়ারী হয়, সে সঙ্গন্ধে আমরা অবহু বিশেয কিছুই জানি না—তবে এই মাত্র বল চলে যে, তাহা কোনওরূপ জড় পদার্থ নহে । শব্দের বেল1 আমরা জানি যে, তরঙ্গের বড় বা ছোট হ"wার উপরে শব্দ শোনার পার্থক্য পাওয়া যায়। হারমোনিয়ামের বা দিকের চাবি টিপিয়া বাজাইলে যে মোট গম্ভীর শব্দ বাহির হয়, তাহার শব্দ-তরঙ্গেল দীর্ঘত। ডান দিককার চাৰি টিপিলে যে সব শব্দ লাহির হয় তাই। হইতে অনেক বড়। আলোর ক্ষেত্রেও সেইরূপ ব্যাপারই ঘটিয থাকে । তোমরা দেখিয়াছ যে, সাদা অলোর বর্ণ কিরণের এক প্রাস্তুের রঙ লাল। ইছা হারমোনিয়ামের লী-দিকে চাপি টিপিয়া যে শব্দ পাওয়া যায়, তাহার অনুরূপ। কাবণ, ইহাব তরঙ্গেব দীর্ঘতা বর্ণ কিরণের অপব প্রাস্তে অবস্থিত নীল রঙের তরঙ্গেল দীঘতা হইতে বড়। মাঝের বঙগুলির তরঙ্গের দীর্ঘতা সেই অঙ্গুয়ায়ী লড় হইতে ছোট হইয়াগিয়াছে। শব্দের বেলাতেও তরঙ্গের দৈর্ঘ্য যেমন যেমন ছোট হইতে থাকে, শব্দ ও তেমনি ভাবেই মোট रुद्दे८ङ गद्र श्हेtउ, त्sमिtठ •ा७ग्न! पाग्न । ८5थ ७ কানের ক্রিয়। এই পর্য্যস্ত অবশ্য পরস্পরের সঙ্গে তুলনায় এক রকমের। কিন্তু যখন তুই বা ততোধিক তরঙ্গ মিশ্রত হইয়া এই দুইটি ইন্দ্রিয়ের উপর আসিয়া পড়ে, তখন ইহারা উহার সম্পূর্ণ বিপরীত ভাবে আচরণ করে । ছারমোনিয়ামের এক সঙ্গে দুইটা চাবি টিপিয়া चाआs । कूमि *** श्छै। वह अनिरद । ऽानि দুইটা যদি দূরে দূরে থাকে তাছা হইলে মনোযোগ দিলে উহাদের যে কোনও একটাকে তুমি বাছিয়া শুনিতেও পার। তখন অন্যটা তোমার কাছে অস্পষ্ট হইয়া যাইবে। কিন্তু আলোর বেলা চোখের এমনকোনও ক্ষমতা নাই, যাহাতে সে মিশ্র বঙ কে মিশ্র ৰলিয়া ধরিয়া ফেলিতে পাবে। দুই রঙেব দুইটা আলো এক সঙ্গে কবিলে আমাদের চোখ তাহাকে বিশুদ্ধ বলিয়াই ভুল করে। লাল ও সবুজ মিশাইলে F, 5–14 - তাহাকে আমরা পীত দেখী—অথচ পীত নিজে একট। বিশুদ্ধ রঙ । কান প্রতোক শব্দ আলাদা আলাদ৷ করিখ শোণে , চোখের এই বাছিয়া লইবার ক্ষমতা নাই , সে সব-কিছুকে মিলাইলা মিশাইয়া নিজেব মনোমত একটা কিছু বানাইয়। দেখে । চোখ কেমন কবিয়া যে রঙ দেখে, সে সম্বন্ধে বহু গধেষণ হইয়াছে, অথচ কোন পতাকারের সিদ্ধাস্থ এখন পর্যাগু পরিস্কার ভাবে পাওয়া যায় নাই । চোখেল মত এমন একটা জটিল চঞিয়ের সব বিষয়ই નેિ કૃનિ કાન જામ, ૧t cવ મન જન્ના સના বাতুলতা মাত্র। তlছ। ৬1, সত্যকথা বলিতে কি, যত সরল, স্থত সাধারণ অকিঞ্চিৎকাপ বিসয়ই হোক না কেন, বিজ্ঞান কখনও এ কথা বলিতে পালে না যে, তাহার শেষ জানিপাছে । আজি যাইবে সম্বন্ধে এই পিন্ধান্ত করিলাম যে, সামান্য আপ একটুজানিলেই সেসঙ্গন্ধে আমাদেল সব জানাব শেষ ইষ্টম। যাইবে, হযত কালই দেখিব যে, তাছাই সকল হইতে জটিল সমস্ত। হইয়া সামনে আসিয়া দাডাঠয়ছে। যাচ। হউক, চোখের রঙ দেখা ব্যাপারটি সম্বন্ধে মোটামুটি যে সিদ্ধাপ্ত গুলি পাওয়া গিয়াছে, তাহাই তোমাদেব বলিতেছি । মানুষের চোখের ভিতর বঙ, গ্রহণ করিবারতিনটি যক্ষ আছে। চোখ কাটিয়া এই যন্ত্রগুলির একটাকেও অবগু এখনও নিশ্চিত ভাবে বাছির করিতে না পরিলেও তাছাদের অস্তিত্ব সম্বন্ধে নানান ভাবে প্রামাণ পাওয়া যায়। এই যন্ত্র তিনটির প্রত্যেকেরই বর্ণ-কিরণের সব রঙগুলিতেই অল্প বিস্তর সাড়া দিবার *মত থাকিলে ও ইহাদের দুইটা তাহারপ্রান্তভাগের রঙ, দুইটাতে (অর্থাৎ একটা লালচে এবং অপরটা নীলচে ) খুব বেশী করিয়া সাড়া দিয়া উঠে এবং অবশিষ্ট তৃতীয়টি বর্ণ-কিরণের মাঝামাঝি একটা রঙে (প্রায় সবুজ) সবচেয়ে বেশী করিয়৷ সাড়া দিয থাকে। আমাদেবচোগে কোনও রঞ্চ আসিয়া পড়িলে ইহাদের তিনটিই একসঙ্গে উত্তেজিত হয়—তবে তিনটি সমান ভাবে হয় না,কোনওটা হয় বেশী এবং কোনওটা কম। এই তিনটি উত্তেজনার সমষ্টি আমাদের কাছে একটা বিশেষ রঙ রূপে প্রকাশ পায়। এই তিনটির মধ্যে একটি যদি কোনও কারণে অকেজো হুইয়। যায়, ধর, লালের যন্ত্রটি যদি অার কাজ না করে, তাহা হইলে চোখ আর লাল রঙ ভাল করিয়া দেখিতে পায় না। যাহাঁদের এই রূপ লাল রঙের যন্ত্রটি নষ্ট হইয়াছে বা