পাতা:শ্রীশ্রীচৈতন্যমঙ্গল.djvu/২১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২৮ পরিত্রণ করা বলি ডাকে কুণ্ঠদ্যাধি । কে করিলে পরিত্রণ ভোর অপরাধী ॥ ২৯ ॥ যদি বা আপনে তুমি দয়। পিঠে চায় । তলে সে নিস্তারে পাপী তোমার কৃপায় ॥৩০ এ বোল শুনিএ তবে শ্ৰীবাস-পণ্ডিত । হাসিতে লাগিলা প্রভুর শুনিঞা চরিত ॥৩১ মুঞি মহাপমাধম মোরে হেন বোল। মোর ছলে পাতকীর পরিত্রাণ কর ॥ ৩২ ॥ মোর ঠাঞি তার দোষ ঘুচিল সৰ্ব্বথা । প্রসন্ন হইলু আমি ঘুচু তার ব্যথা ॥৩৩ ৷ এ লোল শুলিয় প্রভু করে হরি-নাদ । নিস্তারিল কুষ্ঠব্যাধি হৈল পরসাদ ॥ ৩৪ ৷ তথা গঙ্গাভীরে সেইক্ষণে কুণ্ঠব্যাদি। পাইল শ্ৰীবাসকৃপা-পরম-ঔষণি ॥ ৩৫ ॥ দিব্যদেহ সেইক্ষণে হইল তাহার। গৌরাঙ্গ বলিয়া ধায় আরতি-বিথার ॥ ৩৬ ৷ কোথা গেল গৌরচন্দ্র অন্তরের চান্দ। এমন কে তারে? ভবব্যাধি মহা-অন্ধি ॥ ৩৭ ॥ এথা গৌরচন্দ্র শ্ৰীনিবাস-ঘর হৈতে। কুণ্ঠব্যাধি দেখিবারে চলিলা তুরিতে ॥ ৩৮ ৷৷ পথে কুষ্ঠব্যাদি সনে হৈল দরশন। ধরিয়া পড়িলা ভূমি প্রভুরচরণ ॥ ৩৯ ৷ তুলিয় তাহারে প্রভু করিল আলিঙ্গনে। ব্ৰহ্মার ভুলভ প্রেম দিলা সেইক্ষণে ॥ ৪০ ৷ হাসে কাব্দে নাচে গায় গড়াগড়ি যায়। গদাধর-বন্ধু বলি’ নাচিয়া বেড়ায় ॥ ৪১ ৷ সব ভক্ত আনন্দিত হৈল তা দেখিয়া । চমৎকার হৈল দেখি’ সকল নদিয়া ॥ ৪২ ৷ শুন সৰ্ব্বজন বিশ্বস্তরের চরিভ । শুনিলে সে প্রেমভক্তি পাইবে তুরিত ॥৪৩ ॥ আতি অপরূপ এই নদিয়াপ্রকাশ। শুনিতে আনন্দে ভোর। এ লোচনদাস ॥৪৪ তবে আর-একদিন প্রভু নৃত্য করে । আছিল ত একজন ব্রাহ্মণ দুয়ারে ॥ ৪৫ ॥ ॥येष्ठम्ग्रभग्नज्ञ। হেনই সময়ে আইল আর এক ব্রাহ্মণ । গৌরচন্দ্র নৃত্য করে—দেখিবারে মন ॥৪৬ ॥ দ্বারেতে যে ছিল তারে না দিল যাইতে । দুঃখিত হইল বিপ্র না পাঞা দেখিতে ॥৪৭ ॥ দুঃখিত হইয়া বিপ্ৰ নিজ ঘরে গেল। আনন্দে নাচিল প্রভূ—কিছু না জানিল ॥৪৮ তার-পর-দিনে প্রভূ-গঙ্গাস্নান-কালে । আচম্বিতে সেই দ্বিজ দেখিল প্রভুরে ॥ ৫৯ ৷ দেখিলেক গঙ্গামানে প্রতু বিশ্বম্ভর । ক্ৰোধদৃষ্টে ঢাহে বিপ্ৰ –কাপে কলেণর ॥৫০ প্রভুকে দেখিয় বোলে সক্রোধ বচন— । তোর ঘরে গেনু তোরে দেখিবারে মন ॥৫১৷ তোর মৃত্য দেখিলারে বড় ছিল সাধ । পাপিষ্ঠ ব্রাহ্মণ এক তাতে দিল বাণ ॥ ৫২ ॥ ন। দিল যাইতে মোরে বহির-দুয়ারে । তেমনি বাহির তুমি হইবে সংসারে ॥ ৫৩ ৷ ইহ বলি’ উপপাভ ছিণ্ডিলেক ক্রোপে । ক্রোধে অচেতল বিপ্র –নাহি পরবোধে ॥৫৪৷৷ দ্বারের বাহুির কৈল –আমি নাহি সহি । শাপ গিল—হউ তুমি সংসারের বহি ॥ ৫৫ ৷ এ পোল শুনিঞা প্রভু হরিষ অন্তর। এাহ্মণের শাপ মোরে বড় হুৈল বর ॥ ৫৬ ৷ শাপ স্বকীয় ধবে কৈল ভগবাস্। শুনিএ । ব্রাহ্মণ ভয় পাইল খড় মন ॥ ৫৭ ৷ আমি কি করিব প্ৰভু যে বোলাইলে তুমি। তুমি-সৰ্ব্ব-পরিপূর্ণ সৰ্ব্ব-অন্তর্যামী ॥ ৫৮ ॥ কুতর্কের গণ সব নিস্তার করিবে । সন্ন্যাস করিয়া তা’সভারে প্রেম দিবে ॥ ৫৯ ৷ সন্ন্যাসী বলিয়া গুরু’ তোমারে বলিবে। সেই নম্রভাবে প্রেম তা’সভারে নিবে ৬০ ॥ পরম চতুরশিরোমণি গৌরহরি। পিলাইবে পূর্ব প্রেম-ভাণ্ডার উঘাড়ি ॥৬১ ॥ তোনার প্রতিজ্ঞ। এই—ব্রহ্মাণ্ড জুবাবে। দুর্জন মুজন সভা-কারে না রাখিবে ॥ ৬২ ৷৷