পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত চতুর্থ ভাগ.djvu/১৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কলিকতা অধরের বাট । নরেন্দ্রাদি ভক্তসঙ্গে কীৰ্ত্তনানন্দে। ১৪৭ রাধার প্রেমে গড়া তনু, ধূলায় পড়ে পাছে ॥ বামেতে অদ্বৈত আর দক্ষিণে নিতাই । তার মাঝে নাচে আমার চৈতন্য গোসাই ॥ ঠাকুর আবার উঠিয়াছেন ও অঁখির দিয়া নাচিতেছেন। ( প্রেমে মাতোয়ারা হয়ে রে ) 翰 সেই অপূর্ব নৃত্য দেখিয়া নরেন্দ্র প্রভৃতি ভক্তের আর স্থির থাকিতে পারিলেন না, সকলেই ঠাকুরের সঙ্গে নাচিতে লাগিলেন। নাচিতে নাচিতে ঠাকুর একবারে সমাধিস্থ হইতেছেন। তখন অন্তর্দশা । মুখে একটী কথা নাই । শরীর সমস্ত স্থির। ভক্তেরা তখন র্তাহাকে বেড়িয়া বেড়িয়া নাচিতেছেন। কিয়ৎক্ষণ পরেই অৰ্দ্ধবাহ দশা—চৈতন্যদেবের যেরূপ হইত,— অমনি ঠাকুর সিংহবিক্রমে নৃত্য করিতেছেন। তখনও মুখে কথা নাই—প্রেমে উন্মত্তপ্রায় ! - যখন একটু প্রকৃতিস্থ হইতেছেন—অমনি একবার আঁখির দিতেছেন। আজ অধরের বৈঠকখান। ঘর শ্রীবাসের আঙ্গিনা হইয়াছে । হরিনামের রোল শুনিতে পাইয়া রাজপথে অসংখ্য লোক জমিয়া গিয়াছে । ভক্তসঙ্গে অনেকক্ষণ নৃত্যের পর ঠাকুর আবার আসন গ্রহণ করিয়াছেন। এখনও ভাবাবেশ । সেই অবস্থায় নরেন্দ্রকে বলিতেছেন—সেই গানটী—“আমাক্স দে লা পাগল করে । ঠাকুরের আজ্ঞা পাইয়া নরেন্দ্র গান গাইতেছেন— গান—আমায় দেমা পাগল করে। দ্বিতীয় ভাগ, ১৫২ পৃষ্ঠা। শ্রীরামকৃষ্ণ । আর ঐটী—“চিদানন্দ সিন্ধুনীরে।’ নরেন্দ্র গাইতেছেন—চিদানন্দ সিন্ধুনীরে প্রেমানন্দের লহরী। মহাভাব রসলীলা কি মাধুরী মরি মরি। মহাযোগে সমুদায় একাকার হইল, দেশকাল ব্যবধান ভেদাভেদ ঘুচিল, এখন আনন্দে মাতিয়া, দুবাহু তুলিয়া, বলরে মন হরি হরি ॥ শ্রীরামকৃষ্ণ ( নরেন্দ্রের প্রতি ) আর ‘চিদাকাশে’ ?—না, ওটা বড় লম্বা, না ? আচ্ছা, একটু আস্তে আস্তে ।