পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত চতুর্থ ভাগ.djvu/৩২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দক্ষিণেশ্বরে। ৬/জন্মাষ্টমী দিবসে ভক্তসঙ্গে । ২৯৭ “দুজনেই ভক্ত। ( ভক্তদের প্রতি ) যত এগোবে, ততই দেখবে, তিনিই সব হয়েছে ল—তিনিই অনব করছেন। তিনিই গুরু, তিনিই ইষ্ট । তিনিই জ্ঞান ভক্তি সব দিচ্ছেন। [ পূর্বকথা—কেশবসেনকে উপদেশ, ‘এগিয়ে পড়ে। | ] “যত এগোবে, দেখবে, চন্দন কাঠের পরও আছে ;–রূপার খনি,— সোণার খনি,—হীরে মাণিক ! তাই এগিজ্জে পড় ! “আর এগিয়ে পড়’ এ কথাই বা বলি কেমন করে –সংসারী লোকদের লেশ এগোতে গেলে সংসনার চিংসনার ফক্ৰ হচ্ছেন্ন মাল্ল । কেশব সেন উপাসনা কচ্ছিলো,—বলে, হে ঈশ্বর, তোমার ভক্তিনদীতে যেন ডুবে যাই । সব হয়ে গেলে আমি কেশবকে বল্লাম, ওগো, তুমি ভক্তিনদীতে ডুবে যাবে কি করে ? ডুবে গেলে,চিকের ভিতর যারা আছে তাদের কি হবে । তবে এক কৰ্ম্ম কোরো—মাঝে মাঝে ডুব দিও, আর এক এক বার আড়ায় উঠো ! ( সকলের হাস্ত ) [ বৈষ্ণবের কলকলানি’ । ধারণা করে । সত্যকথা তপস্যা । ] কাটোয়ার বৈষ্ণব তর্ক করিতেছিলেন । ঠাকুর র্তাহাকে বলিতেছেন —“তুমি কলকলনি ছাড়। ঘি র্কাচ থাকলেই কলকল করে । “একবার তার আনন্দ পেলে বিচারবুদ্ধি পালিয়ে যায়। মধুপানের আনন্দ পেলে আর ভনভনানি থাকে না । "বই পড়ে কতকগুলো কথা বলতে পারলে কি হবে ? পণ্ডিতের কত শ্লোক বলে—“শীর্ণ গোকুলমণ্ডলী !—এই সব । “সিদ্ধি সিদ্ধি মুখে বল্লে কি হবে ? কুলকুচে করলেও কিছু হবে না । পেটে ঢুকুতে হবে । তবে নেশা হবে। ঈশ্বরকে নিৰ্জ্জনে গোপনে ব্যাকুল হয়ে না ডাকলে, এ সব কথা ধারণা হয় না । ডাক্তার রাখাল ঠাকুরকে দেখিতে আসিয়াছেন । তিনি ব্যস্ত হইয়া বলিতেছেন—‘এসো গো বসো !’ বৈষ্ণবের সহিত কথা চলিতে লাগিল । শ্রীরামকৃষ্ণ । মানুষ আর মানহুস । যার চৈতন্য হয়েছে, সেই মানহুস । চৈতন্য না হলে হুখ মানুষজন্ম ।