পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত চতুর্থ ভাগ.djvu/৩৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কলিকাতা শ্বামপুকুর। নরেন্দ্র, মহিমা, সরকার প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে। ৩১৫ সন্ধ্যার পর সমাধিস্থ। নিত্যগোপাল ও নরেন্দ্র। জপাৎ সিদ্ধি । ] সন্ধ্যার পর চাদ উঠিয়াছে । আজ কোজাগর পূর্ণিমার পরদিন, শনিবার, ৯ই কাৰ্ত্তিক। ঠাকুর সমাধিস্থ । দাড়াইয়া আছেন। নিত্যগোপালও র্তাহার কাছে ভক্তিভাবে দাড়াইয়া আছেন। ঠাকুর উপবিষ্ট হইয়াছেন—নিত্যগোপাল পদসেবা করিতেছেন। দেবেন্দ্র, কালীপদ প্রভৃতি অনেকগুলি ভক্ত কাছে বসিয়া আছেন। শ্রীরামকৃষ্ণ ( দেবেন্দ্র প্রভৃতির প্রতি) । এমনি মনে উঠছে, নিত্যগোপালের এ অবস্থাগুলো এখন যাবে,—ওর সব মন কুড়িয়ে আমাতেই আসবে,—যিনি এর ভিতর আছেন, তাতে । “নরেন্দ্রকে দেখছে না ?—সব মনটা ওর আমারি উপর আসছে t ভক্তের অনেকে বিদায় লইতেছেন । ঠাকুর দাড়াইয়া আছেন। একজন ভক্তকে জপের কথা বলিতেছেন——“জপ করা কিনা নির্জনে নিঃশব্দে র্তার নাম করা । একমনে নাম করতে করতে—জপ করতে করতে—র্তার রূপ দর্শন হয়—র্তার সাক্ষাৎকার হয়। শিকলে বাধা কড়িকাঠ গঙ্গার গর্ভে ডুবান আছে—শিকলের আর একদিক তীরে বাধা আছে। শিকলের এক একটী পাপ ( Link ) ধরে ধরে গিয়ে, ক্রমে ডুব মেরে শিকল ধরে ধরে যেতে যেতে ঐ কড়িকাঠ স্পর্শ করা যায় ! ঠিক সেই রূপ জপ করতে করতে মগ্ন হয়ে গেলে ক্রমে ভগবানের সাক্ষাৎকার হয় ।” কালীপদ ( সহাস্তে, ভক্তদের প্রতি ) ! আমাদের এ খুব ঠাকুর । —জপ, ধ্যান, তপস্যা করতে হয় না । এই সময় ঠাকুর হঠাৎ বলিতেছেন—এটা কেমন কচ্ছে!’ ঠাকুরের গলায় অসুখ করিতেছে। দেবেন্দ্র বলিতেছেন—“এ কথায় আর ভুলি না ! দেবেন্দ্রের এই মনের ভাব যে, ঠাকুর কেবল ভক্তদের ভুলাইবার জন্য অমুখ দেখাইতেছেন । ভক্তেরা বিদায় গ্রহণ করিলেন । রাত্রে কয়েকটা ছোকর ভক্ত পালা করিয়া থাকিবেন। আজ মাষ্টারও রাত্রে থাকিবেন। শ্ৰীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত, চতুর্থভাগ, অষ্টবিংশ খণ্ড সমাপ্ত ।