পাতা:শিশু-ভারতী - তৃতীয় খণ্ড.djvu/৪৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

--- শিশু- ੲੀਵੜੀ ------- আমাদের শীর ঘুমায় না। আমাদের শ্বাস-প্রশ্বাস চলতেই থাকে অব যে সব দুষ্পাচ্য জিনিস খেয়ে রাত্রিতে ঘুমুস্তে যাই, ঘুমস্ত অবস্থায় আমাদের পাকস্থলার তাকে পরিপাক কবে ফেলতে কোনও অস্থলিপ হয় না। তাহলে কথা এষ্ট দাড়ায় যে, আমাদেব শবাবেৰ সমস্ত ক্রিয৷ যদি অবিশ্রান্তভাবে চলতে পারে, তাহলে আমাদেব অন্যান্য অঙ্গের তুলনায় অনেক অল্প পরিশ্রম কবে যে মগজ, তাব কি জন্য ২৪ ঘণ্টায় অস্তত: একবাব দীর্ঘ বিশ্রামেব প্রয়োজন হয়। মাহুলের কথা ছেড়ে দিলে দেখতে পাওযা যায়, ইতর প্রাণীদেব মধ্যে অনেকেব মোটেই ঘুমের দরকার হয় না, এমন কি কেউ কেউ বিশ্রামও করে না। তাই সব দিক দিয়ে বিচার ক’লে বলতে হ’লে এই কথাই বলতে হয় যে, “খুম কেন পায”—এ প্রশ্নের সত্যিকাবেল উত্তর আমরা জানি না । তবু বৈজ্ঞানিকেবা নানা দিক চিস্থা ক’রে যতটুকু সিদ্ধান্ত করতে পেরেছেন, তা জেনে বাগ। বোধ হয় ভাল । সে কথাই তোমাদের বলছি । তেশ্বর সবাই বোধ হয় এটা লক্ষ্য কবেছ যে, যে দিনটায় খুব খেলা-ধুলো হৈ-চৈ ক’রে ক্লাস্ত হয়ে পণ্ডি সেদিন সন্ধা হতে না হতেই ঘুমে চোখ ভারি হয়ে আসে । তাই এই কথাটা বোধ হয় বলা চলে পবিশ্রান্ত হবাব সঙ্গে ঘুমের একট। নিকট সম্পর্ক আছে । খুব পরিশ্রম করবার সময় স্বায়ুগুলির ক্রিয়া প্রততর হয়ে উঠে ব’লে কতকগুলি বিয (Toxin) শরীবে জন্মায়। এই বিযগুলি একত্ৰ হ’তে হ’তে শেষ পৰ্য্যন্ত এত বেশী হ’য়ে পড়ে যে, স্বায়ুকেন্দ্র (Nerve contrr"-গুলির যে স্তর বা ভাগ আমাদেব সজ্ঞান বা জাগ্রত অবস্থাকে সঠিক অবস্থায় রাখে, এ তাদেব চেপে রাখতে বা ওক্ক ক’রে ফেলতে চায়। শমের সময, বিশেষ ক'রে ঘুমের প্রথম অবস্থায় এই বিসগুলো শরীর থেকে অস্থদ্ধান করে । তাই জেগে উঠলে আমরা আবাব চাঙ্গ হয়ে উঠি । এই বিষগুলে। আমাদের শরীরে থাকূলে আমাদের জেগে থাকা রূহ হয়ে ওঠে । তাদের অবশ্য কেউ চোখে দেপতে পায় না। তবে এ দেখতে পাওয়া গেছে যে, খুব পরিশ্রাস্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়তে চাচ্ছে এমন একটা জন্তুল শবীর থেকে রক্ত নিয়ে যদি এমন আর একটা জন্তু, যার মধ্যে খুমের কোনও চিহ্ন তখন নেই, তার শরীরে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়, তবে