পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত চতুর্থ ভাগ.djvu/২১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দক্ষিণেশ্বর। বাবুরাম, মহেন্দ্র প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে । ১৮৫ লোকেদের সাধুভক্তি বেশী । জাঙ বাহাদুর এর ছেলেরা আর ভাইপে কর্ণেল এখানে এসেছিল। যখন এলো পেণ্টলন খুলে, যেন কত ভয়ে । “কাপ্তেনের সঙ্গে একটা ওদের দেশের মেয়ে এসেছিল। ভারি ভক্ত,—বিবাহ হয় নাই। গীতগোবিন্দ গান কণ্ঠস্থ। তার গান শুনতে দ্বারিক বাবুরা এসে বসেছিল। আমি বল্লাম, এরা শুনতে চাচ্ছে, লোক ভাল । যখন গীতগোবিন্দ গান গাইলে তখন%দ্ধারিক বাবু রূমালে চক্ষের জল পুছতে লাগল। বিয়ে কর নাই কেন, জিজ্ঞাসা করাতে বলে, ‘ঈশ্বরের দাসী, আবার কার দাসী হ’ব ? আর, সববাই তাকে দেবী বলে খুব মানে—যেমন পুথিতে (শাস্ত্রে ) আছে। শ্রীরামকৃষ্ণ ( মহেন্দ্রাদির প্রতি ) । আপনার যে আসছে, তাতে কিছু কি উপকার হচ্ছে শুনলে, মনটা বড় ভাল থাকে। (মাস্টারের প্রতি) এখানে লোক আসে কেন ? তেমন লেখাপড়া জানি না-— মাস্টার। আজ্ঞ কৃষ্ণ যখন নিজে সব রাখাল গরু টরু হলেন (ব্রহ্মা হরণকরবার পর) তখন রাখালদের মা’র, নূতন রাখালদের পেয়ে যশোদার বাড়ীতে আর আসেন না । গাভীরাও হাস্ব রবে ঐ নূতন বাছুরদের পিছে পিছে গিয়ে পড়তে লাগল। শ্রীরামকৃষ্ণ । তাতে কি হলে ? মাষ্টার । ঈশ্বর নিজেই সব হয়েছেন কি না, তাই এত আকর্ষণ । ঈশ্বর বস্তু থাকলেই মন টানে । [ কৃষ্ণলীলার ব্যাখ্যা । গোপীপ্ৰেম । বস্ত্রহরণের মানে। ] শ্রীরামকৃষ্ণ । এ যোগমায়ার আকর্ষণ—ভেন্ধী লাগিয়ে দেয় ! রাধিক স্ববোল বেশে-বাছুর কোলে –জটিলার ভয়ে যাচ্ছে ; যখন যোগমায়ার শরণাগত হলো তখন জটিল আবার আশীৰ্ব্ববাদ করে ! “হরিলীলা সব মোগ"মাক্সার সাহাক্ষ্যে । “গোপীদের ভালবাসা—পরকীয় রতি। কৃষ্ণের জন্য গোপীদের প্রেমোন্মাদ হয়েছিল। নিজের সোয়ামীর জন্য অত হয় না। যদি কেউ

  • দ্বারিক বাবু মথুরের জ্যৈষ্ঠ পুত্র । ১৮৭৭ খৃঃ প্রায় ৪০ বৎসর বয়সে মৃত্যু হয় পৌষ ১২৮৪ । কাপ্তেন প্রথম আসেন ১৮৭৫-৭৬ খৃঃ । অতএব এই গীতগোবিন গান ১৮৭৫ ও ১ ৭৭ খৃঃ মধ্যে হুইবে ।