ëviv 歌鲁 বাঙলার নিজস্ব খাটি জিনিস। ইতিপূর্বে সন্ন্যাসী-সাধুসঙ্গ কিছু কিছু কবিয়াছি, ফললাভের বিবরণ প্ৰকাশ করিতে ইচ্ছা কবি না, কিন্তু এবার যদি দৈবাৎ খাঁটি বস্তু কপালে জুটিয়া থাকে ত এ সুযোগ ব্যর্থ হইতে দিব না। সঙ্কল্প করিলাম। পুটুব বৌভাতেব নিমন্ত্রণ আমাকে বাখিতেই হইবে, অন্ততঃ সে কযটা দিন কলিকাতাব নিঃসঙ্গ মেসেব পরিবর্তে বৈষ্ণবী-আখডার আশেপাশে কোথাও কাটাইতে পারিলে আর যাই হোক, জীবনেব সঞ্চাযে বিশেষ লোকসান ঘটবে না। ভিতরে আসিযা দেখিলাম কমললতাব কথা মিথ্যা নয, সেথায কমলেব বনই বটে, কিন্তু দলিত বিদলিত। মত্তহস্তিকুলেব সাক্ষাৎ মিলিল না, কিন্তু বহু পদচিহ্ন বিদ্যমান। বৈষ্ণবীব নানা বয়সেব ও নানা চেহাবাব, এবং নানা কাজে ব্যাপৃত। কেহ দুধ জ্বাল দিতেছে, কেহ ক্ষীব তৈবী কবিতেছে, কেহ নাড়ু পাকাইতেছে, কেহ ময্যদা মাখিতেছে, কেহ ফলমূল বানাইতেছে-এ সকল ঠাকুবেব বাত্রেব ভোগেব ব্যাপাব । একজন অপেক্ষাকৃত অল্পবয়সী বৈষ্ণবী একমনে বসিয়া ফুলেব মালা গাঁথিতেছে, এবং তাহাবই কাছে বসিযা আব্ব একজন নানা বঙেব ছোপানো ছোট ছোট বস্ত্ৰখণ্ড সযত্নে কুঞ্চিত কবিয়া গুছাইয়া তুলিতেছে, সম্ভবতঃ শ্ৰীশ্ৰীগোবিন্দজিউ কাল স্নানান্তে পবিধান কবিবেন । কেহই বসিযা নাই, তাহাদেব কাজেব আগ্রহ ও একাগ্ৰতা দেখিলে আশ্চৰ্য্য হইতে হয়। সকলেই আমাব প্ৰতি চাহিয়া দেখিল, কিন্তু নিমেষমাত্র। কৌতুহলেব অবসর নাই, ওষ্ঠাধব সকলেবই নডিতেছে, বোধ হয মনে মনে নাম জপ চলিতেছে। এদিকে বেলা শেষ হইয়া দুই একটি করিয়া প্ৰদীপ জ্বলিতে সুক কবিয়াছে। কমললত কহিল, চলো, ঠাকুর নমস্কার কবে আসবে ! কিন্তু, আচ্ছা-তোমাকে কি বলে ডাকবো বলো ত ? নতুনগোঁসাই বলে ডাকলে হয় না ? বলিলাম, কেন হবে না ? তোমাদের এখানে গহয় পৰ্য্যন্ত যখন