পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত চতুর্থ ভাগ.djvu/৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দক্ষিণেশ্বর। রাখাল, লাটু, শ্ৰীমধুডাক্তার প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে । ৪৫ ডাক্তার মধু (সহস্তে ) ৷ ত্রি গুণাতাত ভক্তি,—অর্থাৎ ভক্ত কোন গুণের বশীভূত নয়। শ্রীরামকৃষ্ণ (সহস্ত্যে )। ইয়া ! যেমন পাঁচ বছরের বালক—কোন গুণের বশ নয় । We _ মধ্যাহ্নে সেবার পর ঠাকুর স্ত্রীরামকৃষ্ণ একটু বিশ্রাম করিতেছেন । শ্ৰীযুক্ত মণিলাল মল্লিক আসিয়া প্রণাম করিলেন ও মেজেতে আসন গ্রহণ করিলেন । মণিও মেজেতে বসিয়া আছেন । ঠাকুর শুইয়া শুইয়া মণি মল্লিকের সঙ্গে মাঝে মাঝে একটা একটি কথা কহিতেছেন । মণি মল্লিক । আপনি কেশবসেনকে দেখতে গিছলেন । শ্রীরামকৃষ্ণ এখন কেমন আছেন ? মণি মল্লিক । কিছু সারেন নাই । শ্রীরামকৃষ্ণ । দেখলাম বড় রাজসিক, -- অনেকক্ষণ বসিয়েছিল,— তার পর দেখা হল । ঠাকুর উঠিয়া বসিলেন । ভক্তদের সহিত কথা কহিতেছেন । ( শ্ৰীমুখ-কথিত চরিতামৃত । ঠাকুর রাম রাম করিয়া পাগল ) শ্রীরামকৃষ্ণ ( মণির প্রতি ) । আমি রাম রাম করে পাগল হয়ে ছিলাম। সন্ন্যাসীর ঠাকুর রামলালকে লয়ে লয়ে বেড়াতাম । তাকে নাওয়াতাম, খাওয়াতাম, শোয়াতাম । যেখানে যাবে,—সঙ্গে করে লয়ে যেতাম । ‘রামলীলা রামলালা’ করে পাগল হয়ে গেলাম । পঞ্চম পরিচ্ছেদ । বিল্পমূলে ও পঞ্চবটতলায় শ্রীরামকৃষ্ণ ! ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ বিল্পবৃক্ষের নিকট মণির সহিত কথা কহিতেছেন। বেল প্রায় নয়ট হইবে । আজ বুধবার, ১৯শে ডিসেম্বর ১৮৮৩। কৃষ্ণপঞ্চমী তিথি । বিল্বতল ঠাকুরের সাধন ভূমি। অতি নির্জন স্থান। উত্তরে বারূদ খান ও প্রাচীর । পশ্চিমে ঝাউ গাছগুলি সৰ্ব্বদাই প্ৰাণ-উদাসকারী