পাতা:শ্রীশ্রীচৈতন্যমঙ্গল.djvu/২০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 শ্রীচৈতষ্ঠ্যমঙ্গল তার সম ভাগ্যলাল নাহি কোন জল । আপলে ঠাকুর কৈল স্কন্ধে আরোহণ ॥৫৫ ৷ স্কন্ধে করি? অালন্দে সে লণচয়ে গণয়ন । আবেশে হইল প্রভুর রকত লোচন ॥ ৫৬ ॥ শিলের অাদেশে কহে শিবের কথল । খটক ডম্বরু— মুখে শিঙ্গার গর্জন ॥ ৫৭ ৷৷ ‘রাম কৃষ্ণ’ ললিয়া সে ডাকে র্কাদে হাসে । ক্ষণেকে র্ক দিয়ে গোরা শিলের আবেশে ॥৫৮৷৷ শ্ৰীবাসপণ্ডিত সেই সব তত্ত্ব জালে । শিলস্তল পঢ়ে সেই সাবধান মনে ॥ ৫৯ ॥ পঢ়য়ে মহিম্ব-স্তব ক্রমুকুন্দ দত্ত । ভমানন্দে নাচয়ে তারা— জানে সব তত্ত্ব ॥ ৬০ ॥ গায়নের কান্ধ হৈতে নাম্বিল ঠাকুর। হরিপরায়ণ হরি গায়েল প্রচুর ॥৬১। অtলমেদ নাচয়ে যেন মদে মাতোয়ার । হরিগুণ গায় সুখে আনন্দ-পাথার ॥ ৬২ ॥ করুণাসমূদ্র করে করুণপ্রকাশ । শুনিতে আনন্দে তোরা এ লোচনদাস ॥ ৬৩ ৷ দিশ । আমার গৌরাঙ্গের গুণে কেবা নাহি কাদে । অখিল জীবের মন প্রেম দিয়া বান্ধে। গ্রু । অণর অপরূপ শুল তার পরদিলে । বান্ধব সহিত প্রভু নৃত্য-অবসানে ॥৬৪ ॥ ভূমিতে পড়িয়া প্রভু দণ্ডবৎ করে। আনন্দে সকল লোক হরি হরি বোলে ॥ ৬৫ ॥ হেনই সময় এক ব্রাহ্মণ আসিয়া। প্রভু পদাঙ্গুজ ধূলি লইল হাসিয়া ॥৬৬ ॥ দেখি গোঁর ভগবান সত্বরে উঠিলা। ব্রাহ্মণ চরিত দেখি দুঃখিত হইলা ॥৬৭ ॥ মহা-অনুতাপ করি’ বিরসবদন । অসন্তোষে নাসিকায় নিঃশ্বাস সঘন ॥৬৮ ॥ সত্বর উঠিয়৷ প্ৰভু ধাইল আচম্বিতে । জাহ্নবীর জলে ঝাপ দিলেন তুরিতে ॥৬৯ ॥ জলে মগ্ন হৈল প্রভু-না পাই দেখিতে। সল নিজজন ঝ"প দিল পাছে ভাথে ॥ ৭০ ॥ নদিয়ার লোক সল গণিল প্রমাদ। কান্দয়ে সকল লোক করয়ে বিষাদ ॥ ৭১ ৷ পুত্ৰ ! পুত্র! করি’ পায় শচী তার মাভা । বাঁশপ দিতে চাহে নিশ্বম্ভর হরি যথা ॥৭২ ॥ উন্মতী পাগলী শচী কন্দে উভরণয়। হণকান্দ কান্দলা কাৰ্ম্মে-ভূমিতে লোটায় ॥ ঐছন প্রমাদ দেখি অবধৃতরায়। প্রভুর উদ্দেশে ঝাপ দিলেন গঙ্গায় ॥ ৭৪ ॥ জলে মগ্ন হৈয়া প্রভুর পরিলেন হাথে। পরিয়া তুলিল গঙ্গাকূলে আচম্বিতে ॥ ৭৫ ॥ দেখিয়া সকল লোক অতি আনন্দিত । সব নিজজন কন্দে পাইয়া সম্বিত ॥ ৭৬ ॥ শচীদেবী কাশেদ কোলে করি’ বিশ্বম্ভর । শ্রীনিবাস, মুরারী, মুকুন্দ, শুক্লাম্বর ॥ ৭৭ ৷ হরিদাস-আদি যত যত নিজ জন । গৌর-মুখ দেখি’ কান্দে তরাসিভ মন ॥ ৭৮ ৷৷ আর সবজন দুঃখ পাএগছে বিস্তর। গেীর-মুখ দেখি সুখে সভে গেলা ঘর ॥ ৭৯ ॥ তবে সবজন মিলি’ প্রভু বিশ্বম্ভর। মুরারিগুপ্তের ঘর গেলা ত সত্বর ॥ ৮০ ॥ ক্ষণেক থাকিয়া প্ৰভু চলিলা তুরিতে। বিজয়-মিশ্রের ঘর গেল আচম্বিতে ॥৮১ ॥ রজনী বঞ্চিয় প্রভু উঠিলা প্রভাতে। গঙ্গর উত্তর-কুলে গেল আচম্বিতে ॥ ৮২ ॥ ভ্রমণ করয়ে—তার না বুঝিয়ে মন। তরাস পাইলা সঙ্গে ছিলা যতজন ॥৮৩ ॥ ব্রাহ্মণসজ্জন আর যত নিজজন । সভে মিলি’ নিবেদিল বিনয়-বচন ॥ ৮৪ ॥ পরসন্ন হও প্ৰভু গৌরগুণনিধি। কাতরে কহয়ে এই সব অপরাধী ॥ ৮৫ ॥