পাতা:শিশু-ভারতী - তৃতীয় খণ্ড.djvu/৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

--- নিয়ে সোণ ঝরে পড়বে, তোমার ভাড় যখন প্রায় ভরে উঠবে, তখন আমাকে ব’লো ; সাবধান, যদি কোন রকমে সোণ গড়িয়ে মাটিতে পড়ে তবে কিন্তু ভয়ানক বিপদ ঘটবে। বড় ভাই মহা আনন্দে সেই মস্ত বড় ভাড়টা সিংহের মুখেব কাছে ধরলে, মাৰ অম্নি গল গল, করে সোণ1 ঝরে পড়তে লাগলো। সোণায়ু সোণায় ভাড়টি ভৰ্ত্তি হ’য়ে উপচে পড়ে যেতে লাগলে সোণ৷ নীচে–লোভী বড় ভাই, ভাড়টি যখন প্রায় ভক্তি হয়ে এসেছিল, তখন সিংহকে আর সে কথা বলে নাই । হঠাৎ সোণার ঝরণা-ধারা থেমে গেল । সিংহ হুম্ হুম্‌ করে বললে –দেখ, আমার গলাব ভিতর খুব মস্ত বড় এক টুকরো সোণা জাটুকে রয়েছে—তোমাব হাতটা ঢুকিয়ে দিয়ে সেই সোণাটা নিয়ে এস তো ! বড় ভাই লোভী মানুষ, ভাবলে না জানি আরও কত বড় একখণ্ড সোণা পালে, এই না ভেবে যেমন হাত ঢুকিয়ে দিল সিংহের মুখে—অমনি সিংহের দুই দিকের দুই চোয়াল দ্রুম্ কবে আটকে দিল বড় ভাইয়ের হাত । হাত আর কিছুতেই সে বার করতে পারলে। না। কত কাকুতি, কত মিনতি কবলো— কোন ফলই হলো না । এদিকে সে দেখলো ভাড় এক রক্তি সোণাও নেই, আছে শুধু পাথরের টুকরো অাব মাটির ডেলা ৷ সন্ধার সময় স্বামীব খোজে এল বড় ভাইয়ের স্ত্রী। সে স্বামার কাছে জিজ্ঞাসা করলো—একি, তোমার এ দুর্দশ কেন ? বড় ভাই আগাগোড়। সব কথা খুলে বললে। বললো, আমার আর এমন ক্ষমতা নেই যে, আমি সিংহের মুখের ভিতর হতে হাত বার করে নিতে পারি। סי বড় ভাইয়েব স্ত্রী কি আর করবে ? কঁদতে কঁদিতে বাড়ী ফিরে গেল। সে প্রতিদিন দু’বেলা স্বামীকে খাবার দিতে আসত, আর সিংহকে মিনতি জানিয়ে বলত ওকে দয়া কর! দিনের পর দিন যায়, মাসের পর মাস যায়— সে তার সব বেচে কিনে স্বামীকে খাওয়াতে লাগলো । শেযটায় এমন হল যে, কিছুই সে সংগ্রহ করতে পারে না। একদিন মধ্যাহ্নে সে র্কাতে কঁাতে স্বামীর কাছে এসে বললে!— আজ আর আমি তোমার জন্য কোন খাবার আনতে দুই ভাই

    • ांब्रिनि, घtद्र दिछू ८महे, ७९म श्राभारमब्र ठू'८ मtद३ উপোস করে মরতে হবে!

হা-হা-হা-হুম্ হুম্ হুম-সিংহ একথা শুনে বিকট শব্দে হেসে উঠলো—অমনি তার দুই চোয়াল খুলে গেল। আমনি বড় ভাই তাড়াতাড়ি তার হাত বার করে নিয়ে ছুটে পালালো ! দৌড়তে দৌড়তে তারা দুই জনে গিয়ে হাজির হল ছোট ভাইয়ের বাড়ীতে । ছোট ভাই, বড় ভাইয়ের কাছে তার দুরবস্থার কথা গুনে খুব গাল-মন্দ দিল ; বললে। যারা অতি লোভী, তাদের অনুষ্টে এমনি সাজাই হয়। ছোট ভাই বড় যারা অতি লোভী হয় তাদের এমন সাজাই হযু ভাইয়ের সব দোষ ক্ষমা করে অনেক টাকা দিয়ে ক্ষেত-খামাব, বাড়ী-ঘর তৈরী করে দিয়ে বললো— এবার থেকে আর লোভ করে। না-ক্ষেত-খামার দেখে শুনে শাস্তিতে থাক । একদিন যে ছোট ভাইকে বাড়ী থেকে তাড়িয়ে দিতে এতটুকু কুষ্ঠা করে নি, আজ সেই ছোট ভাইয়ের রূপ ও যত্বে তার বঁচিবার পথ হল । এদিকে ছোট ভাই মাকে নিয়ে পরম স্বথে ও শাস্তিতে বাস করতে লাগলো—অতি মুখে তাদের দিন যেতে লাগলো। ৮২৩