পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত চতুর্থ ভাগ.djvu/২৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্ৰীশ্রীরথযাত্রা । বলরামমন্দিরে ভক্তসঙ্গে । ૨૭ જ একবার তার বুকে হাত বুলিয়ে দি,–কিন্তু পারলাম না। ভিতরে অঙ্কট বঙ্কট ! ঘরে বিষ্ঠার গন্ধ ঢুকতে পারলাম না। যেমন স্বয়ম্ভু লিঙ্গ কাশী পৰ্য্যন্ত জড় । সংসারে আসক্তি,-কামিনীকাঞ্চনে আসক্তি,—থাকলে হ’বে না । “ছোকরীদের ভিতর এখনও কামিনী কাঞ্চন ঢোকে নাই ; তাইত ওদের অত ভালবাসি । হাজরা বলে, “ধনীর ছেলে দেখে,—সুন্দর ছেলে দেখে,—তুমি ভাল বাস । তা যদি হয়, হরীশ, নোটো, নরেন্দ্র,—এদের ভালবাসি কেন ? নরেন্দ্রের ভাত নুন দে খাবার পয়সা জোটে না ! “ছোকরাদের ভিতর বিষয়বুদ্ধি এখনও ঢোকে নাই । তাই অন্তর অত শুদ্ধ । . “আর অনেকেই নিত্যসিদ্ধ । জন্ম থেকেই ঈশ্বরের দিকে টান । যেমন বাগান একটা কিনেছ। পরিষ্কার করতে করতে এক জায়গায়, বসানো জলের কল পাওয়া গেল । একবারে জল কল কল করে বেরুচ্ছে : [ পূর্ণ ও নিরঞ্জন ! মাতৃসেবা। বৈষ্ণবদের মহোৎসবের ভাব । ] বলরাম । মহাশয়, সংসার মিথ্য, একবারে জ্ঞান, পূর্ণের কেমন করে হ’ল ? শ্রীরামকৃষ্ণ । জন্মান্তরীণ। পূর্ব পূৰ্ব্ব জন্মে সব করা আছে। শরীরই ছোট হয় আবার বৃদ্ধ হয়—আত্মা সেইরূপ নয় । “ওদের কেমন জান,—ফল আগে তার পর ফুল । আগে দর্শন,— তার পর গুণ মহিমা শ্রবণ ; তার পর মিলন ! “নিরঞ্জনকে দেখ—লেন দেন নাই !—যখন ডাক পড়বে যেতে পারবে। তবে শতক্ষণ মা আছে, মাকে দেখতে হবে। আমি মাকে ফুল চন্দন দিয়ে পূজা করতাম। সেই জগতের মা-ই মা হয়ে এসেছেন। তাই কারু শ্ৰাদ্ধ,—শেষে ইষ্টের পূজা হয়ে পড়ে । কেউ মরে গেলে বৈষ্ণবদের মহোৎসব হয়, তারও এই ভাব। “মৃতক্ষণ নিজের শরীরের খপল্ল আছে ততক্ষণ মাৱ খপর লিতে হবে । তাই হাজরাকে বলি, নিজের কাশি হ’লে মিছরি মরিচ করতে হয়, মরিচ লবনের জোগাড় করতে হয়;