পাতা:শ্রীকান্ত - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৪৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

y a y छैकाख তার বাপ-মায়ের বেশি ভালবাসত ; কিন্তু যে দিন থেকে শুনেছে তার ভাশুরে 1 বিষয় পাপের বিষয়, সেইদিন থেকে তার সমস্ত মন যেন একেবারে পাথৰ হয়ে গেছে। স্বামী-পুত্র নিয়ে সে দিনের পর দিন শুকিয়ে মরবে, তবু এব কড়াক্ৰান্তি ছোবে না ; কিন্তু এতবড় সম্পত্তি কি আমরা ফেলে দিতে পারি বাবু? সে যেমন দয়ামায়াহীন-ছেলেপুলে নিয়ে না খেয়ে মরতেও পাবে, কিন্তু আমরা "ত তা পারি। নে । কি জবাব দিব ভাবিয়া পাইলাম না, শুধু আস্তে আস্তে কহিলাম, আশ্চৰ্যা মেয়েমানুষ । বেলা পডিযা আসিতেছিল, কুশারীগৃহিণী নীরবে কেবল ঘাড় নাড়িয়া সায় দিয়া উঠিয়া দাড়াইলেন ; কিন্তু হঠাৎ দুই হাত জোড় করিয়া বলিয়া ফেলিলেন, সত্যি বলছি বাবু এদেব মাঝে পড়ে আমাৰ বুকখানা যেন ফেটে যেতে চায ; কিন্তু শুনতে পাই আজকাল সে মা’র নাকি বড বাধ্য-কোন একটা উপায় হয় না ? আমি যে আর সইতে পারিনে ! আমি চুপ করিয়া বহিলাম। তিনি আর কিছু বলিতে পারিলেন নাতেমনি অশ্রু মুছতে মুছিতে নিঃশব্দে বাহির হইয়া গেলেন । ሸጫ মানুষের পরকালের চিন্তাব মধ্যে নাকি পরের চিন্তার ঠাই নাই, না হইলে আমার খাওয়া-পরার চিন্তা রাজলক্ষ্মী পরিত্যাগ করিতে পারে এতবড় বিস্ময় সংসাবে আর কি আছে ? এই গঙ্গামাটিতে আমরা কতদিনই বা আসিয়াছি, এই ক’টা দিনের মধ্যেই হঠাৎ সে কতদূরেই না। সরিয়া গেল!! আমাব খাবাব কথা জিজ্ঞাসা করিতে আসে এখন বামুনঠাকুর, আমাকে খাওয়াইতে বসে রতন। একপক্ষে বঁচিয়াছি, সে দুলঙ্ঘ্যি পীড়াপীড়ি আর নাই। রোগা শরীরে এগারোটার মধ্যে না খাইলে এখন আব্ব অসুখ করে না। এখন যেমন ইচ্ছা, যখন ইচ্ছা খাই। শুধু রতনের পুনঃ পুন: উত্তেজনায় ও বামুনঠাকুরের সখেদ আত্মভৎসনায় স্বল্পাহারের