পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত চতুর্থ ভাগ.djvu/২০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৭২ শ্ৰীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত । [1884, 14th September. সঙ্গ চাই না ? সাধক চুপ করিয়া আছেন । সাধক ( কিয়ৎক্ষণ পরে, গরম হইয়া ) । আপনি তাকে জানতে পেরেছেন বলুন—প্রত্যক্ষেই হোক আর অনুভবেই হোক । ইচ্ছা হয় পারেন বলুন, না হয় না বলুন শ্রীরামকৃষ্ণ ( ঈষৎ হাসিতে হাসিতে)। কি বোলবো । কেবল আভাস বলা যায় । সাধক। তাই বলুন ! নরেন্দ্র গান গাহিবেন। নরেন্দ্র বলিতেছেন, পাখোয়াজটা আনলে না। ছোট গোপাল । মহিম ( মহিমাচরণ ) বাবুর আছে— শ্রীরামকৃষ্ণ । না ওর জিনিষ এনে কাজ নাই। আগে কোন্নগরের একটি ভক্ত কালোয়াতি গান গাইতেছেন । গানের সময় ঠাকুর সাধকের অবস্থা এক একবার দেখিতেছেন । গায়ক নরেন্দ্রের সহিত গান বাজনা সম্বন্ধে ঘোরতর তর্ক করিতেছে । সাধক গায়ককে বলছেন, তুমিও ত বাপু কম নও । এ সব তর্কে কি দরকার । আর একজন তর্কে যোগ দিয়াছিলেন ।—ঠাকুর সাধককে বলিতেছেন, “আপনি একে কিছু বোকলেন না ?” শ্রীরামকৃষ্ণ কোন্নগরের ভক্তদের বলছেন, “কই, আপনাদের সঙ্গে ও এর ভাল বনে না দেখছি।” নরেন্দ্র গান গাইতেছেন । গান—যাবে কি হে দিন আমার বিফলে চলিয়ে, আছি নাথ দিবানিশি আশাপথ নিরখিয়ে । সাধক গান শুনিতে শুনিতে ধ্যানস্থ হইয়াছেন । ঠাকুরের তক্তাপোষের উত্তরে দক্ষিণাস্য হইয়া বসিয়া আছেন। বেলা ৩টা—৪টা হইবে —পশ্চিমের রৌদ্র আসিয়া তাহার গায়ে পড়িয়াছে । ঠাকুর তাড়াতাড়ি একটি ছাতি লইয়া তাহার পশ্চিম দিকে রাখিলেন। যাহাতে রৌদ্র সাধকের গায়ে না লাগে। নরেন্দ্র গান গাইতেছেন— মলিন পঙ্কিল মনে কেমন ডাকিব তোমায়। পারে কি তৃণ পশিতে জ্বলন্ত অনল যথায় ॥ তুমি পুণ্যের আধার, জ্বলন্ত-অনলসম। আমি পাপী তৃণসম, কেমনে পূজিব তোমায় ॥ শুনি তব নামের গুণে, তরে মহাপাপী জনে । লইতে পবিত্র নাম,