এই দ্বিতীয় জন্তুটিও তৎক্ষণাৎ ঘুমিয়ে পড়ে। শবর পরিশ্রাঙ্গ ব৷ ক্লাস্ত হ’লে আমাদের মাথার স্বাভাবিক রক্ত চলাচলের ক্রিয় কমে আসে, অন্য পক্ষে গভীর ঘুমের সময় দেখতে পাওয়া গেছে, মাথাব মধ্যে এই রক্তের চলাচল হওয়া অনেক পরিমাণে বেড়ে গেছে । এই ব্যাপার থেকে এই মনে হয় যে, স্নায়ুমণ্ডলীৰ অত্যধিক ক্রিয়াব ফলে মাথার মপ্যে যে বিযগুলো জমা হচ্ছিল, ঘুমের সময় মাথার মধ্যে বেশ বেশী রক্ত গিয়ে সেগুলোকে পবিষ্কার হয়ে যেতে সাহায্য করল । | তা যাই হ’ক না কেন, ঘুম সম্বন্ধে সবচেয়ে જર્મન কথা এই যে, সাধারণতঃ অব্যাহত ভাবে আমাদের যে জাগ্রত অবস্থাটা বর্তমান বয়েছে, তা থেকে যে জন্যই হ’ক না কেন, অব্যাহত ভাবে আর থাকতে পারছে না। দুইটা জাগ্রত অবস্থাব মধ্যবৰ্ত্তী এই যে অবস্থা, যাকে বোধ হয় আমর। স্বপ্তাবস্থা বলতে পারি, আর যাব সম্বন্ধে আমাদের নিজেদের কোনও জ্ঞান হওয়া সম্ভব নয়, সে অবস্থাটায় আমরা আমাদের জীবনের অনেক সময় অতিবাহিত করি । হিসেব কবলে দেখতে পাওয়া যায় যে, আমাদেব জীবনের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ সময় আমরা ঘুমিয়েই কাটাই। তাই বলে এতে লজ্জার কোনও কারণ নেই । যতদূর দেখতে পাওয়া গেছে, বুদ্ধিমান প্রাণীদেরই ঘুমের দরকার হয় । যে সব প্রাণীর বুদ্ধিবৃত্তি খুব উন্নত নয়, তারা ঘুমের ধার ধারে না। গিনিপিগ-এর মস্তিষ্কের পরিমাণ নামমাত্র। গিনিপিগ তোমরা নিশ্চয়ই কেউ কেউ পুষেছ, লক্ষ্য করে দেখো, তারা কখনও ঘুমায় কি ? অথচ ঘোড়া বা কুকুরের মত যথেষ্ট বুদ্ধিসম্পন্ন প্রাণীরা সুবিধা পেলেই ঘুমিয়ে পড়ে। তাই ঘুমকে বুদ্ধিবৃত্তির উপর কর (Tax)-স্বরূপ বলা যেতে পারে। তাই ব'লে সময়ে অসময়ে ইচ্ছায় বা ইচ্ছার বিরুদ্ধে যে সব ঘুম তোমাদের পায়, তাকে খুব বুদ্ধিবৃত্তির পরিচায়ক বলে প্রচার করতে যেন যে ও না । এ করতে গেলে শুধু যে অতি-বুদ্ধির পরিচয় দেওয়া হবে, তাই নয়, এ মনোভাব নিয়ে অযথ ঘুমকে প্রশ্রয় দিলে তোমাদের মুল্যবান সময় যা নষ্ট হবে, তার অাব পূৰণ হবে না। আমাদের জীবন কাজ করবার জন্তে-ঘুম সেই কাজকে সাহায্য করবে বলেই জীবন স্বষ্টি ক’রে নিয়েছে। তাই অভ্যাস এমন করা উচিত যে, ঘুম আমাদের কাজকে সাহায্যই করবে-তার কখনও .उषविद्राघ श्'tद्म नैfस्ttद न। । - H ....-.-م