পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত চতুর্থ ভাগ.djvu/২১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>bペ শ্ৰীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত । [1884, 14th September. রাত প্রায় নয়ট হইল। মুখুয্যের প্রণাম করিয়া বিদায় গ্রহণ করিলেন । অধর ও মাষ্টার মেঝেতে বসিয়া আছেন । ঠাকুর অধরের সহিত শ্ৰীযুক্ত রাখালের কথা কহিতেছেন । ! রাখাল বৃন্দাবনে আছেন—বলরামের সঙ্গে । পত্রে সংবাদ আসিয়াছিল তাহার অসুখ হইয়াছে। দুই তিন দিন হইল ঠাকুর রাখালের অসুখ শুনিয়া এত চিন্তিত হইয়াছিলেন যে মধ্যাহ্লের সেবার সময় “কি হবে ? বলিয়া হাজরার কাছে বালকের দ্যায় কেঁদেছিলেন । অধর রাখালকে রেজিষ্টারী করিয়া চিঠি লিখিয়াছিলেন, কিন্তু এ পর্য্যন্ত চিঠির প্রাপ্তিস্বীকার পান নাই । শ্রীরামকৃষ্ণ । নারাণ চিঠি পেলে আর তুমি চিঠির জবাব পেলে না ? অধর । আজ্ঞা, এখনও পাই নাই । শ্রীরামকৃষ্ণ । আর মাষ্টারকে লিখেছে । ঠাকুরের চৈতন্য লীলা দেখিতে যাইবার কথা হইতেছে। শ্রীরামকৃষ্ণ ( হাসিতে হাসিতে, ভক্তদের প্রতি ) ৷ যদু বলছিল এক টাকার জায়গা হতে বেশ দেখা যায় । সস্তা । “একবার আমাদের পেনেট নিয়ে যাবার কথা হয়েছিল—যছ আমাদের চলিত নৌকায় চড়তে বলেছিল ! ( সকলের হাস্য ) “আগে ঈশ্বরের কথা একটু একটু শুনতে । একটা ভক্ত ওর কাছে যাতায়াত করতো—এখন আর তাকে দেখতে পাই না । কতকগুলো মোসাহেব ওর কাছে সৰ্ব্বদা থাকে—তারাই আরো গোল করেছে। “ভারী হিসাবী ! যেতে মাত্রই বলে কত ভাড়া । আমি বলি, তোমার আর শুনে কাজ নেই, তুমি আড়াই টাকা দিয়ে । তাইতে চুপ করে থাকে আর আড়াই টাকাই দেয় ! ( সকলের হাস্য ) ঠাকুরবাড়ীর দক্ষিণপ্রান্তে পাইখানা প্রস্তুত হইয়াছে । তাই লইয়া শ্ৰযুক্ত যদু মল্লিকের সহিত বিবাদ চলিতেছে। পাইখানার পাশে যদুর বাগান । বাগানের মুহুরী শ্ৰীযুক্ত ভোলানাথ বিচারপতির কাছে এজাহার দিয়াছেন । এজাহার দেওয়ার পর হইতে র্তাহার বড় ভয় হইয়াছে ।