পাতা:শ্রীকান্ত - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৬৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

yo শ্ৰীকান্ত নাকি ? কই যাও ত দেখি ! এই বিদেশে বিপদ ঘটলে দেখবে কি ? ওরা না। আমি ? এবার তাহাকে চিনিলাম। এই জোরই তাহার চিরদিনের সত্য পরিচয়। জীবনে এ আর তাহার ঘুচিল না। -এ হইতে কখনো কেহ তাহাব কাছে অব্যাহতি পাইল না । আবার পথের প্রান্তে মরিতে বসিয়াছিলাম, ঘুম ভাঙিয়া চোখ মেলিয়া দেখিলাম শিয়রে বসিয়া সে। তখন সকল চিন্তা সঁপিয়া দিয়া চোখ বুজিয়া শুইলাম। সে ভাব তাহাব, আমার নয়। দেশের বাউীতে আসিয়া জ্বরে পড়িলাম, এখানে সে আসিতে পাবে না-এখানে সে মৃত্যু-এর বাড়া লাজ তাহাব নাই, তথাপি যাহাকে কাছে পাইলাম। সে ওই রাজলক্ষ্মী । চিঠিতে লিখিয়াছে।--তখন তোমাকে দেখিবে কে ? পৃঢ় ? অাব আমি ফিরিব শুধু চাকিবের মুখে খবব লইয়া ? তারপরেও বঁচিতে বলো নাকি ? এ প্রশ্নের জবাব দিই নাই। জানি না বলিয়া নয়--সাহস श्श नाझे ? মনে মনে বলিলাম, শুধু কি রূপে ? সংযমে, শাসনে, সুকঠোর আত্মনিয়ন্ত্রণে এই প্রখর বুদ্ধিশালিনীর কাছে ঐ স্নিগ্ধ সুকোমল আশ্রমবাসিনী কমললতা কতটুকু ? কিন্তু ওই এতটুকুব মধ্যেই এবার যেন আপনি স্বভাবেব প্ৰতিচ্ছবি দেখিয়াছি। মনে হইয়াছে ওর কাছে আছে আমার মুক্তি, আছে মৰ্য্যাদা, আছে আমার নিঃশ্বাস ফেলিবার অবকাশ ! ও কখনো আমার সকল চিন্তা, সকল ভালোমন্দ আপন হাতে লইয়া রাজস্ব স্বল্পীর মতো আমাকে আচ্ছন্ন করিয়া ফেলিবে না । ভাবিতেছিলাম কি করিব বিদেশে গিয়া। কি হইবে আমার চাকরীতে ? নূতন তা নয়—সেদিনেই বা কি এমন পাইয়াছিলাম যাহাকে ফিরিয়া পাইতে আজ লোভ করিতে হইবে ? কেবল কমললতাই তা বলে নাই, দ্বারিকাগোসাইও একান্ত সমাদরে আহবান