পাতা:শ্রীশ্রীচৈতন্যমঙ্গল.djvu/১৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ԳՀ चॆयेष्ठडश्छभघ्रल আর কিছু নিবেদিয়ে শুন বিশ্বম্ভর । " এ বোল বলিতে কণ্ঠে গদগদম্বর ॥ ১৬১ ৷ ছলছল করে আঁখি করুণার জলে। ! লক্ষ্মী-কর পরি দিল বিশ্বস্তুর-করে ॥ ১৬২ ৷ আজি হৈতে লক্ষী তোরে কৈল্প সমৰ্পণ। জানিঞা করিলে ইহার ভরণ-পালন ॥ ১৬৩ ৷ মোর ঘরে ছিল লক্ষী ঘরের ঈশ্বরী। আজি হৈতে তোর দামী কুলের বছর ॥১৬৪ মোর ঘরে ছিল এই স্বচ্ছন্দ-আচারে। আথটি করিয়া মায়ে করিত আহারে ॥১৬৫ ৷ মোর ঘরে অাছিল। এ মা-লাপের কোলে । যথ তথা হৈতে আইলে পরেসিয়া গেলে। সভার দুলালী লক্ষী-আমি অপুত্ৰক।। ঘরমধ্যে সবে মোর এইটি লালিক৷৷ ১৬৭ ৷ আমি কি বলিব—এই তোর নিজজন ! মোহে মুগ্ধ হএগ বলি যতেক বচন ॥ ১৬৮ ৷৷ এই যে বলিল সেই আমি মূঢ়মতি। ' কি করিব মোর মায়া তুমি যার পতি ॥ ১৬৯ ৷ ত্ৰিভুবনে নাহি লক্ষীসম ভাগ্যবতী । । অামি যত বলি সেই এ মোহ-পারিতি ॥ ১৭০ ৷ এতেক বলিয়া মিশ্র কৈল সম্বরণ। ঢল ঢল সকরুণ অরুণনয়ন ৷ ১৭১ ৷ চলিল। সেই বিশ্বস্তর নিজপ্রিয়া বামে! লক্ষীর সহিত চড়ে মনুষ্যের যানে ॥ ১৭২ ৷৷ শঙ্খ-দুন্দুভি বাজে- জয়-জয়-রোল। নানালিধ বাদ্য বাজে আনন্দহিল্লোল ॥ ১৭৩ ৷ ব্রাহ্মণেতে বেদ পঢ়ে ভাটে রায়বার । , সম্মুখে লাটুয়া নাচে-আনন্দ অপার। ১৭৪ ৷ বয়স্ত-বেষ্টিত প্ৰভু চলি যায় পথে । l অন্তরীক্ষে দেবগণ চলে দিব্যরথে ॥ ১৭৫ ৷ , এথা শচী তানন্দিত আইহ-সুহ লৈয় । । পুত্ৰ-মহোৎসবে বুলে কৌতুক করিয়া ॥১৭৬ সশখ মঙ্গলঘট পাতিল দুয়ারে । . নারিকেল-ফল দিল ভাহার উপরে ॥ ১৭৭ ॥ } নিৰ্ম্মঞ্ছন-সজ্জ আর ঘৃত-বাতি জ্বলে। ঘরেরে আইলা প্ৰভু সেই শুভকালে ॥১৭৮ ৷৷ বিশ্বস্তুর-নিৰ্ম্মঞ্ছন করে নারীগণ । জয় জয় ছলাহুলি সুগীত নাচন ॥ ১৭৯ ॥ নানাবিধ বাদ্য বাজে আনন্দ অপার । সৰ্ব্বসুখময় হৈল শচীর আগার ॥ ১৮০ ॥ উঠিল মঙ্গলধবনি আনন্দ বিশেষ । লক্ষী-কর ধরি নিজ গৃহে পরবেশ ॥১৮১ ॥ পুত্র আর বধু কোলে করে শচীদেলী । দুৰ্ব্ব-ধান্ত দিয়া বোলে—হুও চিরঞ্জালী ॥১৮২৷৷ পুত্ৰমুখে চুম্ব দেই বধুপালে চাঞ।। বধুমুখে চুম্ব দেই পুত্র নিরখিয়া ॥১৮৩। সৰ্ব্বসুখময় হুৈল শচীর আবাস । গোরাগুণ গায় সুখে এ লোচনদাস ॥ ১৮৪ ॥ কৈশোরলীল—প্রভুর বঙ্গবিজয় কথাসনার একদিন ঐনন্মহা প্রভু দিপ-অবসানে বক্ষসগণ-সঙ্গে গঙ্গা দর্শনার্থ গমন কবিলে, গঙ্গদেী স্বীণ অ ভী দে পকে দর্শনপূধক প্রেমে উছলি ত হইয়া, অমুলাগ ভরে পুনঃ পুনঃ তাহার পাদস্পর্শ করিতে লাগিলেন । তৎকালে যে সকল আচার্য, মিশ্র, ভট্ট প্রভৃতি ব্ৰাহ্মণ পণ্ডিতবর্গ গঙ্গাতীরে সন্ধাবন্দনাদি সমাপণাস্তে গঙ্গর স্তণ স্বতি করিতেছিলে , র্তাহারা অকস্মাৎ গঙ্গার এইরূপ জলবৃদ্ধি দর্শনে বিস্ময়াপন্ন হইয়া চিস্তা করিতেছিলেন, এমন সময় গঙ্গার ভক্ত কোন এক ব্রাহ্মণ গঙ্গার রূপায় খ্ৰীমন্মহাপ্রভুকে স্বয়ং ভগবান বলিয়া জানিতে পারেন । গঙ্গার এইরূপ জলবৃদ্ধির কারণ বর্ণন করিতে গিয়া গ্রপ্তকার একটা পৌরাণিক ইতিবুন্তু লিপিবদ্ধ করিয়াছেন, ত{ঙ্গ এই –কোন সময় দেবর্ষি নারদ মহাদেব ও গণেশের সহিত হরিগুণগান কীৰ্ত্তন করিতেছিলেন, এখন সময় ভগবান শ্রীহরি তথlয় উপস্থিত হন। তৎকালে স্বীয় কীৰ্ত্তনশ্রবণে ভগবানের ঐঅঙ্গ হইতে যে স্বেদ নির্গত হুইয়াছিল, তাছাই জলুব্রহ্ম গঙ্গ ।