পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত চতুর্থ ভাগ.djvu/১৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দক্ষিণেশ্বর। রাখাল প্রভৃতি ও শিবপুরের ভক্তগণসঙ্গে। ১৩৩ ৷ “বেদ মতে এ সব চক্রকে—“ভূমি' বলে। সপ্তভূমি। হৃদয় । —চতুর্থ ভূমি। অনাহতপদ্ম দ্বাদশদল । “বিশুদ্ধ চক্র পঞ্চম ভূমি। এখানে মন উঠলে কেবল ঈশ্বরকথা বলতে আর শুনতে প্রাণ ব্যাকুল হয়। এ চক্রের স্থান কণ্ঠ । ষোড়শদল পদ্ম। যার এই চক্রুে মন এসেছে, তার সামনে বিষয়কথা— কামিনী কাঞ্চনের কথা—হ’লে ভারি কষ্ট হয়! ওরূপ কথা শুনলে সে সেখান থেকে উঠে যায়। - “তার পর ষষ্ঠ ভূমি। আজ্ঞ চক্ৰ—দ্বিদল পদ্ম। এখানে কুলকুণ্ডলিনী এলে ঈশ্বরের রূপদৰ্শন হয়। কিন্তু একটু আড়াল থাকে-—যেমন লণ্ঠনের ভিতর আলে,—মনে হয় আলো ছুলাম, কিন্তু কাচ ব্যবধান আছে ব’লে ছোয়া যায় না। । - * “তার পর সপ্তম ভূমি । সহস্রার পদ্ম। সেখানে কুণ্ডলিনী গেলে সমাধি হয় । সহস্রান্ত্ৰে সচিদানন্দশিব আছেন— তিনি শক্তির সহিত মিলিত হন। শিব-শক্তির মিলন ! ‘সহস্রারে মন এসে সমাধিস্থ হ'য়ে আর বাহ থাকে না । সে । আর দেহ রক্ষা করতে পারে না । মুখে দুধ দিলে দুধ গড়িয়ে যায়। এ অবস্থায় থাকলে একুশ দিনে মৃত্যু হয়। কালাপানিতে গেলে জাহাজ আর ফেরে না । - “ঈশ্বরকোটি—অবতারাদি—এই সমাধি অবস্থা থেকে নামতে পারে। তারা ভক্তি ভক্ত নিয়ে থাকে, তাই নামতে পারে। তিনি তাদের ভিতর ‘বিদ্যার আমি'——‘ভক্তের আমি’—লোকশিক্ষার জন্য— রেখে দেন। তাদের অবস্থা—যেমন ষষ্ঠ ভূমি আর সপ্তম ভূমির মাঝখানে বাচ খেলা ৷ ” ‘সমাধির পর ‘বিষ্ঠার আমি কেউ কেউ ইচ্ছা করে রেখে দেন । সে আমির অঁাট নাই–রেখা মাত্র । “হনুমান সাকার নিরাকার সাক্ষাৎকারের পর দাস-আমি রেখেছিলেন। নারদাদি—সনক, সনন্দ, সনাতন, সনৎকুমার, এরাও ব্রহ্মজ্ঞানের পর ‘দাস-আমি ‘ভক্তের আমি রেখেছিলেন । এর, জাহাজের