পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত তৃতীয় ভাগ.djvu/১৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১১৬ শ্ৰীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত-৩য় ভাগ : [ ১৮৮৪, ৩০শে জুন ঠাকুর কি বলিতেছেন যে জ্ঞানীর লোকমান্ত হবার কামন, জ্ঞানীর মুক্তি কামন, এই সব থাকে বলে দু'হাত তুলে নাচতে পারে না ? নিত্যলীলা দুই নিতে পারে না ? আর জ্ঞানীর ভয় আছে, পাছে বদ্ধ হই,—বিজ্ঞানীর ভয় নাই ? 1 শ্রীরামকৃষ্ণ—কেশব সেনকে বললাম যে, ‘আমি ত্যাগ না করলে হবে না । সে বললে, তা হলে মহাশয় দলটল থাকে না । তখন আমি বললাম, কাচা আমি, ‘বজাৎ আমি –ত্যাগ করতে বলছি ; কিন্তু “পাকা আমি’—বালকের আমি'—“ঈশ্বরের দাস আমি’–‘বিদ্যার আমি”—এতে দোষ নাই । ‘সংসারীর আমি’—‘অবিদ্যার আমি ‘কাচ আমি’– একটা মোটা লাঠির স্যায়। সচ্চিদানন্দসাগরের জল ঐ লাঠি যেন দুই ভাগ করছে। কিন্তু ঈশ্বরের দাস আমি’, ‘বালকের আমি', ‘বিদ্যার অামি জলের উপর রেখার স্যায়। জল এক, বেশ দেখা যাচ্ছে —শুধু মাঝখানে একটি রেখা, যেন ছ’ভাগ জল । বস্তুতঃ এক জল, —দেখা যাচ্ছে । * “শঙ্করাচার্য্য ‘বিদ্যার আমি রেখেছিলেন—লোকশিক্ষার জন্ত । [ব্ৰহ্মজ্ঞান লাভের পর ‘ভক্তের আমি’—গোপীভাব ] | “ব্রহ্মজ্ঞানলাভের পরেও অনেকের ভিতর তিনি ‘বিদ্যার আমি —‘ভক্তের আমি রেখে দেন। হনুমান সাকার নিরাকার সাক্ষাৎকার করবার পর সেব্য সেবকের ভাবে, ভক্তের ভাবে থাকতেন। রামচন্দ্রকে বলেছিলেন, ‘রাম, কখন ভাবি তুমি পূর্ণ, আমি অংশ ; কখন ভাবি, তুমি সেব্য আমি সেবক ; আর রাম, যখন তত্ত্বজ্ঞান হয় তখন দেখি তুমিই আমি, আমিই তুমি’ ! * “যশোদা কৃষ্ণ বিরহে কাতর হয়ে শ্ৰীমতীর কাছে গেলেন,