পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত চতুর্থ ভাগ.djvu/৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দক্ষিণেশ্বর। ভক্তসঙ্গে গুরুরূপী শ্রীরামকৃষ্ণ । ૭૧ “আর একবার দেখালেন মহাসমুদ্র ! আমি লবণ-পুত্তলিকা হয়ে মাপ তে যাচ্ছি! মাপতে গিয়ে গুরুর কৃপায় পাথর হয়ে গেলুম ! — দেখলাম জাহাজ একখান ;–অমনি উঠে পড়লাম !—গুরু কর্ণধার ! সচ্চিদানন্দ গুরুকে রোজ ত সকালে ডাকো ? ( মণি । আজ্ঞ, হা। ) শ্রীরামকৃষ্ণ । গুরু কর্ণধার। তখন দেখছি, আমি একট, তুমি একটা । আবার লাফ দিয়ে পড়ে মীন হলাম। সচ্চিদানন্দসাগরে আনন্দে বেড়াচিচ দেখলাম । “এ সব অতি গুহ কথা ! বিচার করে কি বুঝবে ? তিনি যখন দেখিয়ে দেন, তখন সব পাওয়া যায়,—কিছুরই অভাব থাকে না ! তৃতীয় পরিচ্ছেদ। সাধনকালে বেলতলীয় ধান 1859-6 কামিনীকাঞ্চন ত্যাগ । [ ক্রীরামকৃষ্ণের জন্মভূমিগমন । রঘুবীরের জমি রেজেক্ট 878 8০, । ] ঠাকুরের মধ্যাহ্নে সেবা হইয়াছে। বেল প্রায় ১টা ; শনিবার, ৫ই জানুয়ারী । মণির আজ প্রভুসঙ্গে ত্রয়োবিংশতি দিবস । মণি আহারান্তে ন’বতে ছিলেন—হঠাৎ শুনিলেন, কে তাহার নাম ধরিয়া তিন চার বার ডাকিলেন । বাহিরে আসিয়া দেখিলেন, ঠাকুরের ঘরের উত্তরের লম্বা বারান্দা হইতে ঠাকুর ত্রীরামকৃষ্ণ র্তাহাকে ডাকিতেছেন । মণি আসিয়া তাহাকে প্রণাম করিলেন । দক্ষিণের বারান্দায় ঠাকুর মণির সহিত বসিয়া কথা কহিতেছেন। শ্রীরামকৃষ্ণ । তোমরা কি রকম ধ্যান করে ?—আমি বেলতলায় স্পষ্ট নানারূপ দর্শন কৰ্ত্তাম । একদিন দেখলাম, সামনে টাকা, শাল, এক সরা সন্দেশ, দুজন মেয়েমানুষ ! মনকে জিজ্ঞাসা করলাম, মন । তুই এসব কিছু চাস ?—সন্দেশ দেখলাম গু ! মেয়েদের মধ্যে এক জনের ফাদি নৎ। তাদের ভিতর বাহির সব দেখতে পাচ্ছি,—নাড়াভুড়ী, মল মুত্র, হাড় মাংস রক্ত ! মন কিছুই চাইলে না। “তার পাদপদ্মেতেই মন রহিল। নিক্তির নীচের কাটা আর উপরের