পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত তৃতীয় ভাগ.djvu/১২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে পণ্ডিত শশধর প্রভৃতি সঙ্গে । পাদপদ্মে ভক্তি না হ’লে—চিত্তশুদ্ধি না হ’লে—সবই বৃথা। পাঁজিতে । লিখেছে বিশ আড়া জল,—কিন্তু পাজি টিপলে এক ফোটাও পড়ে ག། t এক ফোটাই পড়, তাও না । , I বিচার কত দিন—ঈশ্বরদর্শন পর্য্যন্ত—বিজ্ঞানী কে ? ] “শাস্ত্রাদি নিয়ে বিচার কত দিন ? যতদিন না ঈশ্বরের সাক্ষাৎকার হয়। ভ্রমর গুন গুন করে কতক্ষণ ? যতক্ষণ ফুলে না বসে। ফুলে বসে মধুপান করতে আরম্ভ করলে আর শব্দ নাই। , . “তবে একটি আছে, ঈশ্বরকে দর্শনের পরও কথা চলতে পারে। সে কথা কেবল ঈশ্বরেরই আনন্দের কথা,—যেমন মাতালের ‘জয় কালী’ বলা । আর ভ্রমর ফুলে বসে মধুপান করার পর আধ আধ স্বরে গুন গুন করে। o বিজ্ঞানীর নাম করিয়া ঠাকুর বুঝি নিজের অবস্থা ইঙ্গিতে বলিতেছেন । “জ্ঞানী ‘নেতি নেতি’ বিচার করে । এই বিচার করতে করতে যেখানে আনন্দ পায় সেই ব্রহ্ম । “জ্ঞানীর স্বভাব কিরূপ ?—জ্ঞানী আইন অনুসারে চলে। “আমায় চানকে নিয়ে গিয়েছিল । সেখানে কতকগুলি সাধু দেখলাম। তারা কেউ কেউ সেলাই করছিল । ( সকলের হাস্য )। আমরা যাওয়াতে সে সব ফেললে । তারপর পায়ের উপর পা দিয়ে বসে আমাদের সঙ্গে কথা কইতে লাগল । ( সকলের হাস্য )। “কিন্তু ঈশ্বরীয় কথা জিজ্ঞাসা না করলে জ্ঞানীরা সে সব কথা কয় না। আগে জিজ্ঞাসা করবে এখন, তুমি কেমন আছ —কায়স হ্যায়—বাড়ির সব কেমন আছে। *。