পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত চতুর্থ ভাগ.djvu/২৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দক্ষিণেশ্বর। মুখুয্যে, কবিরাজ প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে । - ২২১ পঞ্চম পরিচ্ছেদ । কৰ্ম্মত্যাগ কখন ? ভক্তের নিকট ঠাকুরের অঙ্গীকার । সন্ধ্যা হইল । দক্ষিণের বারান্দা ও পশ্চিমের গোল বারান্দায় ফরাস আলো জালিয়া দিয়া গেল। ঠাকুরের ঘরে প্রদীপ জ্বালা হইল ও ধূনা দেওয়া হইল। ঠাকুর নিজের আসনে বসিয়া মার নাম করিতেছেন ও মার চিন্তা করিতেছেন। ঘরে মাষ্টার, শ্ৰীযুক্ত প্রিয় মুখুয্যে, তাহার আত্মীয় হরি মেজেতে বসিয়া আছেন । - কিয়ৎক্ষণ ধ্যান চিন্তার পরে ঠাকুর আবার ভক্তদের সহিত কথা কহিতেছেন। এখনও ঠাকুর বাড়ীর আরতির দেরি আছে । বেদান্ত ও শ্রীরামকৃষ্ণ । ওঁকার ও সমাধি । তত্ত্বমসি । ওঁ তৎ সৎ । ] শ্রীরামকৃষ্ণ (মাষ্টারের প্রতি ) যে নিশিদিন তার চিন্তা করছে, তার সন্ধ্যার কি দরকার । ত্রিসন্ধ্য যে বলে কালী পুজা সন্ধ্যা সে কি চায় । সন্ধ্যা তার সন্ধানে ফেরে কভু সন্ধি নাহি পায় ॥ দয়া ব্রত দান আদি আর কিছু না মনে লয়। মদনেরই যাগ যজ্ঞ ব্রহ্মময়ীর রাঙ্গা পায় ॥ “সন্ধ্যা গায়ত্রীতে লয় হয় গায়ত্রী ও কারে লয় হয়। “একবার ওঁ বলে যখন সমাধি হয় তখন পাকা । “হৃষীকেশে এক জন সাধু সকাল বেলায় উঠে ভারি একটা ঝরণা, তার কাছে গিয়ে দাড়ায় । সমস্ত দিন সেই ঝরণা ছাখে আর ঈশ্বরকে বলে—‘বাঃ বেশ করেছ । বাঃ বেশ করেছ ! কি আশ্চৰ্য্য !’ তার অন্য জপ তপ নাই। আবার রাত্ৰি হ’লে কুটীরে ফিরে যায়। "তিনি নিরাকার কি সাকার সে সব কথা ভাববারই বা কি দরকার ? নির্জনে গোপনে ব্যাকুল হ’য়ে কেঁদে কেঁদে তাকে বল্লেই হয়,–হে ঈশ্বর তুমি যে কেমন তাই আমায় দেখা দাও ! “তিনি অন্তরে বাহিরে আছেন।