পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত চতুর্থ ভাগ.djvu/১০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* 。 * শ্ৰীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত । [1884, 2nd February. দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ । [ কি করে ঈশ্বরকে ডাকৃতে হয়। ‘ব্যীিল হও’ । ] ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ বালকের ন্যায় আবার হাসিতেছেন ও কথা কহিতেছেন—বালক যেমন বেশী অসুখ হলেও এক একবার হেসে খেলে বেড়ায় । মহিমাদি ভক্তের সহিত কথা কহিতেছেন । শ্রীরামকৃষ্ণ । সচ্চিদানন্দ লাভ না হলে কিছুই হলো না বাবু! “বিবেক বৈরাগ্যের স্যায় আর জিনিষ নাই । “সংসারীদের অনুরাগ ক্ষণিক—তপ্ত খোলায় জল যতক্ষণ থাকে — একটা ফুল দেখে হয়ত বল্লে, আহা ! কি চমৎকার ঈশ্বরের স্বষ্টি ! “ব্যাকুলত চাই । যখন ছেলে বিষয়ের ভাগের জন্য ব্যতিব্যস্ত করে, তখন বাপ মা দুজনে পরামর্শ করে,—আর ছেলেকে আগেই হিস্ত ফেলে দেয় । ব্যাকুল হলে তিনি শুলবেলই শুলবেন । তিনি যে কালে জন্ম দিয়েছেন, সে কালে তার ঘরে আমাদের হিস্ত আছে। তিনি আপনার বাপ, আপনার মা,—র্তার উপর জোর খাটে। 'দাও পরিচয় । নয় গলায় ছুরি দিব।’ কিরূপে মাকে ডাকিতে হয়, ঠাকুর শিখাইতেছেন—“আমি মা বলে এইরূপে ডাকতাম—‘মা আনন্দময়ী !—দেখা দিতে যে হবে ? আবার কখন বলতাম,—“ওহে দীননাথ—জগন্নাথ—আমি ত জগৎছাড়া নই নাথ । আমি জ্ঞানহীন,—সাধনহীন,–ভক্তিহীন—আমি কিছুই জানি না—দয়া করে দেখা দিতে হবে ।”— ঠাকুর অতি করুণ স্বরে সুর করিয়া, কিরূপে র্তাহাকে ডাকিতে হয়, শিখাইতেছেন। সেই করুণ স্বর শুনিয়া ভক্তদের হৃদয় দ্রবীভূত হইতেছে,—মহিমাচরণ চক্ষের জলে ভাসিয়া যাইতেছেন। মহিমাচরণকে দেখিয়া ঠাকুর আণর বলিতেছেন – গান—ডাক দেখি মন ডাকার মতন কেমন শ্বামা থাকতে পারে ।