পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত চতুর্থ ভাগ.djvu/২৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৩০ শ্ৰীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত । [1884, 5th October. “প্রবকে ল্যায়। প্ৰহলাদকে যত লয়, ধ্রুরকে তত না । নটো বল্লে, ধ্ৰুবের ছেলেবেলা থেকে অতো অনুরাগ”—তখন আবার চুপ করে। “আমি বলি, কামনাশূন্য ভক্তি অহৈতুকী ভক্তি—এর বাড়া আর কিছুই নাই। ও কথা সে কাটিয়ে দেয় । যারা কিছু চাইবে, তারা এলে, বড়মানুষ ব্যাজার হয়,—বিরক্ত হয়ে বলে, “ঐ আসছেন ! এলে পরে এক রকম স্বর করে বলে ‘বসুন’ !—যেন কত বিরক্ত । যারা কিছু চায়, তাদের এক গাড়ীতে নিয়ে যায় না । “হাজরা বলে, তিনি এ সব ধনীদের মত নয়। র্তার কি ঐশ্বর্ঘ্যের অভাব যে, দিতে কষ্ট হবে ? “হাজরা আরও বলে—‘আকাশের জল যখন পড়ে, তখন গঙ্গা আর সব বড় বড় নদী, বড় বড় পুকুর, এ সব বেড়ে যায় ; আবার ডোবাটােবা গুলোও পরিপূর্ণ হয়। তার কৃপা হলে জ্ঞান ভক্তিও দেন, —আবার টাকা কড়িও দেন ।” “কিন্তু একে মলিন ভক্তি বলে। শুদ্ধ ভক্তিতে কোন কামনা থাকবে না। তুমি এখানে কিছু চাও না, কিন্তু ( আমাকে ) দেখতে আর ( আমার ) কথা শুনতে ভালবাস —তোমার দিকেও আমার মন পড়ে থাকে –কেমন আছে—কেন আসে না—এই সব ভাবি ৷ “কিছু চাও না অথচ ভালবাস—এর নাম অহৈতুকী ভক্তি, শুদ্ধাভক্তি। প্ৰহলাদের এট ছিল ; রাজ্য চায় না, ঐশ্বৰ্য্য চায় না, কেবল হরিকে চায় । - মাষ্টার । হাজরা মহাশয় কেবল ফৰ্ডর ফর্ডর করে বকে । চুপ না করলে কিছু হচ্ছে না। [ হাজরার অহঙ্কার ও লোকনিন্দ । ] শ্রীরামকৃষ্ণ । এক এক বার বেশ কাছে এসে নরম হয় –কি গ্রহ, আবার তর্ক করে। অহঙ্কার যাওয়া বড় শক্ত । অশ্বথ গাছ এই কেটে দিলে, আবার তার পর দিন ফেকুড়ী বেরিয়েছে । যতক্ষণ তার শিকড় আছে, ততক্ষণ আবার হবে । “আমি হাজরাকে বলি, কারুকে লিন্দ কোৱো না,