পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত চতুর্থ ভাগ.djvu/৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

@ २ *śatagotse I [ 1883, 24th December. জোয়ার আসয়াছে । চতুৰ্দ্দিকে বৃক্ষলতা । অনতিদূরে সাধনার স্থান সেই বিল্পতরুমূল দেখা যাইতেছে। ঠাকুর পূর্বাস্ত হইয়া কথা কহিতেছেন। মণি উত্তরাস্ত হইয়া বিনীতভাবে শুনিতেছেন। ঠাকুরের ডান দিকে পঞ্চবটী ও হাসপুকুর। শীতকাল, সূর্য্যোদয়ে জগৎ যেন হাসিতেছে। ঠাকুর ব্রহ্মজ্ঞানের কথা বলিতেছেন । [ তোতাপুরীর ঠাকুরের প্রতিব্ৰহ্মজ্ঞানের উপদেশ । ] শ্রীরামকৃষ্ণ । নিরাকারও সত্য, সাকার ও সত্য । “ন্যাঙ্গটা উপদেশ দিত,—সচ্চিদানন্দ ব্রহ্ম কিরূপ । যেমন অনন্ত সাগর—উদ্ধে নীচে, ডাইনে বামে, জলে জল । কারণ—সলিল । জল স্থির ।—কাৰ্য্য হলে তরঙ্গ স্বষ্টি স্থিতি প্রলয়—-কাৰ্য্য । । “আবার বলত, বিচার যেখানে গিয়ে থেমে যায় সেই ব্রহ্ম । যেমন কপূর জালালে পুড়ে যায়, একটু ছাইও থাকে না । “ব্রহ্ম বাক্যমনের অতীত। লুনের পুতুল সমুদ্র মাপতে গিছলে । এসে আর খবর দিলে না । সমুদ্রেতেই গলে গেল । “ঋষিরা রামকে বলেছিলেন,—‘রাম, ভরদ্বাজাদি তোমাকে অবতার বলতে পারেন । কিন্তু আমরা তা বলি না । আমরা শব্দব্রহ্মের উপাসন করি। আমরা মানুষরূপ চাই না। রাম একটু হেসে, প্রসন্ন হয়ে, তাদের পূজা গ্রহণ করে চলে গেলেন । [ নিত্য লীলা দুইই সত্য । ] “কিন্তু র্যারই নিতা তারই লীলা । যেমন বলেছি, ছাদ আর সিড়ি । t “ঈশ্বরলীলা, দেবলীল, নরলীলা, জগৎ লীলা । নরলীলায় অবতার। লৱলীল। কিরূপ জান ? যেমন বড় ছাদের জল নল দিয়ে হুড় হুড় করে পড়ছে। সেই সচ্চিদানন্দ, তারই শক্তি একটা প্রণালী দিয়ে— নলের ভিতর দিয়ে—আসছে । কেবল ভরদ্বাজাদি বার জন ঋষি রামচন্দ্রকে অবতার বলে চিনেছিলেন । তবেতারকে সকলে চিনতে পারে না । ঠাকুর ত্রীরামকৃষ্ণ কি অবতার ? শ্ৰীমুখকথিত চরিতামৃত । । [ ক্ষুদিরামের গয়াধামে স্বপ্ন। ঠাকুরকে হৃদয়ের মার পূজা। ঠাকুরের মধ্যে মথুরের ঈশ্বরী দর্শন। ফুলুই শ্যামবাজারে শ্ৰীগৌরাঙ্গের আবেশ । ]