পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত চতুর্থ ভাগ.djvu/৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૭૭ শ্ৰীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত | [I 884, 2nd January. মণি। আজ্ঞ, না । শ্রীরামকৃষ্ণ । ভক্তিতেই সব প। ওক্সা মাৱ । যারা ব্ৰহ্মজ্ঞান চায়, যদি ভক্তির রাস্ত ধরে থাকে, তারা ব্ৰহ্মজ্ঞানও পাবে। “র্তার দয়া থাকলে কি জ্ঞানের অভাব থাকে ? ও দেশে ধান মাপে, যেই রাশ ফুরোয় অমনি একজন রাশ ঠেলে দেয় । মা জ্ঞানের রাশ ঠেলে দেন । পদ্মলোচনের ঠাকুরের প্রতি ভক্তি। পঞ্চবটীতে সাধনকালে প্রার্থনা । ] “র্তাকে লাভ করলে পণ্ডিতদের খড় কুটো বোধ হয়। পদ্মলোচন বলেছিল, তোমার সঙ্গে কৈবৰ্ত্তের বাড়ীতে সভায় যাবে, তার আর কি ?—তোমার সঙ্গে হাড়ীর বাড়া গিয়ে খেতে পারি । “ভক্তি দ্বারাই সব পাওয়া যায়। তাকে ভাল বাস্তে পারলে আর কিছুরই অভাব থাকে না । ভগবতীর কাছে কাৰ্ত্তিক আর গণেশ বসে ছিলেন । তার গলায় মণিময় রত্নমালা । মা বল্লেন, “যে ব্রহ্মাণ্ড আগে প্রদক্ষিণ ক’রে আসতে পারবে, তাকে এই মালা দিব ।’ কাৰ্ত্তিক তৎক্ষণাৎ ক্ষণবিলম্ব না ক’রে ময়ূরে চড়ে বেরিয়ে গেলেন। গণেশ আস্তে আস্তে মাকে প্রদক্ষিণ ক’রে প্রণাম করলেন । গণেশ জানে, মার ভিতরেই ব্রহ্মাণ্ড ! মা প্রসন্ন হ’য়ে গণেশের গলায় হার পরিয়ে দিলেন । অনেক ক্ষণ পরে কাৰ্ত্তিক এসে দেখে যে, দাদা হার পরে বসে আছে । “মাকে কেঁদে কেঁদে আমি বলেছিলাম, ‘ম, বেদ বেদান্তে কি আছে, আমায় জানিয়ে দাও,—পুরাণ তন্ত্রে কি আছে, আমায় জানিয়ে দাও । তিনি একে একে আমায় সব জানিয়ে দিয়েছেন । “তিনি আমাকে সব জানিয়ে দিয়েছেন ;–কত সব দেখিয়ে দিয়েছেন। [ সাধনকালে ঠাকুরের দর্শন। শিবশক্তি, নৃমুণ্ডস্তুপ, গুরুকর্ণধার, সচ্চিদানন্দসাগর। ] “এক দিন দেখালেন, চতুর্দিকে শিব আর শক্তি। শিব শক্তির রমণ । মানুষ, জীব, জস্তু, তরু, লতা সকলের ভিতরেই সেই শিব আর শক্তি –পুরুষ আর প্রকৃতি ! এদের রমণ । “আর একদিন দেখলেন, লুমুণ্ড—স্ত পাকার –পৰ্ব্বতকার –আর কিছুই নাই ! আমি তার মধ্যে একলা ব'সে ।