পাতা:শ্রীকান্ত - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৪৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>犁 छैकाख् হই, সেদিন সেই আশ্রয়হীন সুদূৱ বিদেশে তুমি ছাড়া আমার যাইবার স্থান ছিল না। কখনো একটি মুহুর্তের জন্যও তুমি দ্বিধা কর নাই – সমস্ত হৃদয় দিয়া পীড়িতকে গ্ৰহণ করিয়াছিলে । অথচ তেমনি রোগে, তেমনি সেবা করিয়া আর কখনো যে কেহ আমাকে বাঁচায় নাই, এ কথা বলি না ; কিন্তু আজ অনেক দূরে বসিয়া উভয়ের প্রভেদটাও অনুভব করিতেছি। উভয়ের সেবার মধ্যে, নির্ভরের মধ্যে অন্তরের অকপট শুভকামনার মধ্যে, তোমাদের নিবিড় স্নেহের মধ্যে গভীব ঐক্য রহিয়াছে ; কিন্তু তোমাদের মধ্যে এমন একটা স্বার্থলেশহীন সুকোমল নিলিপ্ততা, এমন অনির্বচনীয় বৈরাগ্য ছিল যাহা কেবলমাত্র সেবা করিয়াই আপনাকে আপনি নিঃশেষ করিয়াছে । আমার আরোগ্যের মধ্যে এতটুকু চিহ্ন রাখিতে একটি পা-ও কখনো বাড়ায় নাই, তোমার এই কথাটাই আজ বারংবার মনে পড়িতেছে। হয়ত অত্যন্ত স্নেহ আমার সিহে না বলিয়াই-হয়ত বা স্নেহের যে রূপ একদিন তোমার চোখে-মুখে দেখিতে পাইয়াছি, তাহারই জন্য সমস্ত চিত্ত উন্মুখ হইয়া উঠিয়াছে। অথচ তোমাকে আর একবার মুখোমুখি না দেখা পৰ্যন্ত ঠিক করিয়া কিছুই বুঝিতে পারিতেছি না। সাহেবের চিঠিখানাও শেষ করিয়া ফেনিলাম । একসময়ে তিনি আমার সাত-সত্যই বড় উপকার করিাছিলেন । ইহার জন্য তঁহাকে অনেক ধন্যবাদ দিয়াছি। প্ৰাৰ্থনা কিছুই করি নাই, কিন্তু এই দীর্ঘকাল পরে সহসা গায়ে পড়িয়া এমন ধন্যবাদ দিবার ঘটা দেখিয়াও নিজের কাছেই নিজের লজ্জা করিতে লাগিল। ঠিকানা লিখিয়া খামে বন্ধ করিতে গিয়া দেখি সময় উত্ত। ণ হইয়া গিয়াছে, এত তাড়াতাড়ি করিয়াও ডাকে দেওয়া গেল না, কিন্তু মন তাহাতে ক্ষুন্ন না হইয়৷ যেন স্বস্তি অনুভব করিল। মনে হইল এ ভালই হইল যে, কাল আর একবার পড়িয়া দেখিবার সময় মিলিবে । রতন আসিয়া জানাইল কুশারীগৃহিণী আসিয়াছেন, এবং প্ৰায় সঙ্গেসঙ্গেই তিনি আসিয়া ঘরে প্রবেশ করিলেন । আমি কিছু ব্যতি স্বাস্ত হইয়া উঠিলাম, কহিলাম, তিনি ত বাড়ী নেই, ফিরে আসতে বোধ করি। नका श्व !