পাতা:শ্রীশ্রীচৈতন্যমঙ্গল.djvu/২৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SᎼ8 সঙ্গে যাইতে নারে সঙ্গী দূরে পাছু আইল । অরণ্য-ভিতরে প্রভু একলা চলিল ॥৩ ॥ অরণ্য-ভিতরে এক আছয়ে নগর। ঘোল বেচিবারে যায় গোয়াল-কোঙর ॥৪ ঠাকুর দেখিল তারে আবেশ-আওয়াস । ঘোল দেহ গোপ —মোর লাগিল পিয়াস ॥ এ বোল শুনিএsা গোপ পড়িল চরণে । নেহ ঘোল—খাও গোসাঞি—যত লয় মলে ॥ ঘোল পান কৈল—হুৈল শূন্য কলসী। ঘোল থপঞ চলি’ যায় কপটসন্ন্যাসী ॥ ৭ ॥ গোয়ালাকে বৈল—তুমি থাক এইখানে । পাছু ষে অtইসে-কড়ি নিহ তার স্থানে ॥৮৷ এ লোল বলিয়া প্ৰভু চলিলা সত্বর। সেইঙ্গীনে রহি” গোপ চিন্তয়ে অন্তর ॥ ৯ ॥ কথোক্ষণে সন্ন্যাসীর সঙ্গী যতজন । সেই পথে আইসে তারা প্রভুগত মন ॥১০৷৷ পুছিল--গোয়াল পথে দেখিলে সন্ন্যাসী। গোপ কহে—ঘোল খাইল একটী কলসী ॥১১৷৷ কড়ি নিতে বৈল মোরে তোমা-সভার ঠাঞি। জুয়ায় ভ কড়ি দেহ-আমি ঘরে যাই ॥১২। এ বোল শুনিয়া সম্ভে সভা-পানে চাই । সম্ভে কহে—কড়ি কোথ। আমা সভার ঠাই ॥ গোয়াল৷ কহিল – চল তবে নাহি দায় । মোর সেল জনাইবা সন্ন্যাসীর পায় ॥১৪ এ বোল বলিয়া সে কলসী করে হাথে । ভারি বড় কলসী—তুলিতে লারে মাথে ॥১৫৷৷ ঢাকনা ঘুচাই রত্ন এক যে কলসী । ধাইয়া চলিল হ: ! হা ! করিয়া সন্ন্যাসী ॥১৬ কথোদুরে সঙ্গীর বিলম্বে আছে পহু । গোয়ালা দেখিয়া সে মুচকি হাসে লহু ॥ সঙ্গের যতেক জন আইল তখন। দেখিলা-গোয়ালা প্রভুর পাঞাছে চরণ ॥ প্রভু বোলে- গোপ তুমি চলি যাহ ঘর। ভোরে অনুগ্রহ কষ্ণ কৈল—পাইলে বর ॥১৯ ক্রীচৈতন্ত্যমঙ্গল লেউটি আসিতে গোপ পাইল পরসাদ । লাচিয়া বুলয়ে গোপ প্রেমায় উন্মাদ ॥ ২০ ॥ গোয়ালা দেখিয়া সভার বাঢ়িল উল্লাস । গোরণগুণ গায় সুখে এ লোচন দাস ॥ ২১ ॥ শ্যামগড় রাগ । আরে মোর আরে মোর গৌরাঙ্গসুন্দরে। নদীন-প্রেমের ভরে চলিতে না পারে ॥ধ্রু॥ এইমনে ক্রমে ক্রমে পথে চলি আইসে। সঙ্গতি-সহিত উত্তরিলা গৌড়দেশে ॥ ২২ ॥ গঙ্গা-স্নান করি’ প্রভু রাঢ়দেশ দিয়া । ক্রমে ক্রমে উত্তরিল। লগর কুলিয় ॥ ১৩ ॥ পূবর্ণাশ্রম দেখিব - এ সন্ন্যাসীর ধৰ্ম্ম । নবদ্বীপ নিকটে গেলা—এই তার মৰ্ম্ম ॥২৪ প্রভু আগমন শুনি নবদ্বীপের লোক । পুনঃ লেউটিলা সতে পাশরিল শোক ॥২৫৷৷ হা হা গোরাচাদ । ললি’ অনুরণগে ধায় । কুলবধূ পায়- তারা পাছু নাহি চায় ॥ ২৬ ॥ বিহবলচেতন শচী ধায় উৰ্দ্ধমুখে । আউলাইল কেশ —বস্ত্র নাহি দেয় বুকে ॥২৭৷ কোথ! মোর বিশ্বস্তর দেখ মো নয়নে । পুনঃ চুম্ব দিব সেই সুন্দর-লদনে ॥ ২৮ ॥ নদিয়া-নগরে আইল আমার নিমাই। ধরিয়া রাখহ লোক – কিছু দোষ নাই ॥২৯ সভাকার প্রাণ সেই—সেই মাত্র জীউ । প্রাণ বিনা ধৰ্ম্মরক্ষণ কোল রীতে হউ ॥ ৩০ ॥ এইমনে কহিতে কহিতে গেল। তথা । দেখিল সে গৌরচন্দ্র বসি আছে যথা ॥৩১৷৷ প্রভুরে দেখিয়া লোলে—শুন রে নিমাই। ঘর আয়—আমার সন্ন্যাসে কাজ নাই ॥৩২৷ সন্ন্যাস করিয়া ধৰ্ম্ম রাখিবি তো পাছু। মোর বধ ভাগে লাগে—আর সবর্ব পাছু ॥৩ বিহবলচেতন শচী কাব্দে উভরায়। সকল শরীরখালি একদৃষ্ঠে চায় ॥ ৩৪ ৷