পাতা:শ্রীশ্রীচৈতন্যমঙ্গল.djvu/২৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শেষখও ‘বাপু ! বাপু ? বলি’ অঙ্গ পরশিতে চায়। আর সব থাকু বাপ হtথ দেয় গায় ॥ ৩৫ ৷ শ্ৰীঅঙ্গে লেগেছে ধূলা ফেলাঙ ঝাড়িয়া । এ বোল বলিয়া পড়ে অঙ্গ অtছাড়িয়া ॥৩৬ পুনঃ উঠি' বলে—বাপু ! শুন মোর বোল । পালাউ হিয়ার সাধ—ধরি’ দেও কোল ॥৩৭৷৷ শচীর কান্দন দেখি পৃথিবী বিদরে । আtছুক মানুষের কাজ এ পাষাণ ঝুরে ॥৩৮৷৷ চৌদিগে সকল লোক কান্দিয়া ফাপর । কাছ না ছাড়য়ে কেহো - পাশরিল ঘর ॥৩৯। লোকের কান্দন দেখি? মায়ের ল্যগ্রভ । মনে অনুমানে প্রভু –কি কহিল কথা ॥৪০৷৷ মায়ে প্রবোধিতে প্রভু মনে মনে গুণে । ল। কালদ, লা কম্পিদ লে (লে শুনহ লচনে ॥৪১ সন্ন্যাস করিতে আtঙ্গল করিলা অপনে । এখন লিহবল হএঃ কান্দ কি কারণে ॥৪২ পুত্র বলি’ মিছ। মায়া না ঘুচিল তোর। ঐছন তুস্ত্যজ মায়। এ সংসার-ঘোর ॥৪৩ ঘুচিলে না ঘুচে—মীয়া ঐছন দারুণ । শচী লোলে—মোর লোল শুন নিকরুণ ॥৪৪ মোর পুত্র ললি’ জন্ম লৈলে পৃথিবীতে। জগতের লোক মোরে করিল পূজিতে ॥৪৫৷৷ তুমি সব লোকবন্ধু-ত্ৰিজগতে পূজি । তোমার সে স্নেহ-মায়া শাস্ত্রে ভাল বুঝি ॥ যে হউ, সে হউ মোর—তুমি হ’ও পুত্র। জন্মে জন্মে রহু মোর এই কৰ্ম্মসূত্র ॥৪৭ ॥ মায়ের বচনে প্রভু অস্তব্যস্ত হঞ। • মায়ায়ে জিনিতে নরে—উভরায়ে দয়া ॥৪৮৷ যে তোর আছয়ে ইচ্ছা- কর নিজ-সুখে। একমাত্র শেষ আমি নিলেদিল তোকে ॥৪৯ শচী বোলে—নপদ্বীপ ছাড়ি যাহ তুমি। মলদ্বীপে দুষ্ট বিষ্ণুপ্রিয়। আর আমি ॥ ৫০ ৷ মায়ের বচনে পুনঃ গেল। নবদ্বীপ । বারকোণা-ঘাট নিজ বাড়ীর সমীপ ॥ ৫১ ॥ " ఫి? শুক্লাম্বর ব্রহ্মচারি-ঘরে ভিক্ষা কৈল । ময়ে নমস্করি’ প্রভু প্রস্তাতে চলিল ॥ ৫২ ॥ মায়েরে কহিল—মুঞি বন্দী তোর গুণে । পূরুল রহস্য-কথ। পাশরিলে কেনে ॥ ৫৩ ৷ কিবা ভক্ত, কিবা বিষ্ণুপ্রিয়, কিব৷ তুমি। যে ভজয়ে কৃষ্ণ—তার কোলে আছি আমি ॥ মায়ে নমস্করি’ প্ৰভু বোলে বার বার। ন ছাড়িহ কষ্ণ –ন। ভজিহ এ সংসার ॥৫৫৷৷ শচীর অন্তর-হিয়া করে দপ দপ । চলিল ঠাকুর –পাছে ধায় ভক্ত সব ॥ ৫৬ ॥ শান্তিনগরে গেল। আচার্য্যের ঘর । কীৰ্ত্তল-বিলাসে গেল সে অষ্টপ্রহর ॥ ৫৭ ৷ পুনঃ পরভাতে প্রভু চলিলা সত্বরে। উৎকণ্ঠ পাঢ়িল জগন্নাথ দেখিবারে ॥৫৮৷৷ সভারে কহিল। প্রভু-সম্ভে যাহ ঘর । নীলাচলে আছি আমি —কহিল উত্তর ॥৫৯৷৷ যে যায় তথায় জগন্নাথ দেখিবারে । তথায় আমার দেখা হইব সভারে ॥ ৬০ ৷৷ এ বোল বলিয়া প্রভু বোলে হরিবোল। চলিল। ঠাকুর—উঠে কান্দনের রোল ॥৬১৷৷ ক্রমে ক্রমে তমোলুকে উত্তরিলা গিয়া। যে পথে আসিয়াছেন পূৰ্ব্বে সেই পথ দিয়া। পথে চলি যায় প্রভু প্রেমানন্দ-সুখে । প্রেম-বরিষণে ভাসে সে পথের লোকে ॥৬৩৷ হাসিতে খেলিতে যায়—নাহি পথশ্রমে। পুরুষোত্তমে উত্তরিলা পথ ক্রমে ক্ৰমে ॥৬৪৷৷ দেখিব ত’ জগন্নাথ নীলাচলরায় । হা হ৷ জগন্নাথ ! বলি’ অনুরণগে ধায় ॥৬৫৷৷ সিংহদ্বারে গিয়া প্রভু ছাড়ে হুহুঙ্কার । ধাইল সকল লোক আনন্দ-অপার ॥ ৬৬ ৷ জগন্নাথ দেখি তুষ্ট হৈলা গোরারায় । তাহারে দেখিয়৷ লোক বড় সুখ পায় ॥৬৭৷ হরি হরি লোলে লোক উচ্চ উচ্চ-রায় । আনন্দিত দিবা-নিশি হরি-গুণ গায় ॥ ৬৮ ৷৷