পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত চতুর্থ ভাগ.djvu/১৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দক্ষিণেশ্বর। মহিমাচরণ, অধর, মণিলাল প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে। ১০৩ ও হৃদয় স্পর্শ করিয়া আশীৰ্ব্বাদ করিলেন। আর সস্নেহে বলিতেছেন— ‘আমি তোমাদের নারায়ণ দেখছি!—তোমরাই আমার আপনার লোক ! এইবার মহিমাচরণ ঘরের মধ্যে আসিয়া বসিলেন । শ্রীরামকৃষ্ণ ( মহিমার প্রতি)। ধৈর্য্যরেতার কথা তখন যা বলছিলে, তা ঠিক ! বীর্য ধারণ না করলে এ সব (উপদেশ ) ধারণা হয় না । “একজন চৈতন্যদেবকে বল্লে, এদের (ভক্তদের ) এত উপদেশ দেন, তেমন উন্নতি করতে পাচ্ছে না কেন ? তিনি বল্লেন—‘এরা যোষিংসঙ্গ ক’রে সব অপব্যয় করে!—তাই ধারণা করতে পারে না ! ফুটো কলসীতে জল রাখলে জল ক্রমে ক্রমে বেরিয়ে যায়। মহিমা প্রভৃতি ভক্তেরা চুপ করিয়া আছেন । কিয়ৎক্ষণ পরে মহিমাচরণ বলিতেছেন—ঈশ্বরের কাছে আমাদের জন্য প্রার্থনী করুন—যাতে আমাদের সেই শক্তি হয় । শ্রীরামকৃষ্ণ । এখন ও অনাৰ ধান হওe ! আষাঢ় মাসের জল, বটে, রোধ করা শক্ত । কিন্তু জল অনেক তো বেরিয়ে গেছে ! —এখন বাঁধ দিলে থাকবে । - শ্ৰীশ্রীরামকৃষ্ণ-কথামৃত চতুর্থভাগ, দ্বাদশ খণ্ড, রাম, অধর, মাষ্টার, মহিমা প্রভৃতি ভক্তসমাগম-সংবাদ সমাপ্ত । চতুশ্ৰ ভাগ—ত্ৰম্বোদশ খণ্ড । ঠাকুর স্ত্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বরমন্দিরে, জন্মোৎসবদিবসে, বিজয়, কেদার, রাখাল, সুরেন্দ্র প্রভূতি ভক্তসঙ্গে । প্রথম পরিচ্ছেদ । । পঞ্চবটমূলে জন্মোৎসবদিবসে বিজয় প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে । ] ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ পঞ্চবটতলায় পুরাতন বটবৃক্ষের চাতালের উপর বিজয়, কেদার, সুরেন্দ্র, ভবনাথ, রাখাল, প্রভৃতি অনেকগুলি ভক্তসঙ্গে দক্ষিণাস্ত হইয়া বসিয়া আছেন। কয়েকটা ভক্ত চাতালের