R कच्छुः দিলে, বলিল, বিষের গাছ নিজের হাতে পুতে এইবার তাতে ফল ধরলো। খেতে পারি নে, শুতে পারি নে, চােখের ঘুম গেলো শুকিয়ে, এলোমেলো কত কি ভয় হয় তাব মাথামুণ্ড নেই-গুরুদেব তখনো বাডিতে ছিলেন, তিনি কি একটা কবজ হাতে বেঁধে দিলেন, বললেন, মা, সকাল থেকে এক আসনে তোমাকে দশহাজার ইষ্টনাম জপ করতে হবে। কিন্তু, পাবলুম কই ? মনের মধ্যে হু হু করে, পূজোয় বসলেই দুচােখ বেয়ে জল গডাতে থাকে—এমনি সময়ে এলো তোমার চিঠি। এতদিনে বেগ ধবা পড়লো। কে ধরলে-গুরুদেব ? এবার বোধ হয়। আর একটা কবজ লিখে দিলেন ? হঁ। গো, দিলেন। বলে দিলেন সেটা তোমার গলায় বেঁধে five তাই দিও তাতে যদি তোমার রোগ সাবে। রাজলক্ষ্মী বলিল, সেই ঠিকানা নিয়ে আমার দুদিন কাটলো । কোথা দিয়ে যে কাটলো জানি না। রতনকে ডেকে তার হাতে চিঠির জবাব পাঠিয়ে দিলুম। গঙ্গায় স্নান কবে অন্নপূর্ণার মন্দিবে। দাড়িয়ে বললুম, মা, চিঠিখানা সময় থাকতে যেন তার হাতে পড়ে। আমাকে আত্মহত্যা করে না মরতে হয়। আমার মুখের পানে চাহিয়া বলিল, আমাকে এমন করে বেঁধেছিলে কেন বলে তা ? সহসা এ জিজ্ঞাসার উত্তর দিতে পারিলাম না। তারপর বলিলাম, এ তোমাদের মেয়েদেরই সম্ভব। এ আমরা ভাবতেও পারি। নে, বুঝতেও পারি নে। স্বীকার করো ? করি। রাজলক্ষ্মী পুনরায় এক মুহুৰ্ত্ত আমার প্রতি চাহিয়া থাকিয়া কহিল, সত্যিই বিশ্বাস করো। এ আমাদেরই সম্ভব, পুরুষে সত্যিই A Pts at