পাতা:শ্রীশ্রীচৈতন্যমঙ্গল.djvu/১৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SS o ঐীরামপণ্ডিত শুন আমার” বচন । তোমার জ্যেষ্ঠের সেবা—আমার অর্চন ॥২২ এতেক জানিএsা কর শ্রীলাসের সেবা । ইহা হইতে পাবে তুমি মোর পদ প্রভা ॥২ ত৷ এতেক কহিল প্ৰভু ভকত বৎসল । করুণ-তরুণ আঁখি করে ছলছল ॥ ২৪ ॥ তবে সেই ভ্রানিপাসা-পণ্ডিত চতুর। নিবেদন কৈল দুগ্ধ-- ভূঞ্জয়ে ঠাকুর ॥ ২৫ ॥ গন্ধ চন্দন মালা সুনাসিত পূগ। ধুপ দীপ নিবেদন করিল সন্মুখ ॥ ২৬ ॥ গ্রহণ করিল প্রভু আনন্দিত মনে । তাবশেষ দিল যত নিজ ভক্তজনে ॥ ২৭ ॥ এইমতে কৌতুকে সকল নিশা গেল। প্রভাতে উঠিয়া প্রভু ঘরেরে চলিল ॥ ২৮ ॥ স্নান-দেপার্চন সভে কৈল। নিজঘরে । পুনরপি গেল। পদগম্বুজ দেখিবারে ॥ ২৯ ॥ হাসিয়া কহিল প্রভু – শুন অদভুত । আইলা শ্ৰীপাদ নিত্যানন্দ অন্ধু ত ॥ ৩০ ॥ তাহার মহিমা-তত্ত্ব কে কহিতে জালে । বড় পুণ্য ভাগ্য আজি দেখিব চরণে ॥ ৩১ ॥ হেন রাম নারায়ণ মুরারি মুকুন্দ । সত্বরে জানহ–কোথা আছে নিত্যানন্দ ॥৩২৷ হেনরূপে মহাপ্রভু তাজ্ঞ যবে কৈল । সত্বরে চলিয়া গ্রাম-দক্ষিণে চাহিল ॥ ৩৩ ৷ বিচার করিয়া লাগ না পাইল তার। পাদ যুজ-সন্নিকটে আইলা আর-বার ॥৩৪৷৷ করজোড় করি কহে ঠাকুরের আগে— বিচার করিয়া প্রভু না পাইল লাগে ॥৩৫ ॥ পুনরপি কহে প্রভু—শুন সৰ্ব্বজন । বিচার করহ সভে তাপন-অগপ্রম ॥ ৩৬ ॥ প্রভুর আজ্ঞায় সভে চলিলা সত্বর। একে-একে সভে গেল। আপনার ঘর ॥ ৩৭ ৷ সন্ধ্যাকালে সন্ধ্যা করি একত্র হইয়া । প্রভূবিদ্যমানে সভে মিলিলা আসিয় ॥ ৩৮ ॥ শ্ৰীচৈতন্যমঙ্গল পথে যাইতে ‘মুরারি’ বলিয়৷ ডাকে পহু । না দেখিলে অবধূত—বলি হাসে লহু ॥ ৩৯৷৷ লন্দন-আচার্য্য-ঘরে তাছে মহাশয় । আমিহ যাইব তথ—কহিল নিশ্চয় ॥ ৪০ ॥ এ লোল শুনিএঃ সবে হরষিত হএal । চলিলা ঠাকুর সঙ্গে জয়জয় দিয়া ॥ ৪১ ৷ পথে যাইতে ঘনঘন হরি-হরি বোলে । গণ্ড পুলকিত-কণ্ঠ গদগদ রোলে ॥ ৪২ ৷৷ নয়নে গলয়ে লীর সাত-পাচ-ধারা। চলিতে না পারে প্রেমে সোণার কিশোর ॥ ক্ষণে সিংহপরাক্রমে পদ চারি যায়। মত্ত করিবর হেন উলটি না চায় ॥ ৪৪ ৷ নব-জলধরে যেন গম্ভীর নিনাদ । ঘনঘল হুহুঙ্কার—তমানন্দ-উন্মাদ ॥ ৪৫ ৷ এইমনে আনন্দে-সানন্দে চলি যায়। দেখিল ত অবধূত নিভ্যানন্দরায় ॥ ৪৬ ॥ আরক্ত গৌরাঙ্গ কান্তি পরম-সুন্দর। ঝলমল অলঙ্কারে অঙ্গ মনোহর ॥ ৪৭ ৷৷ কটিভটে পীতবাস বিরাজিত শোভা। শিরে লটপটি পাগ চম্পকের আভা ॥৪৮৷ চলিতে নূপুর পদে ঝনঝনি শুনি । কুরঙ্গ-নয়নী-চিত্ত-তরল-সন্ধানী ॥ ৪৯ ৷ হাসিতে বিজুরী যেন খসিয়া পড়িছে। কামিনী অাপন লাজ তাহাতেই দিছে ॥৫০ মেঘ জিনি গরজে গম্ভীরশব্দ শুনি । কলি-মত্তহার্থীর দমন সিংহধ্বনি ॥ ৫১ ৷ মাতল কুঞ্জর যেন গমন সুন্দর। প্রসন্নলদলে প্রেমধারা নিরন্তর ॥ ৫২ ॥ পুলকে আকুল তনু প্রেমে ডগমগি । কম্প-স্বেদ-অাদি ভাবে রস-অনুরাগী ॥ ৫৩ ৷ কলিদপদমন কনকদণ্ড করে। রাতা-উতপল করতল মনোহরে ॥ ৫৪ ৷ অঙ্গদ কঙ্কণ হার কেয়ূর কিঙ্কিণী। গণ্ডযুগে কুণ্ডল--যেমন দিলমণি ॥ ৫৫ ॥