পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত চতুর্থ ভাগ.djvu/৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>b" শ্ৰীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত । [ 1883, 7th April. “তখন মাদুর বগলে করে বাড়ী ফিরে গেলো (হাস্য )। রামদয়াল বড় পীড়িত। আর এক ঘরে শয্যাগত। ঠাকুর সেই ঘরের সম্মুখে গিয়া, কেমন আছেন জিজ্ঞাসা করিলেন । [ পঞ্চদশী, বেদান্ত শাস্ত্র ও শ্রীরামকৃষ্ণ । সংসারী ও শাস্ত্রার্থ। ] বেলা ৪টা হইবে । বৈঠকখানা ঘরে ঠাকুর নরেন্দ্র, রাখাল, মাষ্টার, ভবনাথ প্রভূতি ভক্তসঙ্গে বসিয়া আছেন । কয়েক জন ব্রাহ্ম ভক্ত আসিয়াছেন । র্তাহীদের সঙ্গে কথা হইতেছে । ব্রাহ্মভক্ত। মহাশয়ের পঞ্চদশী দেখা আছে ? শ্রীরামকৃষ্ণ । ও সব একবার প্রথম প্রথম শুনতে হয়,—প্রথম প্রথম একবার বিচার করে নিতে হয় । তার পর— “যতনে হৃদয়ে রেখে আদরিণী শ্যামা মাকে, মন তুই দেখ আর আমি দেখি, আর যেন কেউ নাহি দেখে । “সাধনাবস্থায় ও সব শুনতে হয়। তাকে লাভের পর জ্ঞানের অভাব থাকে না । মা রাশ ঠেলে দেন । “প্রথমে বানান করে লিখতে হয়,—তার পর অমনি টেনে যাও । “সোণা গলাবার সময় খুব উঠে পড়ে লাগতে হয়। এক হাতে হাপর—এক হাতে পাখা—মুখে চোঙ্গ—যতক্ষণ না সোণ গলে । গলার পর, যাই গড়নেতে ঢালা হলো,—অমনি নিশ্চিন্ত । “শাস্ত্র শুধু পড়লে হয় না। কামিনীকাঞ্চনে থাকলে শাস্ত্রের মৰ্ম্ম বুঝতে দেয় না। সংসারের আসক্তিতে জ্ঞান লোপ হয়ে যায়। ‘সাধ করে শিখেছিলাম কাব্যরস, যত । কালার পিরীতে পড়ে সব হইল হত ॥’ (সকলের হাস্য । ) ঠাকুর ব্রাহ্মভক্তদের সহিত শ্ৰীযুক্ত কেশবের কথা বলিতেছেন— “কেশবের যোগ ভোগ । সংসারে থেকে ঈশ্বরের দিকে মন আছে । একজন ভক্ত Convocation ( বিশ্ববিদ্যালয়ের পণ্ডিতদের বাৎরিক সভা ) সম্বন্ধে বলিতেছেন—দেখলাম লোকে লোকারণ্য ! ঐরামকৃষ্ণ । অনেক লোক এক সঙ্গে দেখলে ঈশ্বরের উদ্দীপন হয়। আমি দেখলে বিহবল হয়ে যেতাম। [ তৃতীয় খণ্ড সমাপ্ত।