পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত চতুর্থ ভাগ.djvu/৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দক্ষিণেশ্বর । রাখাল, জনাইয়ের মুখুয্যে প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে। ৩৭ দেবের শরণাগত হলেন-যাতে রাম সংসার ত্যাগ না করেন। বশিষ্ঠ রামচন্দ্রের কাছে গিয়ে দেখেন, তিনি বিমন হয়ে বসে আছেন—অন্তরে তীব্র বৈরাগ্য। বশিষ্ঠ বল্লেন, রাম, তুমি সংসার ত্যাগ করবে কেন ? -সংসার কি তিনি ছাড়া ? আমার সঙ্গে বিচার করে । রাম দেখলেন, ংসার সেই পরব্রহ্ম থেকেই হয়েছে,—তাই চুপ করে রহিলেন। “যেমন যে জিনিষ থেকে ঘোল, সেই জিনিষ থেকে মাখম । তখন ঘোলেরই মাখম, মাখমেরই ঘোল ! অনেক কষ্টে মাখম তুললে (অর্থাৎ ব্রহ্মজ্ঞান হোলে ) ; --তখন দেখছে যে মাখম থাকলেই ঘোলও আছে, —যেখানে মাখম সেই খানেই ঘোল । ব্রহ্ম আছেন বোধ থাকলেই— জীব জগৎ—চতুৰ্ব্বিংশতি তত্ত্ব—-ও আছে। - [ ব্রহ্মজ্ঞানের একমাত্র উপায় । ] “ব্রহ্ম যে কি বস্তু মুখে বলা যায় না। সব জিনিষ উচ্ছিষ্ট হয়েছে (অর্থাৎ মুখে বলা হয়েছে ), -কিন্তু ব্ৰহ্ম কি,—কেউ মুখে বলতে পারে নাই– তাই উচ্ছিষ্ট হয় নাই ! এ কথাটী বিদ্যাসাগরকে বলেছিলাম— বিদ্যাসাগর শুনে ভারী খুসী ! “বিষয় বুদ্ধির লেশ থাকলে এই ব্রহ্মজ্ঞান হয় না। কামিনীকাঞ্চন মনে আদৌ থাকবে না, তবে হবে । গিরিরাজকে পার্বতা বল্লেন, ‘বাবা ব্রহ্মজ্ঞান যদি চাও তা হলে সাধু সঙ্গ কর । । ঠাকুর কি বলছেন, সংসারী লোক বা সন্ন্যাসী যদি কামিনীকাঞ্চন নিয়ে থাকে তা হলে ব্রহ্মজ্ঞান হয় না ? যোগভ্ৰষ্ট । ব্রহ্মজ্ঞানের পর সংসার । ] শ্রীরামকৃষ্ণ আবার মুখুয্যেকে সম্বোধন করে বলছেন— “তোমাদের ধন ঐশ্বৰ্ঘ্য আছে অথচ ঈশ্বরকে ডাকছো, এখুব ভাল । গীতায় আছে যারা যোগভ্ৰষ্ট তারাই ভক্ত হয়ে ধনীর ঘরে জন্মায় । মুখুয্যে ( বন্ধুর প্রতি, সহস্তে )—“শুচীনাং শ্ৰীমতাং গেহে যোগভ্ৰষ্টোহভিজায়তে।” - Q শ্রীরামকৃষ্ণ । তিনি মনে করিলে জ্ঞানীকে সংসারেও রাখতে পারেন । তার ইচ্ছাতে জীব জগৎ হয়েছে । তিনি ইচ্ছাময়—