পাতা:শ্রীকান্ত - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৫৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

årig আমরা যা করি। গোবিন্দজীর প্রসাদ কেউ ত আর কেড়ে নিতে পারবে না । তা জানি ; কিন্তু বৈরাগীগিরি আমার নতুন নয়। বৈষ্ণবী হাসিয়া বলিল, তা বুঝেছি, ধাতে সয় না বুঝি ? না, বেশীদিন সয় না । বৈষ্ণবী মুখ টিপিয়া হাসিল, কহিল, তোমার কমই ভাল। ভেতরে এসো, ওদের সঙ্গে ভাব করিয়ে দিই। এখানে কমলের বন আছে। তা শুনেছি ; কিন্তু অন্ধকারে ফিরব কি করে ? বৈষ্ণবী পুনশ্চ হাসিল, কহিল, অন্ধকারে ফিরতেই বা আমরা দেবো কেন ? অন্ধকার কাটবে গো কাটবে !! তখন যেয়ো ! t(Ti lی চলে । বৈষ্ণবী কহিল, গৌর ! গৌর ! গৌর গৌর, বলিয়া আমিও অনুসরণ করিলাম। যদিচ ধৰ্ম্মাচরণে নিজের মতিগতি নাই, কিন্তু যাহাঁদের আছে তাহাদেরও বিঘ্ন ঘটাই না। মনের মধ্যে নিঃসংশয়ে জানি ঐ গুরুতর বিষয়ের কোন অন্ধিসন্ধি আমি কোনকালে খুজিয়া পাইব না। তথাপি ধাৰ্ম্মিকদের আমি ভক্তি করি । বিখ্যাত স্বামীজী, স্বখ্যাত সাধুজী-কাহাকেও ছোট-বড় করি না, উভয়ের বাণীই আমার কর্ণে সমান মধু বর্ষণ করে। বিশেষজ্ঞদের মুখে শুনিয়াছি বাঙলা দেশের আধ্যাত্মিক সাধনার