পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত চতুর্থ ভাগ.djvu/৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পেনেট মহোৎসবে। ভক্তসঙ্গে সঙ্কীৰ্ত্তনানন্দে । ૨ઃ ভক্তদেরও আর এক ঘরে বসান হইল। ঠাকুর ভক্তবৎসল—নিজে দাড়াইয়া আনন্দ করিতে করিতে র্তাহাদিগকে খাওয়াইতেছেন । দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ। শ্ৰীযুক্ত নবদ্বীপ গোস্বামীর প্রতি উপদেশ । শ্ৰীগৌরাঙ্গের মহাভাব, প্রেম ও তিন দশা । ] অপরাহ্র। রাখাল, রাম প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে ঠাকুর মণি সেনের বৈঠকখানায় বসিয়া আছেন। নবদ্বীপ গোস্বামী প্রসাদ পাওয়ার পর ঠাণ্ড হইয়া বৈঠকখানায় আসিয়া ঠাকুরের কাছে বসিয়াছেন । শ্ৰীযুক্ত মণি সেন ঠাকুরের গাড়ীভাড়া দিতে চাহিলেন। ঠাকুর তখন বৈঠকখানায় একটা কোঁচে বসিয়া আছেন আর বলিতেছেন,— ‘গাড়ীভাড়া ওরা ( রাম প্রভৃতির ) নেবে কেন ? ওরা রোজগার করে । এইবার ঠাকুর নবদ্বীপ গোস্বামীর সহিত ঈশ্বরীয় কথা কহিতেছেন । শ্রীরামকৃষ্ণ ( নবদ্বীপে প্রতি ) ৷ ভক্তি পাকলে ভাব ;–তার পর মহাভাব ;-—তার পর প্রেম ;—তারপর বস্তু লাভ ( ঈশ্বর লাভ ) । “গৌরাঙ্গের—মহাভাব, প্রেম। “এই প্রেম হলে জগৎ ত ভুল হয়ে যাবেই । আবার নিজের দেহ যে এত প্রিয় তাও ভুল হয়ে যায় ! গৌরাঙ্গের এই প্রেম হয়েছিল । সমুদ্র দেখে যমুনা ভেবে ঝাপ দিয়ে পড়লে ! “জীবের মহাভাব বা প্রেম হয় ন—তাদের ভাব পর্য্যন্ত । আর গৌরাঙ্গের তিনটী অবস্থা হ’ত । কেমন ? নবদ্বীপ। আজ্ঞা হুঁ ৷ অন্তর্দশা, অৰ্দ্ধবাহদশ, আর বাহদশ । স্ত্রীরামকৃষ্ণ । অন্তৰ্দ্দশায় তিনি সমাধিস্থ থাকতেন । অৰ্দ্ধবাহদশায় কেবল নৃত্য করিতে পারতেন । বাহদশায় নামসংকীৰ্ত্তন করতেন । নবদ্বীপ র্তাহার ছেলেটকে আনিয়া ঠাকুরের সঙ্গে আলাপ করিয়৷ দিলেন । ছেলেট যুবা পুরুষ - শাস্ত্র অধ্যয়ন করেন । তিনি ঠাকুরকে প্রণাম করিলেন ।