পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত চতুর্থ ভাগ.djvu/২২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দক্ষিণেশ্বর। রাধিক গোস্বামী প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে । دهد “সেখানকার গোসাইরা ঝগড়া করতে এসেছিল। মনে করেছিল, আমরা বুঝি তাদের পাওনা গণ্ডা নিতে এসেছি। দেখলে, আমি একখানা কাপড় কি এক গাছ। সুতাও লই নাই ! কে বলেছিল ‘ব্রহ্মজ্ঞানী । তাই গোসাইরা বিড়তে এসেছিল। এক জন জিজ্ঞাসা করলে, ‘এর মালা, তিলক, নাই কেন ? তারাই এক জন বলে, "নারকেলের বেল্লো আপন আপনি খসে গেছে । "নারকেলের বেল্লো ও কথাটা ঐখানে শিখেছি । জ্ঞান হলে উপাধি আপনি খসে পড়ে যায় । “দুর গা থেকে লোক এসে জমা হোতো । তার রাত্রে থাকতো । যে বাড়ীতে ছিলাম,তার উঠানে রাত্রে মাগীরা অনেক সব শুয়ে আছে। হৃদে প্রচ্ছাপ করতে রাত্রে বাহিরে যাচ্ছিল,তা বলে,"এইখানেই(উঠানে) করে।’ “আকর্ষণ কাকে বলে, ঐ খানেই ( শ্যামবাজারে ) বুঝলাম । হরিলীলায় যোগমায়ার সাহায্যে আকর্ষণ হয়, যেন ভেলকী লেগে যায় ! -*-* -oo-oo o-o-o তৃতীয় পরিচ্ছেদ । [ ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ও শ্রীযুক্ত রাধিক গোস্বামী । মুখুয্যে ভ্রাতৃদ্বয় প্রভৃতি ভক্তগণের সহিত কথা কইতে কইতে বেল প্রায় তিনটা বাজিয়াছে। শ্রীযুক্ত রাধিক গোস্বামী আসিয়া প্রণাম করিলেন । তিনি ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণকে এই প্রথম দর্শন করিলেন । বয়স আন্দাজ ত্রিশের মধ্যে । গোস্বামী আসন গ্রহণ করিলেন । ত্রীরামকৃষ্ণু—“আপনার কি অদ্বৈতবংশ ? গোস্বামী—“আজ্ঞা হা । ঠাকুর অদ্বৈতবংশ শুনিয়া গোস্বামীকে হাতজোড় করিয়া প্রণাম করিতেছেন । [গোস্বামীবংশ ও ব্রাহ্মণ পূজনীয়। মহাপুরুষের বংশে জন্ম । ] শ্রীরামকৃষ্ণ । অদ্বৈতগোস্বামী বংশ,—আকরের গুণ আছেই! । “নেকে আমের গাছে নেকে আমই হয় ( ভক্তদের হাস্য )। খারাপ আম হয় না। তবে মাটর গুণে একটু ছোট বড় হয়। আপনি কি বল ?