পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত তৃতীয় ভাগ.djvu/১২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে পণ্ডিত শশধর প্রভৃতি সঙ্গে ১১১ হয় না। যে পাক দিয়েছে সেই পাকটাই কেবল ঘুরে যাবে। বাকীগুলো । আর হবে না। কামক্রোধাদি সব দগ্ধ হয়ে যায়,—তবে শরীরটা থাকে। কিছু কৰ্ম্মের জন্য । পের জন্য যে কয় জন্ম কৰ্ম্মভোগ করতে হয় সে কয় জন্ম আর স্ত্রীরামকৃষ্ণ-বিজ্ঞানী সৰ্ব্বদা ঈশ্বর দর্শন করে—তাই ত এরূপ । এলানো ভাব । চক্ষু চেয়েও দর্শন করে। কখনও নিত্য হতে লীলাতে থাকে,—কখনও লীলা হ’তে নিত্যেতে যায় । পণ্ডিত—এটি বুঝলাম না । শ্রীরামকৃষ্ণ—নেতি নেতি বিচার করে সেই নিত্য অখণ্ড সচ্চিদানন্দে পৌছয় । তারা এই বিচার করে—তিনি জীব নন, জগৎ নন, চতুৰ্বিংশতি তত্ত্ব নন। নিত্যে পৌছে আবার দেখে—তিনি এই সবু । হয়েছেন–জীব, জগৎ, চতুৰ্বিংশতি তত্ত্ব । ` “ভূধকে দই পেতে মন্থন ক’রে মাখন তুলতে হয়। কিন্তু মাখন তোলা হ’লে দেখে যে, ঘোলেরই মাখন মাখনেরই ঘোল । খোলেরই মাঝ, মাঝেরই খোল ।” পণ্ডিত ( ভূধরের প্রতি, সহাস্তে )—বুঝলে ? এ বুঝা বড় শক্ত ! শ্রীরামকৃষ্ণ—মাখন হয়েছে ত ঘোলও হয়েছে । মাখনকে ভাবতে গেলেই সঙ্গে সঙ্গে ঘোলকেও ভাবতে হয়,—কেন না ঘোল না থাকলে মাখন হয় না। তাই নিত্যকে মানতে গেলেই লীলাকেও মানতে হয়। অতুলোম ও বিলোম । সাকার-নিরাকার সাক্ষাৎকারের পর এই অবস্থা ! সাকার চিন্ময়রূপ, নিরাকার অখণ্ড সচ্চিদানন্দ । - “তিনিই সব হয়েছেন,—তাই বিজ্ঞানীর এই সংসার মজার কুটি P