বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:শ্রীরাজমালা (প্রথম লহর) - কালীপ্রসন্ন সেন বিদ্যাভূষণ.pdf/১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ه/e লেখককে আমি বালক বয়সে দেখিয়াছি।” এই বাক্য রাভ মালার প্রথম খণ্ডের রচয়িতাগণের প্রতি আরোপ হইতে পারে না । কারণ, পাঁচশত বৎসর পুর্বে যে গ্রন্থ রচিত হইয়াছে, মহারাজ বীরচন্দ্র মাণিক্যের বাল্যকালে তাহার রচয়িতাদিগকে দেখা কোন ক্রমেই সস্তবপর নহে। রাজমালার বর্তমান পাণ্ডুলিপি সমূহের মধে; একখানা আলোচনায় জানা যায়, তাহ ১২৫৬ ত্রিপুরাব্দে লিখিত হইয়াছে। এই সময়ের লিখিত অন্যান্য আরও অনেক পাণ্ডুলিপি রাজগ্রন্থ-ভাণ্ডারে পাওয় যাইতেছে। এ তদ্বারা বুঝা যায়, সে কালে অনেকগুলি গ্রন্থ নকল করা হইয়াছিল । মহারাজ বীরচক্সের বয়সের হিসাব ধরিলে দেখা যাইবে, ইহা মহারাজের শৈশবের কথা। র্তাহার শিশুকালের এই দৃশ্ব স্মরণ ছিল এবং তাহাই পত্রে লিখিয়াছেন, সমস্ত অবস্থা আলোচনা করিলে ইহাই সস্তব বলিয়া মনে হয়। বিশেষতঃ লেখক’ ও ‘রচয়িত এক কথা নহে। মহারাজের পত্রস্থ 'লেখক’ শব্দ পূর্বোত্ত অনুমানকেই পোষণ করিতেছে । বাঙ্গালী রাজমালার প্রথমাংশ যে পাঁচশত বৎসরের প্রাচীন, এ বিষয়ে কাহারও সংশয় নাই। এসিয়াটিক সোসাইটীয় জাৰ্ণেল ও একথার সাক্ষ্য প্রদান করিতেছে । ৪ এস্থলে আর একটী কথা মনে হয়। রাজমালার ৬ষ্ঠখণ্ড মহারাজ কৃষ্ণকিশোর মাণিক্যের রাজত্বকালে ( ১২৩৯ হইতে ১২৫৯ ত্রিপুরাদের মধ্যে ) রচিত হইয়াছে। এই খণ্ডের রচয়িত স্বগীয় উজীর দুর্গামণি ঠাকুর । ইহ। মহারাজ বীরচন্দ্র মণিক্যের বাল্য জীবনের ঘটনা। পূৰ্ব্বোক্ত পত্রে 'লেখক' শব্দ দ্বারা যদি রচয়িতাকেই লক্ষ্য করা হইয়া থাকে,তবে এই ৬ষ্ঠ খণ্ডের রচয়িতার কথাই বলা হইয়াছে, ইহ। নিঃসংশয়ে নিৰ্দ্ধারণ করা যাইতে পারে । অনেকের বিশ্বাস, সমগ্র রাজমালা এক সময়ে রচিত হইয়াছে ; এই ধারণা প্রমাদ শুষ্ঠ নহে। মহারাজ দৈত্য হইতে মহারাজ কাশীচন্দ্র মাণিক্যের শাসনকাল পর্যাস্তের বিবরণ ক্রমান্বয়ে ছয়বাবে রাজমালায় গ্রথিত হইয়াছে । এই ছয় বারের রচনাকে ছয়ট লহরে বিভক্ত করা হইল । প্রত্যেক লহরের সংক্ষিপ্ত বিবরণ নিম্নে প্রদান করা যাইতেছে । প্রথম লহর বিষয়—দৈ ত্য হইতে মহামাণিক্য পর্য্যন্ত বিবরণ। বক্তা—বাণেশ্বর, শুক্রেশ্বর ও দুল্ল ভেন্দ্র নারায়ণ । শ্রোত!—মহারাজ ধৰ্ম্মমাণিক্য । ब्रछनांकांल-भुं: नषं★नल अंऊांकौग्न थांब्रख । সমগ্র রাজমালা এক जभएब्रब्र ब्रक्रिड मtश् ।

  • J. A. S. B.-Vol. XIX,